শনিবার, ০৯ নভেম্বর ২০২৪, ১০:২৮ অপরাহ্ন
পারভেজ রানা,বিশেষ প্রতিনিধিঃ বরগুনার আমতলী উপজেলার কুকুয়া ইউনিয়নের এক গৃহবধূকে পার্শ্ববর্তী গ্রামের মনির ফকির (৪৫) এর কু-প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় ঐ নারীর পরিবারকে এলাকা ছাড়ার হুমকি দেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
সরজমিনে গিয়ে জানা গেছে, আমতলী উপজেলার কুকুয়া ইউনিয়নের পূর্ব কুকুয়া গ্রামের জুয়েল মিস্ত্রি ঢাকায় একটি গার্মেন্টসে চাকরি করেন।বাড়িতে স্ত্রী এবং দুই ছেলে সন্তান নিয়ে বসবাস করেন।স্বামী না থাকার সুযোগে পার্শ্ববর্তী পূর্ব চুনাখালী গ্রামের মনির ফকির (৪৫) পিতা -আকব্বর ফকির দীর্ঘদিন ধরে ওই নারীকে বিভিন্নভাবে অনৈতিক সম্পর্কের জন্য কু-প্রস্তাব দিয়ে আসছে। তার কু-প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় পরিবারকে ভয়-ভীতি হুমকি ও দিতেছিল। ভয় আর আতংকে দুই সন্তান নিয়ে নিজের ঘরেও থাকতে পারছে না ঐ নারী।
ভুক্তভোগী গৃহবধূ মরিয়ম (ছদ্ধ নাম) বলেন,মনির ফকির আমার উপর অনেক অত্যাচার করতে আছে তার কথা আমি মানি নাই তারপর অনেক ধমকি দেহাইতেছে তোমার ভাইরে মাইরালাম তোমার পোলাপান মাইরালামু।ওর জালায় নিজের ঘরেও থাকতে পারিনা দুই পোলা লইয়া এহন মানসের বাড়ি থাহি।আমি এইয়ার বিচার চাই।
গৃহবধূর ভাই জাহাঙ্গীর সরদার বলেন,আমার বুইন জামাই ঢাকা থাহে। বুইনে দুই পোলা লইয়া বাড়ি থাহে।মনির ফকির আমার বুইনেরে দাবায় দমকায়। ওর জালায় আমি বুইনেরে একবার ঢাকাও পাঠাইছি। বাড়িতে আইয়া ও থাকতে পারেনা ভয় ভীতি দেহায়।আমি এর বিচার চাই।
ভুক্তভোগী নারীর স্বামী জুয়েল মিস্ত্রি বলেন,আমার বউ বাড়িতে থাকে দুই পোলা লইয়া। আমি ঢাকায় গার্মেন্টসে চাকরি করি।মনির ফকির আমার পরিবারকে বিভিন্ন ভাবে কু- প্রস্তাব দেয় তাতে রাজি না হলে ভয়ভীতি দেখায়। আমি একবার ঢাকা নিয়েও রাখছি বাড়ি আইসা থাকতে পারে না। মনির ফকিরের অত্যাচারে আমরা অতিষ্ঠ। আমি তার বিচার চাই।
অভিযুক্ত মনির ফকির অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন,আমি যদি দোষী হইয়া থাকি কেউ প্রমাণ দিতে পারে দেশের আইনে যা বিচার হয় আমি মাথা পাইত্তা নিমু।
আমতলী থানার অফিসার ইনচার্জ কাজী শাখাওয়াত হোসেন তপু বলেন,এ বিষয়ে কোন অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।