নিজস্ব প্রতিবেদক:-

বাংলাদেশ আমার অহংকার এই স্লোগান নিয়ে র‌্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব) প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে বিভিন্ন ধরণের অপরাধীদের গ্রেফতারের ক্ষেত্রে জোরালো ভূমিকা পালন করে আসছে। র‌্যাব এর সৃষ্টিকাল থেকে সমাজের বিভিন্ন অপরাধ এর উৎস উদঘাটন, অপরাধীদের গ্রেফতার সহ আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতির সার্বিক উন্নয়নে নিরলসভাবে কাজ করে চলেছে। র‌্যাব-৭, চট্টগ্রাম অস্ত্রধারী সস্ত্রাসী, ডাকাত, ধর্ষক, দুর্ধর্ষ চাঁদাবাজ, সন্ত্রাসী, খুনি, ছিনতাইকারী, অপহরণকারী ও প্রতারকদের গ্রেফতার এবং বিপুল পরিমাণ অবৈধ অস্ত্র, গোলাবারুদ ও মাদক উদ্ধারের ক্ষেত্রে জিরো টলারেন্স নীতি অবলম্বন করায় সাধারণ জনগণের মনে আস্থা ও বিশ্বাস অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে।

  এরই ধারাবাহিকতায় র‌্যাব-৭, চট্টগ্রাম পৃথক ০৩টি অভিযান পরিচালনা করে ০৫ জন মাদক কারবারি'কে আটক এবং মাদক পরিবহনে ব্যবহৃত ০২টি গাড়ি জব্দ করতে সক্ষম হয়। অপারেশনের বিস্তারিত নিম্নরূপঃ

ক। র‌্যাব-৭, চট্টগ্রাম গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারে যে, কতিপয় মাদক ব্যবসায়ী ফেনী জেলার সীমান্তবর্তী এলাকা হতে  একটি নোহা গাড়িযোগে অবৈধ মাদকদ্রব্য বহন করে চট্টগ্রামের দিকে আসছে। উক্ত তথ্যের ভিত্তিতে অদ্য ১৮ আগস্ট ২০২৪ ইং তারিখে আনুমানিক ০১০৫ ঘটিকায় র‌্যাব-৭, চট্টগ্রামের একটি আভিযানিক দল চট্টগ্রাম জেলার সীতাকুণ্ড থানাধীন ফৌজদারহাট এলাকায় পাকা রাস্তার উপর একটি অস্থায়ী চেকপোস্ট স্থাপন করে গাড়ি তল্লাশি শুরু করে। এসময় র‌্যাবের চেক পোস্টের দিকে আসা সন্দেহজনক একটি নোহা গাড়িকে থামানোর সংকেত দিলে গাড়িটি চেক পোষ্টের কাছে এসে থামে এবং নোহা গাড়ি হতে ০২ জন ব্যক্তি সুকৌশলে পালানোর চেষ্টাকালে র‌্যাব সদস্যরা আসামি ১। মোঃ নুরুল আজিম (২৪), পিতা- মোঃ ইয়াছিন, সাং- মাটিয়াতলি এবং ২। মোঃ আমিন (১৯), পিতা- জাফর আলম, সাং- পাহাড়তলী, উভয়ের থানা- কক্সবাজার সদর, জেলা- কক্সবাজার'দেরকে আটক করতে সক্ষম হয়। পরবর্তীতে উপস্থিত সাক্ষীদের সম্মুখে আটককৃত আসামিদের জিজ্ঞাসাবাদ ও তল্লাশিকালে আসামিদের দেখানো মতে তাদের নিজ হেফাজতে থাকা নোহা গাড়ির ভিতরে বিশেষ কৌশলে রক্ষিত ০৩টি বস্তা হতে ৬০ কেজি গাঁজা উদ্ধার এবং মাদক পরিবহনে ব্যবহৃত নোহা গাড়ি সহ আসামিদেরকে গ্রেফতার করা হয়।

