1. admin@dailyoporadhonusondhanltd.net : admin :
শিরোনামঃ
নোয়াখালী জেলার সুধারাম থানার চাঞ্চল্যকর হত্যা মামলার এজাহারনামীয় পলাতক আসামি মোঃ রায়হান’কে চট্টগ্রামের পটিয়া থেকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব-৭ ও র‌্যাব-১১। সীতাকুণ্ডে মহাসড়ক অবরোধ করে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ যানজট সৈনিক কল্যাণ সংস্থা Uno নিকট খেজুরের বীজ প্রদান বাংলাদেশ গ্রাম ডাক্তার কল্যাণ সমিতি চট্টগ্রাম জেলা শাখা কমিটির অভিষেক অনুষ্ঠান ও মাস ব‍্যাপি সাংগঠনিক কর্মসূচি 2024 সম্পন্ন। বরগুনার তালতলীতে অবৈধ চোলাই মদসহ আটক ১ জন। “শিক্ষায় কিন্ডারগার্টেন শিক্ষকদের আন্তরিকতা প্রশংসনীয়”– “শিক্ষায় কিন্ডারগার্টেন শিক্ষকদের আন্তরিকতা প্রশংসনীয়” শেরপুরের ঝিনাইগাতী তিনজন হোটেল মালিককে ৬ হাজার টাকা জরিমানা ২ কেজি গাঁজা সহ এক মাদক ব্যবসায়ী বরগুনা ডিবি পুলিশের হাতে আটক।

র‌্যাব-৭, চট্টগ্রাম’র অভিযানে চাঞ্চ্যলকর একই সাথে চার হত্যা মামলায় যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামি এবং ডাকাত সর্দার ফজল হক গ্রেফতার

  • আপডেট সময়ঃ মঙ্গলবার, ৩ অক্টোবর, ২০২৩
  • ৯৮ জন দেখেছেন

নিজস্ব প্রতিবেদক:- বাংলাদেশ আমার অহংকার এই স্লোগান নিয়ে র‌্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব) প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে বিভিন্ন ধরণের অপরাধীদের গ্রেফতারের ক্ষেত্রে জোড়ালো ভূমিকা পালন করে আসছে। র‌্যাব সৃষ্টিকাল থেকে সমাজের বিভিন্ন অপরাধ এর উৎস উদঘাটন, অপরাধীদের গ্রেফতারসহ আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতির সার্বিক উন্নয়নে নিরলসভাবে কাজ করে চলেছে। র‌্যাব-৭, চট্টগ্রাম অস্ত্রধারী সস্ত্রাসী, ডাকাত, ধর্ষক, দুর্ধর্ষ চাঁদাবাজ, সন্ত্রাসী, খুনী, ছিনতাইকারী, অপহরণকারী ও প্রতারকদের গ্রেফতার এবং বিপুল পরিমাণ অবৈধ অস্ত্র, গোলাবারুদ ও মাদক উদ্ধারের ক্ষেত্রে জিরো টলারেন্স নীতি অবলম্বন করায় সাধারণ জনগনের মনে আস্থা ও বিশ্বাস অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে।

 

গত ১৭ এপ্রিল ২০০৩ তারিখ নোয়াখালী জেলার হাতিয়া থানাধীন চর এলাকায় জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে দুপক্ষের মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষ হয়। ধৃত আসামীর বক্তব্য অনুযায়ী উক্ত সংঘর্ষে ধারালো দেশীয় অস্ত্রের এলোপাথাড়ি আক্রমণে ঘটনাস্থলে চারজনের মৃত্যূ হয়। উক্ত ঘটনার প্রেক্ষিতে একইদিন নোয়াখালী জেলার হাতিয়া থানায় ৮ জনের নামে একটি হত্যা মামলা রজু হয়। যার মামলা নং-৬, তারিখঃ ১৭ এপ্রিল ২০০৩, ধারা-৩০২/৩৪ পেনাল কোড। মামলা রুজু হওয়ার পর থেকে বিভিন্ন সময়ে উক্ত হত্যাকন্ডের ঘটনায় জড়িত আসামিরা গ্রেফতার হলেও পলাতক থেকে যায় ঘটনার অন্যতম প্রধান আসামি ফজল হক। এ মামলায় দাখিলকৃত চার্জশিট এর প্রেক্ষিতে বিজ্ঞ আদালত গ্রেফতারকৃত আসামিকে দন্ডবিধি-৩০২/৩৪ ধারায় দোষী সাব্যস্ত করে যাবজ্জীবন কারাদন্ড এবং ৫০০০ টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও ছয় মাসের সশ্রম কারাদন্ড প্রদান করে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন।

এরই প্রেক্ষিতে র‌্যাব-৭, চট্টগ্রাম গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারে যে, বর্ণিত হত্যা মামলায় যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামী চট্টগ্রাম মহানগরীর বায়েজিদ বোস্তামী এলাকায় অবস্থান করছে। উক্ত তথ্যের ভিত্তিতে গত ০২ অক্টোবর ২০২৩ইং তারিখ র‌্যাব-৭, চট্টগ্রামের একটি অভিযানিক দল বর্ণিত এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে আসামি ফজল হক (৫৫), পিতা- মৃত মাহে আলম, সাং- চর আফজল, থানা- রামগতি, জেলা-লক্ষীপুর’কে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়। পরবর্তীতে উপস্থিত সাক্ষীদের সম্মুখে আটককৃত আসামীকে জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করে যে, সে বর্ণিত একই সাথে চার হত্যা মামলায় যাবজ্জীবন কারাদন্ডপ্রাপ্ত ও ৫০০০ টাকা জরিমানা এবং অনাদায়ে আরও ছয় মাসের সশ্রম কারাদন্ডা প্রাপ্ত পলাতক আসামী।

গ্রেফতারকৃ আসামীকে জিজ্ঞাসাবাদে আরো জানা যায়, মামলা পরবর্তী সময়ে সে সপরিবারে নিজ এলাকা থেকে চট্টগ্রাম এসে আত্মগোপণ করে এবং দীর্ঘ ২০ বছর যাবৎ চট্টগ্রামের বায়েজিদ এলাকায় নিজ পরিচয় গোপণ করে রাজমিস্ত্রি, দারোয়ানসহ নিজেকে বিভিন্ন পেশায় নিয়োজিত করে রাখে। এছাড়াও তার বাড়ি লক্ষীপুর হলেও বায়েজিদ এলাকার লোকজন তাকে নোয়াখালীর বাসিন্দা হিসেবে জানে। সর্বশেষ গত ৪/৫ মাস যাবৎ পরিচয় গোপন করে বায়েজিদ এলাকার একটি বসতবাড়ির সিকিউরিটি গার্ড হিসেবে চাকুরি করে আসছিল।

 

গ্রেফতারকৃত আসামী সংক্রান্তে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহনের নিমিত্তে সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।

শেয়ার করুন

আরো দেখুন......