1. admin@dailyoporadhonusondhanltd.net : admin :
শিরোনামঃ
নোয়াখালী জেলার সুধারাম থানার চাঞ্চল্যকর হত্যা মামলার এজাহারনামীয় পলাতক আসামি মোঃ রায়হান’কে চট্টগ্রামের পটিয়া থেকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব-৭ ও র‌্যাব-১১। সীতাকুণ্ডে মহাসড়ক অবরোধ করে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ যানজট সৈনিক কল্যাণ সংস্থা Uno নিকট খেজুরের বীজ প্রদান বাংলাদেশ গ্রাম ডাক্তার কল্যাণ সমিতি চট্টগ্রাম জেলা শাখা কমিটির অভিষেক অনুষ্ঠান ও মাস ব‍্যাপি সাংগঠনিক কর্মসূচি 2024 সম্পন্ন। বরগুনার তালতলীতে অবৈধ চোলাই মদসহ আটক ১ জন। “শিক্ষায় কিন্ডারগার্টেন শিক্ষকদের আন্তরিকতা প্রশংসনীয়”– “শিক্ষায় কিন্ডারগার্টেন শিক্ষকদের আন্তরিকতা প্রশংসনীয়” শেরপুরের ঝিনাইগাতী তিনজন হোটেল মালিককে ৬ হাজার টাকা জরিমানা ২ কেজি গাঁজা সহ এক মাদক ব্যবসায়ী বরগুনা ডিবি পুলিশের হাতে আটক।

কল্পনা চাকমা অপহরণের ২৭ বছর উপলক্ষে বাঘাইছড়িতে বিক্ষোভ সমাবেশ ও সাজেকে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত

  • আপডেট সময়ঃ সোমবার, ১২ জুন, ২০২৩
  • ৫৪ জন দেখেছেন

বাঘাইছড়ি প্রতিনিধি:- কল্পনা চাকমা অপহরণের ২৭ বছর উপলক্ষে রাঙামাটির বাঘাইছড়িতে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ এবং সাজেকে আলোচনা সভা করেছে পার্বত্য চট্টগ্রামে পূর্ণস্বায়ত্তশাসনের দাবিতে আন্দোলনরত নারী সংগঠন হিল উইমেন্স ফেডারেশন ও পার্বত্য চট্টগ্রাম নারী সংঘ বাঘাইছড়ি উপজেলা শাখা।

 

আজ সোমবার (১২ জুন ২০২৩) সকাল সাড়ে ১০টায় অনুষ্ঠিত এই সমাবেশে বাঘাইছড়ি উপজেলার সদর এলাকায় এ বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

 

“যে জাতিতে বোন উদ্ধারে ভাইরা আত্মাহুতি দেয়, সেই জাতিকে দমিয়ে রাখা যাবে না” শ্লোগানে অনুষ্ঠিত সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন পার্বত্য চট্টগ্রাম নারী সংঘের বাঘাইছড়ি উপজেলার সভাপতি অমিতা চাকমা।

 

হিল উইমেন্স ফেডারেশনের বাঘাইছড়ি উপজেলা শাখার সভাপতি অবনিকা চাকমার সঞ্চালনায় সমাবেশে অন্যান্যের মধ্যে আরো বক্তব্য রাখেন হিল উইমেন্স ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় সভাপতি নীতি চাকমা, বৃহত্তর পার্বত্য চট্টগ্রাম পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ(পিসিপি)-এর রাঙামাটি জেলার সাধারণ সম্পাদক তনুময় চাকমা, গণতান্ত্রিক যুব ফোরামের খাগড়াছড়ি জেলা শাখার সভাপতি ক্যামরন দেওয়ান ও হিল উইমেন্স ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় সদস্য দয়াসোনা চাকমা।

 

হিল উইমেন্স ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় সভাপতি নীতি চাকমা বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামে জাতিগত নিপীড়নের অংশ হিসেবে পরিকল্পিতভাবে সংগ্রামী নারী কল্পনা চাকমাকে অপহরণ করা হয়েছিল। ২৭ বছর অতিবাহিত হয়ে গেলেও কল্পনা চাকমার চিহ্নিত অপহরণকারী লে. ফেরদৌস গংদের গ্রেফতার, বিচার ও সাজা দেওয়া হয়নি। একইভাবে পার্বত্য চট্টগ্রামে এ যাবত পাহাড়ি নারীর ওপর ধর্ষণ, নিপীড়নের কোন ঘটনারই সুষ্ঠু বিচার হয়নি। অপরদিকে ৭ বছর পেরিয়ে গেলেও কুমিল্লা সেনানিবাস এলাকায় সংঘটিত তনু হত্যার বিচারও আজো হয়নি।

 

তিনি বলেন, বাংলাদেশে ধর্ষক, নিপীড়ক, অপহরণকারীরা ক্ষমতাবান হওয়ায় অপহরণের মতো নিকৃষ্ট ঘটনার কোনো বিচার হচ্ছে না।

 

