ফকির মিরাজ আলী শেখ, বিশেষ প্রতিনিধি,ফরিদপুরের ভাঙ্গা থেকে:ফরিদপুরের ভাঙ্গায় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সড়ক বিভাজকে ধাক্কা লেগে অ্যাম্বুলেন্সে আগুন ধরে ঘটনাস্থলেই সাত যাত্রীর মৃত্যু হয়েছে। নিহতদের মধ্যে তিনজন নারী ও চার শিশু রয়েছে। শনিবার (২৪ জুন) সকাল ১১টার দিকে ভাঙ্গা উপজেলার মালিগ্রাম এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হল- বোয়ালমারী উপজেলার গুনবহা ইউনিয়নের ফেলাননগর গ্রামের প্রবাসী আজিজার রহমানের স্ত্রী তাছলিমা বেগম (৫৫), তার মেয়ে কমলা পারভিন (২৬), বিউটি বেগম (২৪), নাতি হাসিব (৮), হাফসা (২), আরিফ (১২) ও মেহেদি (১২)। এর মধ্যে কমলা বেগম ঢাকায় বসবাস করতেন। ছোট মেয়ে বিউটি বেগম উপজেলার শেখর ইউনিয়নের মাইটকুমরা গ্রামের মাহমুদ ইসলাম রনির স্ত্রী।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, দ্রুতগামী একটি অ্যাম্বুলেন্স নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সড়ক বিভাজকে ধাক্কা লেগে মুহূর্তেই আগুন ধরে যায়। এতে অগ্নিদগ্ধ হয়ে অ্যাম্বুলেন্সে থাকা সাত যাত্রী ঘটনাস্থলেই নিহত হন।
হাইওয়ে পুলিশের ফরিদপুর অঞ্চলের পুলিশ সুপার মাহবুব আলম বলেন, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে অ্যাম্বুলেন্সটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে মহাসড়কের ডিভাইডারের সঙ্গে ধাক্কা লেগে আগুন ধরে যায়। চালকের পাশের জানালাটি খোলা ছিল। এ ছাড়া সব জানালা আটকানো ছিল। চালক রক্তাক্ত অবস্থায় বের হয়ে এলে তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়া হয়। অন্যরা কেউ বের হতে পারেননি।
জানা গেছে, তাছলিমা বেগম হৃদরোগে আক্রান্ত হলে এক মাস আগে ঢাকায় নিয়ে যান স্বজনরা। চিকিৎসা শেষে বড় মেয়ে কমলা বেগমের বাসায় ছিলেন তিনি। ঘটনার দিন শনিবার সকালে তাছলিমা বেগম তার দুই মেয়ে, নাতি-নাতনি নিয়ে ঢাকা থেকে বোয়ালমারী গ্রামের বাড়ির উদ্দেশে রওনা দেন। পথিমধ্যে দুর্ঘটনায় সাতজনই প্রাণ হারান।
বোয়ালমারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. মোশারেফ হোসাইন বলেন, খবর পেয়ে ওই বাড়িতে গিয়ে পরিবারের সদস্যদের সান্ত্বনা দেওয়া হয়েছে। শোকাহত পরিবারে সর্বাত্মক সহযোগিতার চেষ্টা করা হবে।