রবিবার, ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৯:৫৯ পূর্বাহ্ন
বান্দরবান জেলা প্রতিনিধি:-
বান্দরবানের আলীকদম উপজেলা সদর হতে কুরুকপাতা-পোয়ামুহুরী সড়কের পথিমধ্যে ঠান্ডারঝিরি এলাকা থেকে মালিকবিহীন অবস্থায় ১১,০০০ (এগার হাজার) প্যাকেট বিদেশী অরিস সিগারেট আটক করেছে আলীকদম ব্যাটালিয়ন (৫৭ বিজিবি)।
আজ ২৯ আগস্ট (মঙ্গলবার) রাত ২:৩০ ঘটিকায় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে আলীকদম ব্যাটালিয়ন (৫৭ বিজিবি) এর অধিনায়ক লেঃ কর্ণেল আকিব জাভেদ, পিএসসি এর দিক-নির্দেশনায় নায়েব সুবেদার মোঃ ওয়ালিদ হোসেন এর নেতৃত্বে ১৮ জন বিজিবি সদস্য এবং ০৩ জন পুলিশ সদস্যের সমন্বয়ে একটি বিশেষ টহলদল ব্যাটালিয়ন সদর হতে আনুমানিক ০৭ কিঃ মিঃ দক্ষিণ-পূর্বকোণে আলীকদম উপজেলার ০৩ নং নয়াপাড়া ইউনিয়নের ঠান্ডার ঝিরি নামক স্থানে একটি যৌথ অভিযান পরিচালনা করে।
উক্ত অভিযানে টহলদল মালিকবিহীন অবস্থায় ১১,০০০ প্যাকেট বিদেশী অরিস সিগারেট আটক করতে সক্ষম হয়। আটককৃত সিগারেটের আনুমানিক সিজারমূল্য ৩৩,০০,০০০/- (তেত্রিশ লক্ষ) টাকা বলে ধারনা করা হয়।
জব্দকৃত সিগারেটগুলো ধ্বংসের জন্য ব্যাটালিয়ন সদর জমা রাখা হয়েছে বলে জানা গেছে।
উল্লেখ্য, বান্দরবানের আলীকদম উপজেলায় দীর্ঘদিন ধরে র্যাব, সেনাবাহিনী এবং থানা পুলিশের অভিযানে ইয়াবা-সহ বিভিন্ন মাদকের চালান ও মাদক ব্যবসায়ী আটকের ঘটনা ঘটলেও গত দুই বছর ধরে অত্র উপজেলায় বিদেশী গরু চোরাচালানের আবির্ভাব ঘটে।
বিভিন্ন সময়ে বিজিবি’র সাড়াশি অভিযানে বিপুল পরিমাণ গরু আটকের পর আলীকদম বাজার, পানবাজার, আলীর সুড়ঙ্গ ও ব্রীকফিল্ড এলাকার চোরাকারবারিরা গরু আনা বন্ধ করে ইয়াবা, বিদেশী সিগারেট, এবং বিভিন্ন ব্র্যান্ডের মদ আনা শুরু করে।
গত কয়েকদিন পূর্বে উল্লেখিত সড়কে অবস্থিত বিজিবি চেকপোস্টে নিয়মিত তল্লাশি কালীন সময়ে একটি সিএনজি থেকে এবং সেনাবাহিনী গোপন সংবাদের ভিত্তিতে আলীকদম বাজারস্থ জিয়া বোডিং থেকে বিপুল সংখ্যক বিদেশী মদ-সহ পৃথকভাবে দুইজন কে আটক করেছে।
বর্তমানে বিদেশী মাদক ও সিগারেট চোরাচালানের সাথে সম্পৃক্ত ব্যাক্তিরাই অতীতের গরু চোরাকারবারি বলে জানা যায়।
কুরুকপাতা-পোয়ামুহুরী সড়ক এসব মাদক ও সিগারেট চোরাচালানের নিরাপদ রুট এবং আলীকদম উপজেলা সদরের আলীর সুড়ঙ্গ ও পূর্ব পালংপাড়াস্থ ব্রীকফিল্ড এলাকা বিদেশী সিগারেট এবং ইয়াবা’র গোড়াউন এলাকা হিসেবে চিহ্নিত। এলাকার স্কুল কলেজ পড়ুয়া ছেলেরাও জড়িয়ে পড়েছে এই অবৈধ বানিজ্যে।
ইতোপূর্বে উক্ত এলাকা হতে আলীকদম বিশেষ অভিযানে বিপুল পরিমাণ ইয়াবা আটক করেছিলো আলীকদম সেনা জোনের সদস্যরা।
বিশেষ সূত্রে জানা যায়, আলীর সুড়ঙ্গ এলাকায় গভীর রাতে সিগারেটের গাড়ি লোড দেয়ার সময় আক্রমনাত্মক ভূমিকায় ধারালো অস্ত্র ও লাঠিসোঁটা নিয়ে প্রস্তুত থাকে চোরাকারবারিরা।
ওই এলাকাটিতে বহুমুখী সড়ক, ভারী সিন্ডিকেট এবং গোয়েন্দা সংস্থার নজরদারি কম থাকার কারণে নির্বিঘ্ন ও নিরাপদে ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে তারা।
উক্ত এলাকাসমূহ এবং সড়ক ও নদীপথে নজরদারি না বাড়ালে আরো বেপরোয়া হয়ে উঠতে পারে এই সিন্ডিকেট।