1. admin@dailyoporadhonusondhanltd.net : admin :
শিরোনামঃ
নোয়াখালী জেলার সুধারাম থানার চাঞ্চল্যকর হত্যা মামলার এজাহারনামীয় পলাতক আসামি মোঃ রায়হান’কে চট্টগ্রামের পটিয়া থেকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব-৭ ও র‌্যাব-১১। সীতাকুণ্ডে মহাসড়ক অবরোধ করে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ যানজট সৈনিক কল্যাণ সংস্থা Uno নিকট খেজুরের বীজ প্রদান বাংলাদেশ গ্রাম ডাক্তার কল্যাণ সমিতি চট্টগ্রাম জেলা শাখা কমিটির অভিষেক অনুষ্ঠান ও মাস ব‍্যাপি সাংগঠনিক কর্মসূচি 2024 সম্পন্ন। বরগুনার তালতলীতে অবৈধ চোলাই মদসহ আটক ১ জন। “শিক্ষায় কিন্ডারগার্টেন শিক্ষকদের আন্তরিকতা প্রশংসনীয়”– “শিক্ষায় কিন্ডারগার্টেন শিক্ষকদের আন্তরিকতা প্রশংসনীয়” শেরপুরের ঝিনাইগাতী তিনজন হোটেল মালিককে ৬ হাজার টাকা জরিমানা ২ কেজি গাঁজা সহ এক মাদক ব্যবসায়ী বরগুনা ডিবি পুলিশের হাতে আটক।

ভারতের কারাগারে বন্দী ০৬ জেলে; সাড়ে ০৩ বছরেও মেলেনি মুক্তি

  • আপডেট সময়ঃ শনিবার, ২৬ আগস্ট, ২০২৩
  • ৮৯ জন দেখেছেন

মোঃ নাসির উদ্দিন , বামনা (বরগুনা) প্রতিনিধিঃ

সমুদ্রের ইঞ্জিন বিকল হয়ে জলসীমা অতিক্রম। বাংলাদেশী ছয় ৬ জেলে ভারতীয় কারাগারে ৩ বছর ৮ মাস যাবৎ বন্দি।

বঙ্গোপসাগরে মাছ ধরার ট্রলারের ইঞ্জিন বিকল হয়ে বাংলাদেশি ট্রলার ভারতীয় জলসীমায় অনুপ্রবেশ করার অপরাধে বাংলাদেশী ছয় জেলে ভারতীয় কারগারে দুঃসহ জীবন কাটাচ্ছেন ।

২০১৯ সালের ২৫ ডিসেম্বর পাথরঘাটা বিএফডিসি মৎস্য ঘাট থেকে মাছ ধরার জন্য সাগরে রওয়ানা করে যায় তারা । ০৮ জানুয়ারী ২০২০ তারা আটক হন। পরিবার পরিজন ফেলে তিন বছর আট মাস যাবত ওই জেলেরা কারা ভোগ করছেন।

কারাগারে আটক জেলেরা হলো, পাথরঘাটা উপজেলার চরদুয়ানী ইউনিয়নের চরদুয়ানী গ্রামের মৃত আমির হোসেন জোমাদ্দারের ছেলে মো.বেল্লাল মাঝি, দক্ষিণ জ্ঞানপাড়া গ্রামের সুলতান চৌকিদারের ছেলে জাহাঙ্গীর হোসেন, তালুক চরদুয়ানী গ্রামের আ. রব জোমাদ্দারের ছেলে মো. এমাদুল হক, মৃত হাফেজ জোমাদ্দারের ছেলে মো. শাহিন, জ্ঞানপাড়া গ্রামের আতাহার আলীর ছেলে আবদুল হক ও পিরোজপুরের ভান্ডারিয়া উপজেলার চরখালী এলাকার বাহাদুর চাপরাশির ছেলে মো. ইমরান চাপরাশি।

বন্দি মো. শাহিনের বাবা হাফেজ জোমাদ্দার জেলে হিসেবে ২০১২ সালে সাগরে মাছ শিকার করতে গিয়ে জলদস্যুদের গুলিতে নিহত হয়। পরিবারের উপার্জনের লক্ষ্যে সে (শাহিন) সাগরে মাছ ধরতে গিয়ে এখন বন্দি। উত্তাল সাগরে যাওয়ার সময় ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে তার বয়স ছিল ১৬ বছর ৯ মাস। তিন বছর ৮ মাস ধরে সন্তানের পথের দিকে তাকিয়ে আছে শাহিনের মা আয়শা বেগম তিনি টেলিফোনে জানান তিন সন্তান সহ তিনি স্বামী হারান জলদস্যুদের গুলিতে। তিনি সাগরে জেলে হিসেবে গিয়েছিলেন। এর পর সন্তান সহ বিয়ে করে কাঠালতলী ইউনিয়নের তালুক চরদুয়ানীতে বাস করছেন। স্বামীর শোকের সাথে যুক্ত হয়েছে ভিনদেশে বন্দি সন্তানের কষ্ট। র্নিঘুম রাত কাটান এ কথা বলে কেঁদে ফেলেন আয়শা।

