রবিবার, ১০ নভেম্বর ২০২৪, ১০:৫৭ পূর্বাহ্ন
নিজস্ব প্রতিবেদক:-
গত ০৯/০৬/২৪ খ্রি. ভোর আনুমানিক ০৪:৩০ ঘটিকার সময় পতেঙ্গা সি-বিচে প্রবেশের পথে গোলচত্বর থেকে আনুমানিক ৫০ গজ দক্ষিণে অস্থায়ী কন্টেইনারের সামনে পাকা রাস্তার উপর পৌঁছামাত্র মোটরসাইকেলের সাইলেন্সার পাইপের বিকট শব্দ করাকে কেন্দ্র করে অজ্ঞাতনামা ১৫/২০ জন লোক মোঃ মনিরুজ্জামান রাফি (২৫)-কে একই উদ্দেশ্যে বেআইনি জনতাবদ্ধে পথরোধ করে প্রাণে হত্যার উদ্দেশ্যে ছুরিকাঘাত করতঃ গুরুতর রক্তাক্ত জখম করে হত্যা করার অপরাধে ভিকটিমের মাতা এজাহার দায়ের করলে পতেঙ্গা মডেল থানায় মামলা রুজু হয়।
মামলা রুজুর পর তদন্তকারী কর্মকর্তা প্রাথমিক তদন্তে জানতে পারেন যে, গত ০৯/০৬/২৪ খ্রি. রাতেরবেলা ভিকটিম মোঃ মনিরুজ্জামান রাফি ও তার বন্ধু মোঃ রায়সান, তানজিল, রাজুসহ কোরবানির পশুরহাটে গরু দেখা শেষে ০৯/০৬/২৪ খ্রি. রাত আনুমানিক ০৩:০০ ঘটিকার সময় দুটি মোটরসাইকেলযোগে পতেঙ্গা মডেল থানাধীন সিবিচ এলাকায় ঘুরাফেরা করাকালে তাদের চালিত মোটরসাইকেলের সাইলেন্সার পাইপের বিকট শব্দ করাকে কেন্দ্র করে সি-বিচ এলাকায় অবস্থানরত কয়েকজন ছেলের সাথে বাকবিতণ্ডা ঘটলে স্থানীয় একজন ব্যবসায়ী সি-বিচ এলাকায় জনৈক রবিনের দোকানে উভয়পক্ষকে নিবৃত করে দিলে যে যার মতো চলে যায়। তখন ভিকটিম মোঃ মনিরুজ্জামান রাফি ও তার বন্ধুরা কিছুক্ষণ বিচ এলাকায় অবস্থান করে তাদের চালিত মোটরসাইকেলযোগে রওয়ানা করে ভোর আনুমানিক ০৪:৩০ ঘটিকার সময় পতেঙ্গা মডেল থানাধীন সি-বিচে প্রবেশের পথে গোলচত্বর থেকে আনুমানিক ৫০ গজ দক্ষিণে অস্থায়ী কন্টেইনারের সামনে পাকা রাস্তার উপর পৌঁছামাত্র পূর্বের ঘটনাকে কেন্দ্র করে দুটি মোটরসাইকেলে আগত ১। মোঃ জাহিদুল ইসলাম (২২), ২। মোবারক হোসেন (২৩), ৩। মোঃ ইকবাল হোসেন ইমন (২২)-সহ এবং বিচ এলাকায় অবস্থানরত ৪। শাহরিয়ার আল আহমেদ (২০), ৫। তাহরিয়ার আহমেদ বাঁধন (২০), ৬। মোঃ মারুফ চৌধুরী (২১), ৭। মোঃ জুবায়ের বাশার (৩৪)-সহ অজ্ঞাতনামা ১৫/২০ জন আসামি ভিকটিম ও তার বন্ধুদেরকে এলোপাথাড়ি মারধর করতে থাকে। মারধরের এক পর্যায় আসামি মোবারক হোসেন তার হাতে থাকা ধারালো টিপছোরা দিয়ে ভিকটিম মোঃ মনিরুজ্জামান রাফিকে এলোপাথাড়ি গলার বাম পাশে, বাম হাতের কনুইয়ের নিচে, ডান পায়ের উরুতে উপর্যুপরি ঘাই মারলে ভিকটিম অজ্ঞান হয়ে লুটিয়ে পড়ে। অন্যান্য আসামিরা ভিকটিমের সঙ্গে থাকা তার বন্ধু মোঃ রায়সানকে প্রাণে হত্যার উদ্দেশ্যে ঘাই মেরে তার হাতে ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে গুরুতর রক্তাক্ত জখম করে পালিয়ে যায়।
ঘটনার পর পতেঙ্গা মডেল থানা পুলিশ আসামি গ্রেফতারে তৎপর হয়ে বিভিন্ন জায়গায় অভিযান পরিচালনা করে। এরই ধারাবাহিকতায় ০৯/০৬/২৪ খ্রি. তারিখ পতেঙ্গা মডেল থানা পুলিশের একটি চৌকশ দল ঘটনার সাথে জড়িত মোঃ ইকবাল হোসেন ইমন, শাহরিয়ার আল আহমেদ, তাহরিয়ার আহমেদ বাঁধন, মোঃ মারুফ চৌধুরী, মোঃ জুবায়ের বাশারদেরকে গ্রেফতার করে। এরপর আরেকটি অভিযান পরিচালনা করে আসামি ১। মোঃ জাহিদুল ইসলাম ও ২। মোবারক হোসেনকে চট্টগ্রামের কোতায়ালী থানাধীন ব্যাটারি গলি এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয় এবং হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত টিপছোরা উদ্ধার করা হয়।