1. admin@dailyoporadhonusondhanltd.net : admin :
শিরোনামঃ
বটিয়াঘাটা সরস্বতী মাধ্যমিক বিদ্যাপীঠে সিরাতুন্নবী ও সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত শিবগঞ্জে স্কুল মাঠে গরু ছাগলের হাট ডিবির অভিযানে তালতলীতে ১৮০ ইয়াবা সহ আটক ১ বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে শহীদ রথিন বিশ্বাসের পরিবারের পাশে গোপালগঞ্জ জেলা প্রশাসক কোটালীপাড়ায় গোপালগঞ্জ জেলা প্রশাসকের সাথে সাংবাদিকদের মতবিনিময় র‍্যাব-৭ ও র‍্যাব-১১ এর যৌথ আভিযানে ০৪ আগস্ট ২০২৪ খ্রি. বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনরতদের উপর গুলিবর্ষণের মাধ্যমে হত্যা চেষ্টা মামলার আসামি সুলাইমান বাদশা আটক। র‌্যাব-৭, চট্টগ্রাম’র অভিযানে অপহৃত সিএনজি ফিলিং স্টেশনের কর্মচারীকে জীবিত উদ্ধার এবং অপহরণের মূলহোতা ও অটোরিক্সা জব্দ সহ অপহরণকারী গ্রেফতার-০৭ র‌্যাব-৭, চট্টগ্রাম’র অভিযানে ধর্ষণের চেষ্টা ও পর্নোগ্রাফি মামলার মূলহোতা সহ গ্রেফতার-০৩ বরিশাল রেঞ্জ ডিআইজি মহোদয় বরগুনা জেলার সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় সভায় যোগদান। চট্টগ্রাম সি ই পি জেড এ কর্মরত তহমিনা নামের এক গার্মেন্টস কর্মী নিখোঁজ

ভুয়া জননী ডেন্টাল খুলে আজিম হাওলাদারের প্রতারণার নতুন ফাঁদ।

  • আপডেট সময়ঃ মঙ্গলবার, ২৫ জুন, ২০২৪
  • ২৪ জন দেখেছেন

মোঃ ইলিয়াস হাওলাদার চট্টগ্রাম।চট্টগ্রাম নগরীর ইপিজেড থানার ৩৯নং ওয়ার্ডস্থ বন্দরটিলা আলীশাহ মাঝার গলির শেষ প্রান্তে জননী ডেন্টাল কেয়ার এন্ড ল্যাব নামে একটি ভূয়া প্রতিষ্ঠান খুলে চিকিৎসা সেবার নামে সাধারণ মানুষের সাথে প্রতারণা করার অভিযোগ উঠছে ভূয়া চিকিৎসক আজিম হাওলাদারের বিরুদ্ধে। দীর্ঘদিন ধরে অনুসন্ধান করে এসব তথ্য বেড়িয়ে আসলো সংবাদমাধ্যমের হাতে।গত ৭ জুন শুক্রবার সন্ধ্যায় এক ভুক্তভোগী অভিযোগ করে বলেন,২০২১ সালে জননী ফেয়ার এন্ড ল্যাব নামে একটি ডেন্টালে গেলে ভূয়া চিকিৎসক আজিম হাওলাদার আমাকে বলে আপনার সবগুলো দাঁত নষ্টের পথে আপনি দ্রুত আপনার দাঁতের চিকিৎসা করুন,অন্যথায় আপনার সবগুলো দাঁত নষ্ট হয়ে জাবে,ভূয়া আজিম হাওলাদারের পরামর্শ অনুযায়ী সবগুলো দাঁত বাবদ কন্টাক করি ৩৯০০০ উনেচল্লিশ হাজার টাকা,তার মধ্যে জমা দিয়েছি ৭০০০ সাত হাজার টাকা বাকি টাকা দেয়ার আগেই আমার সকল দাঁত নষ্ট হয়েছে। এসব ভূয়া ডেন্টাল অলিগলিতে খুলে হাতুড়ে ডাক্তারের ভূতুড়ে চিকিৎসায় বিপাকে পড়েছেন আমার মতো সাধারণ মানুষ। এই সব ভুয়া ডাক্তারদের চিকিৎসায় সাধারণ মানুষ ভোগান্তির শিকার হচ্ছে, স্বাস্থ্য প্রশাসন কোন পদক্ষেপ নিচ্ছে না বলে জানান তিনি। অনুসন্ধানে আরও জানা গেছে চট্টগ্রাম শহরের ইপিজেড পতেঙ্গা এলাকায় এসব ভূয়া ডক্টর ও ভূয়া চিকিৎসকের দৌরাত্ম বেশি। এসকল চেম্বারে সরকার অনুমোদিত কোন ডেন্টাল ডাক্তার না এরা। এস ভূয়া চেম্বার খুলে প্রতিদিন রোগী দেখার নামে হাতিয়ে নিচ্ছেন মোটা অংকের টাকা।

