মঙ্গলবার, ২৯ অক্টোবর ২০২৪, ০৫:৪৫ অপরাহ্ন
নিজস্ব প্রতিবেদক:-“বাংলাদেশ আমার অহংকার” এই স্লোগান নিয়ে র্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে বিভিন্ন ধরণের অপরাধীদের গ্রেফতারের ক্ষেত্রে জোড়ালো ভূমিকা পালন করে আসছে। র্যাব সৃষ্টিকাল থেকে সমাজের বিভিন্ন অপরাধ এর উৎস উদঘাটন, অপরাধীদের গ্রেফতারসহ আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতির সার্বিক উন্নয়নে নিরলসভাবে কাজ করে চলেছে। র্যাব-৭, চট্টগ্রাম অস্ত্রধারী সস্ত্রাসী, ডাকাত, ধর্ষক, দুর্র্ধর্ষ চাঁদাবাজ, সন্ত্রাসী, খুনী, ছিনতাইকারী, অপহরণকারী ও প্রতারকদের গ্রেফতার এবং বিপুল পরিমাণ অবৈধ অস্ত্র, গোলাবারুদ ও মাদক উদ্ধারের ক্ষেত্রে জিরো টলারেন্স নীতি অবলম্বন করায় সাধারণ জনগনের মনে আস্থা ও বিশ্বাস অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে।
গত ২০০৭ সালে চট্টগ্রামের রাউজান থানায় দায়েরকৃত মামলা নং ১৩(০৫)০৭, ধারা-৩৯৬ পেলান কোড ১৮৬০ এর প্রেক্ষিতে বিজ্ঞ আদালত আসামির অনুপস্থিতিতে যাবজ্জীবন কারাদন্ড প্রদান করে গ্রেফতারী পরোয়ানা জারি করেন। উক্ত গ্রেফতারী পরোয়ানার ভিত্তিতে যাবজ্জীবন কারাদন্ডপ্রাপ্ত আসামিকে আটকের জন্য র্যাব-৭, চট্টগ্রাম গোয়েন্দা নজরদারি এবং ছায়াতদন্ত অব্যাহত রাখে। নজরধারীর এক পর্যায়ে র্যাব-৭, চট্টগ্রাম গোপন সূত্রে জানতে পারে যে, বর্ণিত যাবজ্জীবন কারাদন্ডপ্রাপ্ত পলাতক আসামি জসিম উদ্দিন @ রুমন আইন শৃংখলা বাহিনীর নিকট হতে গ্রেফতার এড়াতে ছদ্মবেশে চট্টগ্রাম মহানগরীর ইপিজেড থানাধীন মাইলের মাথা এলাকায় অবস্থান করছে। উক্ত তথ্যের ভিত্তিতে র্যাব-৭, চট্টগ্রাম এর একটি আভিযানিক দল গত ১২ নভেম্বর ২০২৩ ইং তারিখ আনুমানিক ০৮৪০ ঘটিকায় বর্ণিত স্থানে অভিযান পরিচালনা করে আসামি জসিম উদ্দিন @রুমন(৪০), পিতা-মফজল আহম্মদ, সাং-ডোমখালী, থানা-রাউজান, জেলা-চট্টগ্রামকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়। পরবর্তীতে উপস্থিত সাক্ষীদের সম্মুখে গ্রেফতারকৃত আসামি’কে জিজ্ঞাসাবাদে সে সূত্রে বর্ণিত মামলায় যাবজ্জীবন কারাদন্ডপ্রাপ্ত পলাতক আসামি মর্মে স্বীকার করে। গ্রেফতারকৃত আসামি’কে জিজ্ঞাসাবাদে আরো জানা যায় সে আইন শৃংখলা বাহিনীর নিকট হতে গ্রেফতার এড়াতে চট্টগ্রাম মহানগরীর বিভিন্ন স্থানে ছদ্মবেশে আত্মগোপন করে আসছিল।
গ্রেফতারকৃত আসামি সংক্রন্তে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহনের নিমিত্তে চট্টগ্রাম জেলার রাউজান থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।