পাথরঘাটা পৌর এলাকার অধিবাসী মো. হারুন জানান, ২০১৯ সালের ডিসেম্বর মাসের ২৫ তারিখ এফবি মারিয়া নামক ট্রলারে চড়ে সাগরে মাছ ধরতে যায় ৬ জেলে। তার মধ্যে আবদুল হক নামে এক জেলে তার ভগ্নিপতি। বোনের পরিবারকে চালাতে হচ্ছে খাই খরচ দিয়ে। ট্রলারের মালিক পিরোজপুর জেলার ভান্ডারিয়া উপজেলার শিয়ালকাঠি গ্রামের মো. তৌহিদুল ইসলাম।

ইঞ্জিন বিকল হওয়ার পর ভাসতে ভাসতে বাংলাদেশি জলসীমা অতিক্রম করে ভারতীয় জলসীমায় অনুপ্রবেশ করলে ওই দেশের বনবিভাগ তাদেরকে আটক করে পুলিশের হাতে সোপর্দ করে। আটকের পর ভারতীয় অজ্ঞাত নামা এক ব্যক্তির মোবাইলের মাধ্যমে এ তথ্য জানায় বলে ট্রলার মালিক বলেন। পরে ৬ জেলের নাম উল্লেখ করে পাথরঘাটা থানায় একটি ডাইরী করেন ট্রলার মালিক তৌহিদুল ইসলাম। সাধারণ ডায়েরী (জিডি) নং ৬৫৪, তারিখঃ ১৫/০১/২০২০। পাথরঘাটা থানা জিডির বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

গত প্রায় ৩ বছর ৮ মাসে অনেক তদ্বীর করেছেন বন্দি জেলেদের স্বজন মো. হারুন তার ভগ্নিপতি । বরগুনার তৎকালিন জেলা প্রশাসক মোস্তাইন বিল্লাহ জেলেদের দেশে ফিরিয়ে আনার জন্য বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রনালয়ে একাধিক বার পত্র প্রদান করেছেন। কথা বলেছেন কলকাতায় বাংলাদেশ উপ-দূতাবাসে।

এফবি মারিয়া নামক ট্রলারের মালিক তৌহিদুল ইসলাম, ট্রলার ভারতে আটক হওয়ার পর থানায় একটি জিডি করা ছাড়া বন্দি জেলেদের ফিরিয়ে আনা বা তাদের পরিবারের কোন খোজঁ নেয়নি বলে অভিযোগ করেছে জেলে পরিবারের সদস্যগন।

থানায় জিডির পর এ প্রতিনিধির সাথে একাধিক বার মোবাইল ফোনে কথা হলে জানান গত ২৫ ডিসেম্বর ২০১৯ বুধবার পাথরঘাটায় দেশের বিএফডিসি মৎস্য অবতরণ কেন্দ্র থেকে মাছ শিকার করার উদ্দেশ্যে বঙ্গোপসাগরে সমুদ্রে যাত্রা শুরু করে। কয়েক ঘন্টা চালানোর পর ইঞ্জিন বিকল হয়ে পড়লে স্রোতে ভারতীয় জলসীমা অতিক্রম করে। এক পর্যায় ০৮ জানুয়ারী ২০২০ তারিখ ভারতীয় জলসীমায় গেরাফী দিয়ে ৬ জেলে নিয়ে অবস্থান করছিল ট্রলারটি। ভারতীয় বনবিভাগের সদস্যরা অনুপ্রবেশে র অপরাধে ট্রলারসহ ছয় জেলেকে আটক করে পুলিশের হাতে সোপর্দ করে। পুলিশ তাদের বিরুদ্ধে মামলা দিয়ে দক্ষিন ২৪ পরগনা জেলার বাড়ইপুর কারগারে পাঠায়। ট্রলার মালিক মো. তৌহিদুল ইসলামের দেয়া ফোনে কল করা হয়ে দীর্ঘ দিন যাবৎ তা বন্ধ পাওয়া যায়।
এদিকে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের কলকাতার বড়াইপুর কারাগারে বন্দি বাংলাদেশের ওই জেলেদের পরিবারের জীবন যাপন দুঃসহ পর্যায়ে ঠেকেছে।

শেয়ার করুন

আরো দেখুন......