পারভেজ রানা বিশেষ প্রতিনিধি:
বরগুনায় ১৩ বছর আগে ব্যবসায়িক দোকান ঘর জোর করে দখল নেয়ার অভিযোগে মামলা দায়ের করেছেন মোঃ হারুন অর রশিদ নামের এক ব্যবসায়ী। ওই মামলায় আসামি করা হয় বরগুনা জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব জাহাঙ্গীর কবির সহ অজ্ঞাত ব্যক্তিদের।

বুধবার সকাল ৬টায় বরগুনা জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামীলীগের বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদ জাহাঙ্গীর কবির কে গ্রেপ্তার করে বরগুনা থানা পুলিশ। পরে এই মামলার প্রধান আসামি করে আদালতে সোপর্দ করলে তাকে জেল হাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক মুহাম্মাদ মাহবুব আলম।

মামলা সূত্রে জানা যায়,  বরগুনা পৌরসভার ২ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা হারুন অর রশিদ হাওলাদার বরগুনা পুরাতন লঞ্চঘাটের পূর্ব পাশে  ডিসিআর কৃত একটি টিনশট ঘরে মটর ও পার্টস এর ব্যবসা করত। এ সময় বরগুনা জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং বরগুনা চেম্বার অব কমার্সের সভাপতি  আলহাজ জাহাঙ্গীর কবির তার কাছে ২০ লক্ষ টাকা চাঁদা দাবি করে। এত টাকা চাঁদা দিতে অস্বীকৃতি জানান মামলার বাদী। পরে চাঁদা না পেয়ে ওই আওয়ামী লীগ নেতা তার সন্ত্রাসী বাহিনী নিয়ে ২০১১ সালের জানুয়ারি মাসের ২৫ তারিখ দোকান মালিক হারুন অর রশিদের উপর হামলা চালায় এবং তার মোটর পার্টস এর দোকান দখল করে নিয়ে যায়। তখন এ বিষয়ের দোকান মালিক বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ দিয়ে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় থাকার কারণে কোন প্রতিকার পায়নি। সম্প্রতি আওয়ামী লীগ সরকারের পতন হওয়ায় তিনি ন্যায় বিচারের আশায় বুধবার ১৪ আগস্ট বরগুনা সদর থানায় চাঁদাবাজি ও দখলদারির অভিযোগ এনে মামলা দায়ের করেন।

এ ঘটনায় বরগুনা থানা পুলিশ অভিযুক্ত জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান  আলহাজ্ব জাহাঙ্গীর কবিরকে গ্রেপ্তার করেন। পড়ে তাকে আদালতে প্রেরণ করলে আদালত তার জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

মামলার বাদী মোঃ হারুন অর রশিদ হাওলাদার বলেন, আমার ব্যবসায়িক দোকান ঘর ২০১১ সালে দখল করেন বরগুনা জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির। আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় থাকার কারণে আমি তখন কোন বিচার পাইনি। তার ভয়ে আমি পালিয়ে ছিলাম। ছাত্রদের আন্দোলনের ফলে আওয়ামী লীগ সরকারের পতন হওয়ার পরে আমি ন্যায় বিচারের আশায় বরগুনা সদর থানায় মামলা দায়ের করেছি। আশা করি এখন আমি ন্যায়বিচার পাব।

সদর থানার অফিসার ইনচার্জ এ কে এম মিজানুর রহমান বলেন, চাঁদাবাজি ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান দখলের অভিযোগে বরগুনা জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আলহাদ জাহাঙ্গীর কবিরকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বিকেলে  আদালতে প্রেরণ করলে আদালত তাকে জেল হাজতে পাঠান।