খ। র‌্যাব-৭, চট্টগ্রাম গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারে যে, কতিপয় মাদক ব্যবসায়ী একটি কাভার্ড ভ্যান যোগে অবৈধ মাদকদ্রব্য বহন করে চট্টগ্রাম মহানগরীর পাঁচলাইশ থানাধীন মুরাদপুর এলাকা হতে বহদ্দারহাটের দিকে আসছে। উক্ত তথ্যের ভিত্তিতে গত ১৭ আগস্ট ২০২৪ইং তারিখে আনুমানিক ২৩০০ ঘটিকায় র‌্যাব-৭, চট্টগ্রামের একটি আভিযানিক দল চট্টগ্রাম মহানগরীর পাঁচলাইশ থানাধীন মুরাদপুর হতে বহদ্দারহাট অভিমুখে মুরাদপুর ফ্লাইওভারের নিচে সবুজ মেলা নার্সারির সামনে পাকা রাস্তার উপর বিশেষ চেক পোস্ট স্থাপন করে গাড়ি তল্লাশি শুরু করে। এসময় র‌্যাবের চেক পোস্টের দিকে আসা সন্দেহজনক ০১টি কাভার্ড ভ্যান'কে থামানোর সংকেত দিলে গাড়িটি চেক পোস্টের কাছে এসে থামে এবং কাভার্ড ভ্যান হতে ০২জন ব্যক্তি সুকৌশলে পালানোর চেষ্টাকালে র‌্যাব সদস্যরা আসামি ১। মোঃ ওমর ফারুক (৫০), পিতা- মৃত শাহ আলম, সাং- বড় কমলদহ, থানা- মিরসরাই, জেলা- চট্টগ্রাম এবং ২। মোঃ মোস্তফা কামাল (৪৫), পিতা- মোঃ কবির আহাম্মদ, সাং- পশ্চিম ওলিনগর, থানা- জোরারগঞ্জ, জেলা- চট্টগ্রাম'দেরকে আটক করতে সক্ষম হয়। পরবর্তীতে উপস্থিত সাক্ষীদের সম্মুখে আটককৃত আসামিদের জিজ্ঞাসাবাদ ও তল্লাশিকালে আসামিদের দেখানো মতে তাদের হেফাজতে থাকা কাভার্ড ভ্যানের ভিতরে বিশেষ কৌশলে রক্ষিত ০৩টি বস্তা হতে ৫৩ কেজি গাঁজা উদ্ধার এবং মাদক পরিবহনে ব্যবহৃত কাভার্ড ভ্যান সহ আসামিদেরকে গ্রেফতার করা হয়।

গ। র‌্যাব-৭, চট্টগ্রাম গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারে যে, কতিপয় মাদক ব্যবসায়ী ফেনী জেলার ফেনী মডেল থানাধীন মহিপাল ফ্লাইওভার সংলগ্ন সৌদিয়া বাস কাউন্টার এলাকায় অবৈধ মাদকদ্রব্য নিয়ে গাড়িতে উঠার জন্য অবস্থান করছে। উক্ত তথ্যের ভিত্তিতে গত ১৭ আগস্ট ২০২৪ইং তারিখে আনুমানিক ২৩৪০ ঘটিকায় র‌্যাব-৭, চট্টগ্রামের একটি আভিযানিক দল বর্ণিত এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে আসামি রহমত আলী (২৩), পিতা- মৃত ওহাব, সাং- বিলাইঘাটা, থানা- শ্রীপুর, জেলা- গাজীপুর’কে আটক করতে সক্ষম হয়। পরবর্তীতে উপস্থিত সাক্ষীদের সম্মুখে আটককৃত আসামিকে জিজ্ঞাসাবাদ ও তল্লাশিকালে তার দেখানো মতে তার নিজ হেফাজতে থাকা দুইটি বস্তা হতে ২৩ কেজি গাঁজা উদ্ধার সহ আসামিকে গ্রেফতার করা হয়।

  গ্রেফতারকৃত আসামিদের জিজ্ঞাসাবাদে আরো জানা যায় যে, তারা দীর্ঘদিন যাবৎ সুকৌশলে মাদকদ্রব্য ফেনী এবং কুমিল্লা জেলার সীমান্তবর্তী এলাকা হতে স্বল্প মূল্যে সংগ্রহ করে পরবর্তীতে চট্টগ্রাম জেলা এবং মহানগরীর বিভিন্ন মাদক ব্যবসায়ী ও মাদক সেবনকারীদের নিকট অধিক মূল্যে বিক্রয় করে আসছিল। উদ্ধারকৃত মাদক দ্রব্যের আনুমানিক মূল্য ২০ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা।

গ্রেফতারকৃত আসামিদের এবং জব্দকৃত আলামত সংক্রান্তে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের নিমিত্তে তাদের চট্টগ্রাম মহানগরীর পাঁচলাইশ থানা, চট্টগ্রাম জেলার সীতাকুন্ড থানা এবং ফেনী জেলার ফেনী মডেল থানা পুলিশের নিকট হস্তান্তর করা হয়েছে।