বুধবার, ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০৯:০৯ অপরাহ্ন
নিজস্ব প্রতিবেদক:-
ভাড়া করা একটি ফ্লোর বা কয়েকটি কক্ষ থাকলেই পরিচালনা করা যায় একটি কিন্ডারগার্টেন স্কুল। এসব কিন্ডারগার্টেন স্কুলে শিক্ষক নিয়োগেরও নেই কোনো নিয়মকানুন। যত্রতত্র গড়ে উঠা এসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থীর সংখ্যাও যাচ্ছে তাই। কোনো কোনো স্কুলে শিক্ষার্থীর সংখ্যা ১৫ থেকে ২০ জন। তবে এসবের লাগাম টানার উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। কিন্ডারগার্টেন স্কুল পরিচালনার জন্য নীতিমালা তৈরি করেছে। সরকারের এই সিদ্ধান্তে চট্টগ্রামের কিন্ডারগার্টেন পরিচালকদের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া তৈরি হয়েছে। তারা এটিকে ইতিবাচকভাবে গ্রহণ করলেও নীতিমালা বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে আদৌ কি ঘটবে তা নিয়ে কপালে চিন্তার ভাঁজ পড়েছে।
জানা যায়, চট্টগ্রামে জেলা ও মহানগর মিলিয়ে কিন্ডারগার্টেন স্কুল পরিচালকদের বেশ কয়েকটি সংগঠন রয়েছে। এসব সংগঠনের হিসাব মতে, চট্টগ্রাম জেলা ও
মহানগরে প্রায় ২২শ এর বেশি কিন্ডারগার্টেন স্কুল রয়েছে। উপজেলার তুলনায় মহানগরে এ ধরনের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা অনেক বেশি। মহানগরে ১২শ কিন্ডারগার্টেন রয়েছে। আর এক হাজার কিন্ডারগার্টেন স্কুল রয়েছে জেলায়। নগরীর বিভিন্ন এলাকায় ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে এ রকম অসংখ্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। কোনো কোনো এলাকায় এক ভবনে কয়েকটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান পরিচালিত হয়ে আসছে। তবে নতুন নীতিমালায় এভাবে যেখানে-সেখানে কিন্ডারগার্টেন স্কুল পরিচালনার সুযোগ কমে আসছে। নতুন নীতিমালা অনুযায়ী, কিন্ডারগার্টেন নামে কোনো শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থাকবে না। বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়” হিসেবে নতুন নামকরণ করা হবে এসব প্রতিষ্ঠানের। প্রতিষ্ঠান পরিচালনার জন্য মহানগরে ৮ শতক, পৌরসভায় ১২ শতক এবং গ্রাম এলাকায় ৩০ শতক জায়গা থাকতে হবে। এই জায়গা প্রতিষ্ঠানের নামে কিংবা ভাড়া করা হতে পারে।