মঙ্গলবার, ২৯ অক্টোবর ২০২৪, ০৫:৪৫ অপরাহ্ন
আলীকদম (বান্দরবান) সংবাদদাতা
অন্যের ফসলি জমি ভাঙনের মুখে ফেলে এবং আলীকদম উপজেলা প্রশাসনের নাম ভাঙ্গিয়ে মাতামুহুরী নদী ও চৈক্ষ্যং খাল থেকে ড্রেজার মেশিন দিয়ে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করার অভিযোগ উঠেছে লামা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি মংক্লা মার্মা’র বিরুদ্ধে।
বালু উত্তোলনের কারণে নদীর গভীরতা সৃষ্টি হয়ে তীরবর্তী , ফসলি জমি ভাঙন ও পরিবেশ বিপর্যয়ের মারাত্মক আশঙ্কা রয়েছে। এ নিয়ে আলীকদম উপজেলা প্রশাসন বরাবর অভিযোগ দিয়েছেন এলাকাবাসী।
অভিযোগে এলাকাবাসী বলেন, গত এক সপ্তাহ ধরে দিনরাত ড্রেজার মেশিন দিয়ে বালু উত্তোলন হচ্ছে আলীকদম সদর ইউনিয়নের ছাবের মিয়া পাড়া এবং চৈক্ষ্যং মংচিং হেডম্যান পাড়ার নিকটবর্তী মাতামুহুরী নদী থেকে।
যার ফলে নদীর তীরবর্তী ফসলি জমি ভাঙ্গন দেখা দিয়েছে। ক্রমাগত বালু উত্তোলনের কারণে নদী গভীর হয়ে নদীর পাড়ে ধ্বস নামা শুরু হয়েছে।
গত এক সপ্তাহ ধরে উক্ত স্থান থেকে বালু উত্তোলনের পর এবার বেড়িবাঁধ নির্মাণ স্থানের পাশ থেকেই বালু উত্তোলনের জন্য মেশিন বসানো হয়েছে।
এতেকরে ভাঙনকৃত জায়গাটি আরো হুমকির মুখে পড়ার আশঙ্কা করছে এলাকাবাসী।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, আলীকদম উপজেলা প্রশাসনকে অবহিত করার কথা বলে সরকারী কাজে এসব বালু ব্যবহার করার পাঁয়তারা করছেন মংক্লা মার্মার ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান।
নদীতে গভীরতার সৃষ্টি করে বালু উত্তোলনের বিরূপ প্রতিক্রিয়া আগামী বর্ষা মৌসুমে দেখা দিতে পারে। বালু উত্তোলন বন্ধের ব্যাপারে আলীকদম উপজেলা প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছেন জমির বর্গাচাষী মুন্নি আক্তার।
বিভিন্ন মাধ্যমের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে একদিন রেখে আবারো বালু উত্তোলন শুরু করে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা।
এ ব্যাপারে লামা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি মংক্লা মার্মা বলেন, সরকারি কাজের স্বার্থে বালু উত্তোলন করা হচ্ছে। তিনি বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী অফিস বরাবর অবগত করেছেন।
আলীকদম উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জাবের মোঃ সোয়াইব বলেন, বালু উত্তোলনের বিষয়টি আমি জানতে পেরেছি। তবে আমি কাউকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের অনুমতি দিইনি।
তিনি আরো বলেন, বালু উত্তোলন বন্ধ করতে আমি ওই ওয়ার্ডের মেম্বার মাহাবুল আলম কে দ্বায়িত্ব দিয়েছি। এবিষয়ে ব্যবস্থা নেবেন বলে জানান তিনি।
দ্বায়িত্ব প্রাপ্তি স্বীকার করে মেম্বার মাহাবুল আলম জানান, আমি এলাকার বাহিরে আছি। এলাকায় গিয়ে বিষয়টি দেখবো।