মঙ্গলবার, ২২ অক্টোবর ২০২৪, ১১:২৯ পূর্বাহ্ন
আশরাফুল আলম সরকার
বিশেষ প্রতিনিধি:-বন বিভাগে চাকরির সুবাদে বন প্রহরির সজনদের নামে সামাজিক বনায়নের তিন একর প্লট বরাদ্দ
Date: November 21, 2023Author: shokalerkhojkhobor240
নজরুল ইসলাম,গাজীপুর উত্তর।:
ভূমিহীন, দরিদ্র, বিধবা ও দুর্দশাগ্রস্ত গ্রামীণ জনগণের সামাজিক ও অর্থনৈতিক সুবিধা নিশ্চিত করাই সামাজিক বনায়নের প্রধান লক্ষ্য। সামাজিক বনায়নের মূল উদ্দেশ্য হলো দরিদ্র জনগোষ্ঠীর কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করে তাদের স্বনির্ভর হতে সহায়তা করা এবং তাদের খাদ্য, পশুখাদ্য, জ্বালানি, আসবাবপত্র ও মূলধনের চাহিদা পূরণ করা।
ভূমিহীন,দরিদ্র,বিধবা পরিবারের মধ্যে বন বিভাগের সামাজিক বনায়নের প্লট বরাদ্দ পাওয়ার কথা থাকলেও,দেখা গিয়েছে নানান অনিয়ম দুর্নীতি ও স্বজন প্রীতি।
আর এই কাজগুলো যখন করছে স্বয়ং বন বিভাগের কর্মরতা কর্মচারীরা।
অনুসন্ধানে বেরিয়ে আসে বনে কর্মরত বন প্রহরি মশিউর রহমানের নাম।তিনি বরিশালের স্থায়ী বাসিন্দ মতিয়র রহমানের ছেলে।
তিনি ২০১৮ সালে বন বিভাগে নিয়োগ পেয়েছেন বলে জানা যায়।মশিউর রহমান বন বিভাগে চাকরি পাওয়ার পূর্বে, গাজীপুরের রাজেন্দ্রপুর হালডোবা এলাকায় অবস্থিত ফারিয়া লারা ফাউন্ডেশনে দেখাশুনার কাজ করতেন। বন ও বন্যপ্রাণী বিভাগে গাজীপুরের ভাওয়াল রেঞ্জের পশ্চিম বিটে চাকরি জীবনের সূচনা করে।এখন পর্যন্ত একই রেঞ্জের বারইপাড়া বিটের আওতায় কর্মরত অবস্থায় আছেন।
বন বিভাগে চাকরির সুবাদে ২০২০-২০২১ সনের বনায়নের প্লট বাগিয়ে নিয়েছে নিজের আত্মীয়-স্বজন এমনকি নিজের বাড়ির কাজের লোকের নামে।
এই সামাজিক বনায়নের প্লট বরাদ্দের চুক্তিনামায় দেখা যায়, মশিউর রহমানের মেয়ে জারিন তাসনিম বনায়নের ৮৪ নাম্বার প্লটে এক একর জায়গা বরাদ্দ পায়।
মশিউরের আপন ছোট ভাই আশ্রাফুর রহমান (প্রিন্স) বনায়নের ৯৩ নাম্বার প্লটে এক একর জায়গা বরাদ্দ পায়।
এ ছাড়াও মশিয়রের বাড়ির কাজের মেয়ে সাহিদা খাতুনের নামেও বনায়নের ৯০ নাম্বার প্লট বরাদ্দ নেয়ার অভিযোগ পাওয়া যায়।
এই বিষয়ে বন প্রহরি মশিউর রহমানের কাছে মুঠোফোনে জানতে চাইলে তিনি মোবাইল ফোনে কোন বক্তব্য দিতে চাননি।
সামাজিক বনায়নের প্লট বরাদ্দ নেয়ার বিষয়ে ভাওয়াল রেঞ্জের আওতাধীন রাজেন্দ্রপুর পশ্চিম বিটের বিট অফিসার কামরুজ্জামান মোল্লা বলেন আমি এই বিষয়টা জানিনা।
বিভাগীয় বন কর্মকর্তা শারমিন আক্তার বলেন, যেহেতু সামাজিক বনায়নের প্লট বনটন উপজেলা পরিষদ বন উন্নয়ন বোর্ডের অনুমোদনের মাধ্যমে হয়।উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এইটি অনুমোদন দিয়ে থাকেন।যদি তারা ভূমিহীন অসহায় দুস্থ হয়ে থাকে তাহলে তারা পেতে পারে।তবে আমি বিষয়টি জানিনা,খতিয়ে দেখে প্রয়োজনিয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।