মঙ্গলবার, ২৯ অক্টোবর ২০২৪, ০৫:৪৫ অপরাহ্ন
নিজস্ব প্রতিবেদক:-
র্যাব প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে সমাজের বিভিন্ন অপরাধের উৎস উদঘাটন, অপরাধীদের গ্রেফতার, আইন-শৃঙ্খলার সামগ্রিক উন্নয়নে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। বিভিন্ন অপরাধীদের গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনার জন্য র্যাব ফোর্সেস নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করে থাকে। জঙ্গি, মাদক, অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী, ডাকাত, সড়ক ও মহাসড়কে চাঁদাবাজ, সাজাপ্রাপ্ত আসামী ও বিভিন্ন চাঞ্চল্যকর অপরাধীকে গ্রেফতারের লক্ষ্যে র্যাব-৭ নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করে আসছে।
এরই ধারাবাহিকতায় র্যাব-৭ ও র্যাব-১১ বেপরোয়া গতিতে বাস চালানো ঘাতক চালক চাঞ্চল্যকর অপরাধী ধৃত ১। মো: একরাম (৪২), পিতা-জানু মিয়া, সাং-কেছকিমুড়া দক্ষিণ পাড়া, থানা-চৌদ্দগ্রাম, জেলা-কুমিল্লা’কে ফেনী জেলার সদর থানা এলাকায় যৌথ অভিযান পরিচালনা করে গ্রেফতার করে।
প্রাথমিকভাবে জানা যায়, গত ৮ জুলাই, ২০২৪ ইং সোমবার সকালে সদর উপজেলার পূর্ব হাজিরপাড়া এলাকায় লক্ষ্মীপুর-ঢাকা আঞ্চলিক মহাসড়কে বেপরোয়া বাসের গতির কারণে দুজন নিহত হওয়ার ঘটনা ঘটে। নিহতরা হলেন-চার বছর বয়সি শিশু মিম আক্তার ও তার নানা নছির মোল্লা। উভয়ে ভোলা জেলার বাসিন্দা। নানা-নাতনি চট্টগ্রামগামী বাসের যাত্রী ছিলেন। বাসটি পূর্ব হাজিরপাড়া এলাকার ওই স্থানে পাম্পে দাঁড়ালে নছির তার নাতনিকে নিয়ে রাস্তার বিপরীত পাশে কিছু কেনার উদ্দেশ্যে দোকানে যাচ্ছিলেন। রাস্তা পারাপারের সময় যমুনা পরিবহনের একটি বাস বেপরোয়া গতিতে তাঁদের চাপা দেয়। ঘটনাস্থলেই মারা যায় শিশু মিম আক্তার। নানা নছিরও গুরুতর আহত হন। তাকে উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে নিলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনিও মারা যান। ঘটনার পরপরই ঘাতক বাসের চালক পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় সারাদেশে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। ঘটনার পরপরই র্যাব ঘাতক চালক শনাক্তকরণের কাজ শুরু করে ও তদন্ত শুরু করে। এরই ধারাবাহিকতায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে *র্যাব-৭ এবং র্যাব-১১ এর একটি যৌথ আভিযানিক দল ফেনী জেলার সদর থানাধীন এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে সূত্রঃ- লক্ষ্মীপুর জেলার চন্দ্রগঞ্জ থানার এফআইআর নং-০৫/১৫৫, তারিখঃ ৮/০৭/২০২৪ ইং, ৯৮/১০৫ সড়ক পরিবহন আইন ২০১৮; মূলে বর্ণিত ক্লুলেস হত্যা মামলার পলাতক আসামী ধৃত ১। মো: একরাম (৪২), পিতা-জানু মিয়া, সাং-কেছকিমুড়া দক্ষিন পাড়া, থানা-চৌদ্দগ্রাম, জেলা-কুমিল্লা’কে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়।* প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আসামী তার দোষ স্বীকার করে এবং বলে সে যমুনা বাসের চালক ছিলো। ধৃত আসামীকে পরবর্তী আইনি কার্যক্রমের জন্য চন্দ্রগঞ্জ হাইওয়ে থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।