মঙ্গলবার, ২৯ অক্টোবর ২০২৪, ০৫:৪৬ অপরাহ্ন
এনামুল কবীর এনাম বদলগাছী প্রতিনিধিঃ নওগাঁ
নওগাঁর বদলগাছী উপজেলার বেগুন জোয়ার উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও সহকারী শিক্ষিকার বিদ্যালয়ের অফিস কক্ষে অনৈতিক কর্মকান্ডের ভিডিও ঘটানার সত্যতা পেয়েছে তদন্ত কমিটি । উক্ত ঘটনার কয়েকটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল এবং স্থানীয়দের লিখিত অভিযোগের সত্যতা সঠিক চাকরিবিধির ১১ এর (ই) (এইচ) ধারা অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়ার সুপারিশ করেছেন তদন্ত কমিটির উপজেলা মাধ্যমিক সহকারী শিক্ষা অফিসার শেখ মোঃ আব্দুল্লাহ আল মামুন।
উক্ত কমিটির সদস্যরা হলেন, উপজেলা অ্যাকাডেমিক সুপারভাইজার অঞ্জন কুমার কুন্ডু, ও ঐ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মিঠন কুমার।
এঘটনায় তদন্ত কর্মকর্তাগণ গত ১২ জুলাই সরেজমিনে বিত্যালয়ে শিক্ষক-কর্মচারীদের বক্তব্য, শিক্ষার্থীদের বক্তব্য ও স্থানীয়দের পৃথক পৃথকভাবে গোপনে কথা বলেছেন। বক্তব্যে দীর্ঘদিন ধরে বিদ্যালয়ের অফিস রুমে অনৈতিক কর্মকান্ডের কথা জানিতে পারে ঐ দুই শিক্ষকের এবং সুবিচার দাবী করেন। গত ২৮ জুলাই সহকারী শিক্ষিকা রিফাত আরা কে, গত ৫ আগস্ট প্রধান শিক্ষক আবু সাদাত শামীম আহমেদকে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসে ডেকে বক্তব্য গ্রহন করেন তদন্ত কমিটি । বক্তব্যে তারা ভাইরাল হওয়া ঐ ভিডিওটি এডিট করা হয়েছে বলে দাবি করেন। তদন্ত কমিটি সংশ্লিষ্ট সকলের দেওয়া তথ্য প্রমাণাদি সহ দীর্ঘ দেড়মাস সময় নিয়ে যাচাই-বাছাই শেষে ভিডিও’এর সত্যতা নিশ্চিত হয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সহ সংশ্লিষ্ট দপ্তরে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন গত ২৩ আগষ্ট । প্রধান শিক্ষক আবু সাদাত শামিম আহমেদ বিদ্যালয়ের ছাত্রীদের বিভিন্ন কুপ্রস্তাব দিয়ে আসতেন এবং বেশ কয়েকবার বিচারের মুখামুখি ও হয়েছেন। কিন্তু অদৃশ্য শক্তির কারণে প্রতিবারেই ছাড় পেয়ে যান। বিদ্যালয়ের ইংরেজি সহকারী শিক্ষিকা মোছাঃ রিফাত আরার সাথে তিনি অফিস রুমে একাধিক দিন অনৈতিক কার্যকলাপে লিপ্ত হওয়ার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। উক্ত ঘটনার পরেও মানেজিং কমিটির নিকট অভিযোগ দিলে কোন প্রকার ব্যবস্থা গ্রহণ না করায় এলাকাবাসীরা উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসারসহ বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগ করেছিলেন।
তদন্ত কর্মকর্তা সহকারী উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার শেখ মোঃ আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, বিদ্যালয়ের অফিস রুমে প্রধান শিক্ষক আবু সাদাত শামীম আহমেদ ও সহকারী শিক্ষিকা রিফাত আরা’র অনৈতিক কর্মকান্ডের বিষয়ে একটি অভিযোগ হয়। পরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হওয়া ভিডিওটি তদন্তকালে যাচাই-বাছাই করি সত্যতা পাই। ঘটনার তদন্ত প্রতিবেদন গত ২৩ আগস্ট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সহ সংশ্লিষ্ট দপ্তরে প্রেরণ করা হয়েছে। উর্ধতনকর্মকর্তাগন শিক্ষা নীতিতে পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহণ করবেন। স্হানীয় এলাকাবাসী জানান আমরা ঐ শিক্ষকের চাকরি চুত চাই।