নিজস্ব প্রতিবেদক:-বাংলাদেশ আমার অহংকার এই স্লোগান নিয়ে র্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে বিভিন্ন ধরণের অপরাধীদের গ্রেফতারের ক্ষেত্রে জোরালো ভূমিকা পালন করে আসছে। র্যাব সৃষ্টিকাল থেকে সমাজের বিভিন্ন অপরাধ এর উৎস উদঘাটন, অপরাধীদের গ্রেফতার সহ আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতির সার্বিক উন্নয়নে নিরলসভাবে কাজ করে চলেছে। র্যাব-৭, চট্টগ্রাম অস্ত্রধারী সস্ত্রাসী, ডাকাত, ধর্ষক, দুর্ধর্ষ চাঁদাবাজ, সন্ত্রাসী, খুনি, ছিনতাইকারী, অপহরণকারী ও প্রতারকদের গ্রেফতার এবং বিপুল পরিমাণ অবৈধ অস্ত্র, গোলাবারুদ ও মাদক উদ্ধারের ক্ষেত্রে জিরো টলারেন্স নীতি অবলম্বন করায় সাধারণ জনগণের মনে আস্থা ও বিশ্বাস অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে।
র্যাব-৭, চট্টগ্রাম গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারে যে, চট্টগ্রাম মহানগরীর কোতোয়ালি থানাধীন রিয়াজউদ্দিন রোড (চৈতন্য গলি) মেসার্স মক্কা বাণিজ্যালয় এর সামনে কতিপয় ব্যক্তি মাদকদ্রব্য ক্রয়-বিক্রয়ের জন্য অবস্থান করছে। উক্ত তথ্যের ভিত্তিতে অদ্য ০১ আগস্ট ২০২৪ইং তারিখে আনুমানিক ০২৩০ ঘটিকায় র্যাব-৭, চট্টগ্রামের একটি আভিযানিক দল বর্ণিত এলাকায় পৌঁছালে র্যাবের উপস্থিতি টের পেয়ে একজন ব্যক্তি ০১টি প্লাস্টিকের বস্তা হাতে নিয়ে কৌশলে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টাকালে র্যাব সদস্যরা আসামি মোঃ শাহাজাহান পুতুল (৪৬), পিতা- মৃত চান মিয়া, সাং- মধ্য বাসুদেবপুর, থানা- হাকিমপুর, জেলা- দিনাজপুর’কে আটক করতে সক্ষম হয়। পরবর্তীতে উপস্থিত সাক্ষীদের সম্মুখে আটককৃত আসামিকে জিজ্ঞাসাবাদ ও তল্লাশিকালে তার হেফাজতে থাকা বস্তার ভিতরে বিশেষ কৌশলে রক্ষিত এবং তার নিজ হাতে বের করে দেওয়া মতে ১৪ কেজি গাঁজা উদ্ধার সহ আসামিকে গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতারকৃত আসামিকে জিজ্ঞাসাবাদে আরও জানা যায়, সে ফেনী জেলার সীমান্তবর্তী এলাকা হতে মাদকদ্রব্য (গাঁজা) সংগ্রহ করে চট্টগ্রাম মহানগরীর বিভিন্ন মাদক ব্যবসায়ী ও মাদক সেবনকারীদের নিকট অধিক মূল্যে বিক্রয় করে আসছিল। উদ্ধারকৃত মাদকদ্রব্যের আনুমানিক মূল্য ১ লক্ষ ৪০ হাজার টাকা।
গ্রেফতারকৃত আসামি এবং উদ্ধারকৃত মাদকদ্রব্য সংক্রান্তে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের নিমিত্তে তাকে চট্টগ্রাম মহানগরীর কোতোয়ালি থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।