মঙ্গলবার, ২৯ অক্টোবর ২০২৪, ০৫:৪৫ অপরাহ্ন
বিভাগীয় প্রধান খুলনা :- যশোর বাঘারপাড়ায় যৌতুক লোভী বহু বিবাহের নায়ক অধ্যাপক শংকর বিশ্বাসের বিরুদ্ধে এক স্ত্রী মামলা দায়ের করেছেন। তিনি যৌতুক নিরোধ আইনে ৩ ধারায় এ মামলা দিয়েছেন। মামলা নং সিআর ৩৫৫/২৩। তারিখ ১৪/৪/২৩। এ ঘটনায় ওই নারী প্রতিমা চৌধুরী বিভিন্ন জায়গায় বিচার চেয়ে দ্বারে দ্বারে ঘুরছেন। এই ঘটনাটি ঘটিয়েছে যশোর জেলার বাঘারপাড়া উপজেলা সুকদেবপুর গ্রামের জ্ঞানেন্দ্রনাথ বিশ্বাসের পুত্র রাজ্জাক কলেজের সদ্য প্রাপ্ত যোগদানকারী অধ্যাপক শংকর বিশ্বাস। মামলার বিবরণী থেকে জানা গেছে, যৌতুক লোভী শংকর বিশ্বাস ২০/৬/১১ সালে সনাতন ধর্মের রীতি ও শাস্ত্র অনুযায়ী উভয় পরিবারে সদস্যগনের উপস্থিতিতে পুরহিতের মাধ্যমে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়। কয়েক বছর যাওয়ার পর শংকর বিশ্বাস তার স্ত্রীকে যৌতুকের জন্য চাপ দিতে থাকে। এক সময় স্ত্রী বাধ্য হয়ে বাবার বাড়ি থেকে ও নিজের গচ্ছিত টাকা ৯ লাখ এনে দেন। সেই অর্থ দিয়ে শংকর বিশ্বাস তার নিজের বাড়িতে ঘর, রান্না ঘর, গোয়াল,সহ টিউবওয়েলসহ আসবাবপত্র ক্রয় করেন। কিছু দিন যাওয়ার পর যৌতুক লোভী স্বামী শংকর বিশ্বাস আবার ও মোটসাইকেল ও নিজের চাকুরীর জন্য ১০ লাখ টাকা লোন তুলে দেওয়ার জন্য দাবি করেন। টাকা না দেওয়ায় স্ত্রী প্রতিমাকে নির্যাতন করতে থাকেন স্বামী। এবং বাড়ি থেকে বের করে দেন। পরে শংকর বিশ্বাস ১৫/৩/২৩ সালে প্রতিমাকে তালাকনামা প্রদান করেন। প্রতিমা কোন উপায়ন্ত না পেয়ে যশোর বিজ্ঞ আদালতে মামলা করেন। প্রতিমা চৌধুরী বলেন, শংকর বিশ্বাস ২০১০ সাল থেকে বিভিন্ন এলাকায় নিজেকে অতি শিক্ষীত ও সম্মানি ব্যক্তি পরিচয় দিয়ে মেয়ে ভুলানোর সু কৌশলে বিবাহ করে থাকে। পরে সেখান থেকে অর্থ হাতিয়ে নিয়ে কেটে পড়ে। আমি নিজে তার সংসারে থাকা কালীন সময়ে দুই মেয়ের জীবন বাচিঁয়েছি। ভাল পরিবারের মেয়েকে বিবাহ করে তাদের সংঙ্গে বিভিন্ন অভিনয় করে ১০ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিয়ে গত মার্চ মাসে একটি মেয়েকে ফেলে রেখে চলে যায় । শংকর বিশ্বাস ১৪ তারিখে আর একটা বিবাহ করে সুকদেবপুর গ্রামে রেখেছে। ২০২১ সালে নারী কেলেংকারীতে হাতে নাতে ধরা পড়ে।শংকর বিশ্বাস বলেন, আমার চাকুরীর জন্য অর্থ দরকার হচ্ছিল। তাই প্রতিমার কাছে চেয়ে ছিলাম। যে কয়েকটি বিয়ে করেছি তাদের সাথে ঝামেলা মিটে গেছে।