এমনকি কিশোর বালকদেরও দাঁতের চিকিৎসা দিয়ে আসছে এই চিকিৎসক। তারা বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান থেকে প্রশিক্ষণ না নিয়ে নিজের নামের আগে বাংলাদেশ ডেল্টাল লাগিয়ে আসছে যা শাস্তিযোগ্য অপরাধ। এবং সাইনবোর্ড, প্রেসক্রিপশন প্যাড, ভিজিটিং কার্ড ইত্যাদিতে তিনি চিকিৎসক লাগিয়েছেন। বিভিন্ন জায়গায় ভুয়া ডিগ্রী লাগিয়ে রোগীদের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।

নিজের প্যাড ও সিল ব্যবহার করে রোগী দেখেন বলে অভিযোগ আছে আজিম হাওলাদার নামে এই ভূয়া চিকিৎসকের তিনি নিজেকে পরিচয় দেন বিশিষ্ট দন্ত চিকিৎসক। এবিষয়ে ডেল্টালের সিনিয়র এক ডক্টরের সাথে কথা বললে তিনি বলেন, সরকারি অনুমোদন না থাকলেও এ ধরনের চিকিৎসকরা দেশের আনাচে কানাচে চিকিৎসা বাণিজ্য চালিয়ে যাচ্ছেন। কাজ করতে করতে চিকিৎসা শাস্ত্রের উপর ভাল অভিজ্ঞতা অর্জন করে চিকিৎসা এবং নামের আগে ভুয়া ডিগ্রি লাগিয়ে রোগীদের দৃষ্টি আকর্ষণ করে,সকল প্রকার রোগীদের ব্যবস্থাপত্র দিয়ে আসছে। মেডিকেল ও ডেন্টাল কাউন্সিল আইন, ১৯৮০ (১৯৮০ সালের ১৬ নং আইন) রহিতক্রমে কতিপয় সংশোধনীর ২২ (১) এই আইনের অধীন নিবন্ধন ব্যতীত কোন মেডিকেল চিকিৎসক বা ডেন্টাল চিকিৎসক এলোপ্যাথি চিকিৎসা করিতে অথবা নিজেকে মেডিকেল চিকিৎসক, ক্ষেত্রমত, ডেন্টাল চিকিৎসক বলিয়া পরিচয় প্রদান করিতে পারবে না। (২) কোন ব্যক্তি উপ-ধারা (১) এর বিধান লংঘন করিলে উক্ত লংঘন হবে একটি অপরাধ। এবং তজ্জন্য তিনি ৩ (তিন) বৎসর কারাদন্ড অথবা ১ (এক) লক্ষ টাকা অর্থদন্ড অথবা উভয় দন্ডে দন্ডনীয় হবেন। প্রতারণামূলক প্রতিনিধিত্ব বা নিবন্ধনের দন্ড ২৮। (১) যদি কোন ব্যক্তি প্রতারণার আশ্রয় লইয়া ইচ্ছাকৃতভাবে নিজেকে একজন স্বীকৃত মেডিকেল চিকিৎসক বা স্বীকৃত ডেন্টাল চিকিৎসক হিসাবে এই আইনের অধীনে নিবন্ধন, অথবা নিবন্ধন করিবার উদ্যোগ গ্রহণ, অথবা মিথ্যা বা প্রতারণামূলক প্রতিনিধিত্ব প্রকাশ করিবার চেষ্টা করেন,অথবা মৌখিক বা লিখিতভাবে উক্তরূপ ঘোষণা করেন, তাহলে উক্ত ব্যক্তির অনুরূপ কার্যকর্ম বন্ধ হবে,এবং তজ্জন্য তিনি ৩ বৎসর কারাদন্ড অথবা ১ (এক) লক্ষ টাকা অর্থদন্ড বা উভয় দন্ডে দন্ডনীয় হবেন। এসকল ভূয়া ডাঃ মেডিক্যাল এ্যান্ড ডেন্টাল কাউন্সিলের নিবন্ধন ছাড়া চিকিৎসা কার্য পরিচালনা করছেন। দন্ত চিকিৎসক সাইনবোর্ড, প্রেসক্রিপশন প্যাড, ভিজিটিং কার্ড ইত্যাদিতে ডাঃ ব্যবহার করছেন। দিনের পর দিন আইনের পরিপন্থী এবং শাস্তিযোগ্য অপরাধ করে আসছেন। আবার কোন কোন সময় তাদের ব্যবস্থাপত্রে এমন কিছু ঔষধ লিখছেন, যা সরকার কর্তৃক নিষিদ্ধ।

এ ব্যাপারে চট্টগ্রাম স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তার কাছে জানতে চাইলে তিনি
বলেন, ঊর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষে নির্দেশ ছাড়া আমরা কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারি না। তারা নির্দেশ দিলেই তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।

এবিষয়ে নির্বাহী কর্মকর্তা… কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন,স্বাস্থ্য সংক্রান্ত চিকিৎসা প্রতিষ্ঠানগুলোর উপর মনিটরিং ব্যবস্থা জোরালো করতে হবে। কেউ যদি নামের আগে ভুয়া ডিগ্রি লাগিয়ে রোগীদের দৃষ্টি আকর্ষণ করে ভুল চিকিৎসা প্রদান করে তবে তাকে আইনের আওতায় এনে ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।

শেয়ার করুন

আরো দেখুন......