1. admin@dailyoporadhonusondhanltd.net : admin :
শিরোনামঃ
জয়পুরহাট পাঁচবিবির মোহাম্মদপুর ইউনিয়ন জামায়াতে ইসলামীর উদ্যোগে কর্মী ও সূধী সমাবেশ অনুষ্ঠিত ময়মনসিংহের ফুলপুরে জুয়ার আসর পুড়িয়ে দিলো নব যোগদানকৃতওসি রাশেদুজ্জামান: শেরপুরের নবাগত পুলিশ সুপার জনাব মোঃ আমিনুল ইসলাম মহোদয়ের যোগদান ও দায়িত্বভার গ্রহণ শেরপুরের নালিতাবাড়ীতে ফলজ বৃক্ষ উপহার পেল শিক্ষার্থীরা কোটালীপাড়ায় সাংবাদিকের বিরুদ্ধে মিথ্যা সংবাদ সম্মেলনের প্রতিবাদে পাল্টা সংবাদ সম্মেলন ফুলপুর ইসলামী ব্যাংক ম‍্যানেজারের সাথে ফুলপুর প্রেস ক্লাবের সাংবাদিকদের আলোচনা ও মতবিনিময় অনুষ্ঠিত। যৌথ বাহিনীর বিশেষ অভিযানে ফেনী জেলার সদর থানাধীন মাস্টারপাড়া এলাকা হতে ০১টি বিদেশী আগ্নেয়াস্ত্র ও  কার্তুজ উদ্ধার। জয়পুরহাটের পাঁচবিবিতে মেধাবী শিক্ষার্থীরা পেল সনদ শেরপুরে প্রতারণার ফাঁদে এক নারী জামায়াত আমিরের ‘ক্ষমা’ নিয়ে মাসুদ সাঈদীর স্ট্যাটাস

আবারও খুলনার মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক

  • আপডেট সময়ঃ মঙ্গলবার, ১৩ জুন, ২০২৩
  • ৮১ জন দেখেছেন

মোঃ ইমানুর রহমান,জেলা প্রতিনিধি, খুলনা, খুলনা সিটি করপোরেশন (কেসিসি) নির্বাচনে ফের মেয়র হতে চলেছেন আওয়ামী লীগের প্রার্থী তালুকদার আব্দুল খালেক।  এখন পর্যন্ত প্রাপ্ত ফলাফলে বিপুল ভোটে এগিয়ে রয়েছেন তিনি।

 

ঘোষিত ফলাফল অনুযায়ী, ১৫০ কেন্দ্রে নৌকার প্রার্থী তালুকদার আব্দুল খালেক পেয়েছেন ৭৫,৫৩৮ ভোট। তার প্রতিদ্বন্দ্বী হাতপাখা মার্কার ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মো. আব্দুল আউয়াল পেয়েছেন ২৭,৯৩৭ ভোট।

 

 

এবারের কেসিসি নির্বাচনে মেয়র পদে আওয়ামী লীগের তালুকদার আব্দুল খালেক ও ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মো. আব্দুল আউয়াল ছাড়াও জাতীয় পার্টির এস এম শফিকুল ইসলাম মধু (লাঙল), স্বতন্ত্রপ্রার্থী এস এম শফিকুর রহমান (দেওয়াল ঘড়ি) ও জাকের পার্টির এস এম সাব্বির হোসেন (গোলাপ ফুল) প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন।

 

জানা গেছে, ২০০৮ সালের নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী তালুকদার আব্দুল খালেক নির্বাচনে মেয়র পদে জয়লাভ করেছিলেন। ২০১৩ সালের নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী তালুকদার আব্দুল খালেককে পরাজিত করে খুলনার মেয়র হয়েছিলেন বিএনপি সমর্থিত প্রার্থী মনিরুজ্জামান মনি। সর্বশেষ ২০১৮ সালে আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকের প্রার্থী তালুকদার আব্দুল খালেক ধানের শীষ প্রতীকের বিএনপি প্রার্থী নজরুল ইসলাম মঞ্জুকে পরাজিত করে মেয়র নির্বাচিত হন।

 

২০১৮ সালের মে মাসে কেসিসি নির্বাচন হয়েছিল দলীয় প্রতীকে। তখন মেয়র পদে প্রার্থী ছিলেন পাঁচ জন, তবে মূল প্রতিদ্বন্দ্বিতা হয় আওয়ামী লীগ ও বিএনপি প্রার্থীদের মধ্যে। আওয়ামী লীগের প্রার্থী তালুকদার আব্দুল খালেক বিএনপি প্রার্থী নজরুল ইসলাম মঞ্জুকে প্রায় ৭০ হাজার ভোটের ব্যবধানে হারিয়েছিলেন। কেসিসি’র মোট ২৮৯টি কেন্দ্রের মধ্যে ঘোষিত ২৮৬টি কেন্দ্রের (তিনটি কেন্দ্রের ফলাফল ঘোষণা স্থগিত ছিল) ফলাফলে নৌকা প্রতীকের তালুকদার আবদুল খালেক পেয়েছিলেন ১ লাখ ৭৬ হাজার ৯০২ ভোট। আর ধানের শীষ প্রতীকের নজরুল ইসলাম মঞ্জু পেয়েছিলেন ১ লাখ ৯ হাজার ২৫১ ভোট। মোট ভোটার ছিল ৪ লাখ ৯৩ হাজার ৯৩ জন।

 

১৯৫২ সালের ১ জুন বাগেরহাটের মল্লিকেরবেড় গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন তালুকদার আব্দুল খালেক। স্কুলজীবন থেকে শুরু করে রাজনৈতিক জীবনের প্রায় পুরোটাই কেটেছে খুলনায়। ছাত্রজীবনে রাজনীতিতে সক্রিয় হন। ১৯৭৭ সালে খুলনা জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক হন। ওই বছরই ২১ বছর বয়সে খুলনা পৌরসভার মহসিনাবাদ ইউনিয়নের কমিশনার হন। এরপর মহসিনবাদ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও আঞ্চলিক শ্রমিক লীগের খুলনা জেলা শাখার সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৯১, ১৯৯৬ ও ২০০১ সালে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন নিয়ে বাগেরহাট-৩ আসন থেকে সংসদ সদস্য হন। ওই আসনের বর্তমান সংসদ সদস্য তার স্ত্রী হাবিবুন নাহার। এর মধ্যে ১৯৯৬ সালে ত্রাণ ও দুর্যোগ প্রতিমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।

২০১৪ সালে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আবারও বাগেরহাট-৩ আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। বর্তমানে খুলনা মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতির দায়িত্ব পালন করছেন তালুকদার আব্দুল খালেক।

 

শেয়ার করুন

আরো দেখুন......