শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৫:৫১ পূর্বাহ্ন
নিজস্ব প্রতিবেদক:-বাংলাদেশ আমার অহংকার” এই স্লোগান নিয়ে র্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে বিভিন্ন ধরণের অপরাধীদের গ্রেফতারের ক্ষেত্রে জোরালো ভূমিকা পালন করে আসছে। র্যাব সৃষ্টিকাল থেকে সমাজের বিভিন্ন অপরাধ এর উৎস উদঘাটন, অপরাধীদের গ্রেফতার সহ আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতির সার্বিক উন্নয়নে নিরলসভাবে কাজ করে চলেছে। র্যাব-৭, চট্টগ্রাম অস্ত্রধারী সস্ত্রাসী, ডাকাত, ধর্ষক, দুর্ধর্ষ চাঁদাবাজ, সন্ত্রাসী, খুনি, ছিনতাইকারী, অপহরণকারী ও প্রতারকদের গ্রেফতার এবং বিপুল পরিমাণ অবৈধ অস্ত্র, গোলাবারুদ ও মাদক উদ্ধারের ক্ষেত্রে জিরো টলারেন্স নীতি অবলম্বন করায় সাধারণ জনগনের মনে আস্থা ও বিশ্বাস অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে।
র্যাব-৭, চট্টগ্রাম গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারে যে, চট্টগ্রাম মহানগরীর খুলশী থানার মামলা নং-১৭(১১)১৫, জিআর-২৫৯/১৫, ১৯৯০ সনের মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের ২২(গ) ও ১৯(১) ও ৯ (খ) ধারায় ০৫ বছর ও ০২ বছরের সাজাপ্রাপ্ত ওয়ারেন্টভুক্ত পলাতক আসামি খায়রুল বাশার সুমন চট্টগ্রাম মহানগরীর পাঁচলাইশ থানাধীন পূর্ব নাসিরাবাদ এলাকায় অবস্থান করছে। উক্ত তথ্যের ভিত্তিতে র্যাব-৭, চট্টগ্রাম এর একটি আভিযানিক দল গত ২৫ জুন ২০২৪ ইং তারিখে আনুমানিক ১২০০ ঘটিকায় বর্ণিত এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে আসামি খায়রুল বাশার সুমন (৪০), পিতা-মৃত হাফিজ আহম্মেদ, সাং-পশ্চিম গহিরা খন্দকার বাড়ী, রাউজান পৌরসভা, থানা-রাউজান, জেলা-চট্টগ্রাম’কে আটক করতে সক্ষম হয়।
পরবর্তীতে উপস্থিত সাক্ষীদের সম্মুখে আটককৃত আসামিকে জিজ্ঞাসাবাদে সে উপরোক্ত নাম-ঠিকানা প্রকাশ করতঃ বর্ণিত মামলায় সাজাপ্রাপ্ত ওয়ারেন্ট ভুক্ত আসামি হওয়ার বিষয়টি স্বীকার করে। জিজ্ঞাসাবাদে আরো জানা যায় যে, আইন শৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনীর নিকট হতে গ্রেফতার এড়াতে চট্টগ্রাম মহানগরীর বিভিন্ন স্থানে দীর্ঘ ০৯ বছর যাবৎ সে আত্মগোপন করে আসছিল।
গ্রেফতারকৃত আসামি সংক্রান্তে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের নিমিত্তে তাকে চট্টগ্রাম জেলার রাউজান থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।