তিনি পার্বত্য চট্টগ্রামে মতলববাজিদের ভূমিকা তুলে ধরে বলেন, ১২ জুন এলে অনেকে নামে বেনামে ভুইফোঁড় সংগঠনের নাম দিয়ে লোকদেখানো নানা কমর্সূচি পালন করে থাকেন। অথচ তারা কল্পনা চাকমার অপহরণ ঘটনাটিকে বিতর্কিত বলে মন্তব্য করেছিলেন। মূলত কল্পনা চাকমার অপহরণ ঘটনাকে পুঁজি করে এরা সংগ্রামী সেজে ধোঁকা দেয়ার চেষ্টা চালাচ্ছেন। তিনি এভাবে আন্দোলনে পানি না ঢেলে কল্পনা চাকমার সঠিক নীতি আদর্শের প্রতিবাদী ধারাকে তুলে ধরার আহ্বান জানান।

 

নীতি চাকমা পাহাড়ের সকল প্রকার অন্যায় দমন-পীড়ন বন্ধ করার ও কল্পনা চাকমার চিহ্নিত অপহরণকারী লে.ফেরদৌস গঙদের বিচার ও সাজা নিশ্চিত করতে ‘নতুন সংবিধান’ ও ‘জনগণের সরকার’ গঠনের দাবি জানান।

 

সমাবেশে প্রারম্ভিক বক্তব্যে হিল উইমেন্স ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় সদস্য দয়াসোনা চাকমা বলেন, ১৯৯৬ সালের ১২ জুন সপ্তম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ৭ ঘন্টা আগে মধ্যরাতে বাঘাইছড়ির কজইছড়ি ক্যাম্পে দায়িত্বরত সেনা কমাণ্ডার লে. ফেরদৌস গংরা সংগঠনের তৎকালীন কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক কল্পনা চাকমাকে অপহরণ করে। আজ ২৭ বছর পূর্ণ হলেও সরকার তার কোনো হদিস এখনও দিতে পারেনি। বরঞ্চ কল্পনা চাকমার চিহ্নিত অপহরণকারীদের শাস্তি না দিয়ে এ ঘটনাটিকে প্রপাগান্ডা হিসেবে চালিয়ে দিয়ে অপহরণকারীদের রক্ষা করে চলেছে এবং কল্পনার ভাইদেরকেও নানাভাবে হয়রানি করা হচ্ছে বলে তিনি অভিযোগ করেন।

 

তিনি বাংলাদেশের বিচার ব্যবস্থার দুর্বলতার কথা তুলে ধরে বলেন, দীর্ঘ ২৭ বছরেও এ দেশের আদালত কল্পনা চাকমা অপহরণ ঘটনার বিচার করতে পারেনি। কল্পনা অপহরণ মামলায় ২৭ বছরে ৩৯ জন কর্মকর্তা বদলী হলেও কোনো তথ্য দিতে পারেনি। তিনি রাষ্ট্র ও প্রশাসনের গাফিলতি ও অনীহার কারণে বিচার হচ্ছে না বলে মন্তব্য করেন।

 

পিসিপি’র রাঙামাটি জেলা শাখার সভাপতি তনুময় চাকমা বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামসহ সারাদেশে সরকার এক নৈরাজ্যকর পরিস্থিতি জিইয়ে রেখেছে। পার্বত্য চট্টগ্রামে ফৌজি শাসনের ফলে প্রতিনিয়ত নারী ধর্ষণ, ভূমি বেদখল, খুন, গুম, অপহরণ বিচার বহির্ভূত হত্যা চালানো হচ্ছে। বিভিন্ন ঠ্যাঙারে বাহিনী দিয়ে বান্দরবানে বম জনগোষ্ঠীকে সংখ্যালঘু থেকে আরো সংখ্যা লঘুতে পরিণত করার পাঁয়তারা চালানো হচ্ছে। পার্বত্য চট্টগ্রামে সেনাবাহিনী বিভিন্ন ভূইফোঁড় গ্রুপ সৃষ্টি করে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছে।

তিনি আরো বলেন, কল্পনা চাকমার সন্ধান করতে গিয়ে স্কুল ছাত্র রুপন চাকমা আত্মবলিদান দিয়েছেন, সমর-সুকেশ-মনোতোষ গুমের শিকার হয়েছেন। তাদের এই অবদান আমরা কোনোদিন ভুলব না। যতই খুন, অপহরণ, দমন-পীড়ন চালানো হোক না কেন পাহাড়ি জনগণকে কিছুতেই দমিয়ে রাখা যাবে না বলে দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেন এবং সমাবেশে উপস্থিত সকলকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে আন্দোলন জোরদার করার আহ্বান জানান।

 

গণতান্ত্রিক যুব ফোরামের খাগড়াছড়ি জেলার সভাপতি ক্যামরণ দেওয়ান বলেন, বাংলাদেশে ভিন্ন ভাষাভাষী জাগিতগত সংখ্যালঘুদের বিতাড়িত করার নানা চক

শেয়ার করুন

আরো দেখুন......