1. admin@dailyoporadhonusondhanltd.net : admin :
শিরোনামঃ
জয়পুরহাট পাঁচবিবির মোহাম্মদপুর ইউনিয়ন জামায়াতে ইসলামীর উদ্যোগে কর্মী ও সূধী সমাবেশ অনুষ্ঠিত ময়মনসিংহের ফুলপুরে জুয়ার আসর পুড়িয়ে দিলো নব যোগদানকৃতওসি রাশেদুজ্জামান: শেরপুরের নবাগত পুলিশ সুপার জনাব মোঃ আমিনুল ইসলাম মহোদয়ের যোগদান ও দায়িত্বভার গ্রহণ শেরপুরের নালিতাবাড়ীতে ফলজ বৃক্ষ উপহার পেল শিক্ষার্থীরা কোটালীপাড়ায় সাংবাদিকের বিরুদ্ধে মিথ্যা সংবাদ সম্মেলনের প্রতিবাদে পাল্টা সংবাদ সম্মেলন ফুলপুর ইসলামী ব্যাংক ম‍্যানেজারের সাথে ফুলপুর প্রেস ক্লাবের সাংবাদিকদের আলোচনা ও মতবিনিময় অনুষ্ঠিত। যৌথ বাহিনীর বিশেষ অভিযানে ফেনী জেলার সদর থানাধীন মাস্টারপাড়া এলাকা হতে ০১টি বিদেশী আগ্নেয়াস্ত্র ও  কার্তুজ উদ্ধার। জয়পুরহাটের পাঁচবিবিতে মেধাবী শিক্ষার্থীরা পেল সনদ শেরপুরে প্রতারণার ফাঁদে এক নারী জামায়াত আমিরের ‘ক্ষমা’ নিয়ে মাসুদ সাঈদীর স্ট্যাটাস

শেরপুরে বিস্ফোরক মামলার আসামী এখন ওয়ার্ড স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি ও ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক লীগের যুগ্ন সম্পাদক

  • আপডেট সময়ঃ বুধবার, ২৯ নভেম্বর, ২০২৩
  • ৬২ জন দেখেছেন

মিজানুর রহমান , শেরপুর জেলা প্রতিনিধি :

অবিশ্বাস্য হলেও সত্যি যে, বিস্ফোরক মামলায় হাজতবাস করা কাওছার মিয়া নামে এক আসামী এখন ওয়ার্ড স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি ও ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক লীগের যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক।

বিষয়টিকে কেন্দ্র করে উপজেলা আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মিদের মাঝে ব্যাপক চাঞ্চল্যকর পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে শেরপুরের ঝিনাইগাতী উপজেলার নলকুড়া ইউনিয়নে।

জানা গেছে, উপজেলার নলকুড়া ইউনিয়নের হলদীগ্রাম এলাকার বাসিন্দা ও মৃত আঃ ছাত্তারের ছেলে কাওছার মিয়া ২০১৮ সালের ১০ আগষ্ট ঝিনাইগাতী থানার জিআর- ১৩৫/১৮ নং- বিস্ফোরক মামলার ৫ নম্বর আসামী হিসেবে হাজতবাস শেষে জামিনে মুক্ত হয়। পরবর্তীতে
কাওছার মিয়া পরিকল্পিত ভাবে অর্থের বিনিময়ে কতিপয় নেতাকর্মিকে ম্যানেজ করে ২০২২ সালের ৩০ নভেম্বরে জাতীয় শ্রমিক লীগ, ঝিনাইগাতী উপজেলা শাখার অনুমোদিত নলকুড়া ইউনিয়ন শ্রমিক লীগের গঠিত ৫৫ সদস্য বিশিষ্ট কমিটিতে সিনিয়র সহ-সভাপতির পদ ভাগিয়ে নেয়। এই কমিটি প্রকাশের পর বিস্ফোরক মামলার আসামী কাওছার মিয়ার নাম দেখতে পেয়ে দলীয় নেতাকর্মিরা ক্ষোভে ফেটে পড়ে। ফলশ্রুতিতে ২০২৩ সালের ২৮ সেপ্টেম্বর ইউনিয়ন শ্রমিক লীগের সভাপতি মোঃ জজ মিয়া এবং সাধারণ সম্পাদক আশ্রাফুলের যৌথ স্বাক্ষরে তথ্য গোপন করে পদ প্রাপ্ত হওয়ায় কাওছার মিয়াকে সাংগঠনিক বিধি মোতাবেক বহিস্কার করেন।

এরপর কাওছার মিয়া নিজের রাজনৈতিক পরিচয় পাল্টে ফেলতে নলকুড়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মজিবর রহমানের সহযোগীতায় পূর্বের ন্যয় এ বছরের ২১অক্টোবর গঠিত নলকুড়া ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি এবং ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক লীগের যুগ্ন সাধারণ সম্পাদকের পদটিও ভাগিয়ে নেয়।

অথচ কাওছার মিয়ার বিরুদ্ধে দায়ের করা বিস্ফোরক মামলাটি বর্তমানেও চলমান রয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে ওই সংগঠনের নেতাকর্মিদের মাঝে ব্যাপক ক্ষোভ বিরাজ করছে।

এ ব্যাপারে বিস্ফোরক মামলার আসামী এবং নলকুড়া ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি ও ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক লীগের যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক
কাওছার মিয়া জানান,
“আমাকে ষগযন্ত্র ভাবে বিস্ফোরক মামলায় ফাঁসানো হয়েছে”।

নলকুড়া ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি আব্দুল কুদ্দুছ এ বিষয়ে সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, নলকুড়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মজিবর রহমানের সুপারিশে কাওছার মিয়াকে পদ দেয়া হয়েছে। পরবর্তীতে বিষয়টি আমরা জানতে পেরে জেলা ও উপজেলা কমিটিকে জানানো হয়েছে।

উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের আহবায়ক ছামিউল হক রনি জানান, সকল তথ্য গোপন করে কাওছার মিয়া সভাপতি ও যুগ্ন সাধারণ সম্পাদকের পদ প্রাপ্ত হয়েছে। বিষয়টি পরবর্তীতে আমরা জানতে পেরে উভয় পদ থেকে গঠনতন্ত্র মোতাবেক তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে বলে জানান তিনি।

শেরপুর জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের আহবায়ক মনির উদ্দিন আহম্মেদ জানান, কাওছার মিয়ার বিষয়টি জানার পর ৫সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে দেয়া হয়েছে। প্রতিবেদনে সত্যতা প্রমাণিত হলে গঠনতন্ত্র মোতাবেক তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।

শেয়ার করুন

আরো দেখুন......