মঙ্গলবার, ২৯ অক্টোবর ২০২৪, ০৫:৪৫ অপরাহ্ন
তুফান চাকমা, নানিয়ারচর (রাঙামাটি) প্রতিনিধিঃ– নানিয়ারচর উপজেলা আওয়ামীলীগ সভাপতি আব্দুল ওহাব হাওলাদারকে যারা মারধর করেছে তাদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এ ঘটনা সুস্থ তদন্তের জন্য জেলা আওয়ামী লীগের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হবে বলে জানিয়েছেন খাদ্য মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি ও জেলা আওয়ামীলীগ সভাপতি দীপংকর তালুকদার, এমপি।
নানিয়ারচর উপজেলা আওয়ামী লীগের আয়োজিত তৃণমূল প্রতিনিধি সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি আরো বলেন, যারা দলের মধ্যে বিরোধ সৃষ্টি করতে উঠেপড়ে লেগেছে সে ব্যক্তি যেই হোক তাকে চিহ্নিত করে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। দুষ্টু গরুর চেয়ে শূন্য গোয়াল অনেক ভালো বলে তিনি মন্তব্য করেন।
এসময় তিনি আগামী দ্বাদশ নির্বাচনে জননেত্রী শেখ হাসিনাকে পূনরায় রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় নিয়ে আসার জন্য সকলকে ঐক্য থাকার আহবান জানান।
শনিবার (১৩ মে) সকাল ১১ঘটিকায় নানিয়ারচর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোঃ আব্দুল ওহাব হাওলাদার এর সভাপতিত্বে দলীয় কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি দীপংকর তালুকদার, এমপি৷
এসময় উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ইলিপন চাকমার সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ত্রিদিব কান্তি দাশ, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও জেলা পরিষদ সদস্য হাজী মোঃ মুছা মাতব্বর, সাংগঠনিক সম্পাদক ও কাউখালী উপজেলা চেয়ারম্যান শামসুদ্দোহা চৌধুরী, প্রচার সম্পাদক হাবিবুর রহমান প্রমুখ।
এছাড়াও আরো উপস্থিত ছিলেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি আনসার আলী, বাবুল কর্মকার, সুজিত তালুকদার, যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক অ্যাড. দর্শন চাকমা ঝন্টু, প্রিয়তোষ দত্ত, সাংগঠনিক সম্পাদক ঝিল্লোর মজুমদার, জনতা শেখর চাকমা, আইন বিষয় সম্পাদক অ্যাড. মামুন ভূইয়া,বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক পলেন তালুকদারসহ সকল সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্ধ।
জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক হাজী মোঃ মুছা মাতব্বর বক্তব্যে বলেন, সম্প্রতি উপজেলা আওয়ামী লীগের শীর্ষ পদে থাকা সভাপতিকে যে বা যারা মারধর করেছে তা অত্যন্ত দুঃখজনক, আমি তার তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি। এবং অপরাধীদের দ্রুত গ্রেফতারের জন্য জোর দাবী জানান।
সভাপতির বক্তব্যে আব্দুল ওহাব হাওলাদার বলেন, আমি দলের সভাপতির দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকেই দলকে সুসংগঠিত রাখার লক্ষ্যে তৃণমূল পর্যায় থেকে নিরলস ভাবে কাজ করে যাচ্ছি। তারপরও কিছু লোক ব্যক্তিগত আক্রোশের কারণে আমাকে অতর্কিত ভাবে মারধর করেছে। কাদের নির্দেশে আমার উপর মারধর করার সাহস পেয়েছে তার সুস্থ তদন্ত করে দলের বৃহত্তর স্বার্থ রক্ষার্থে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য জেলা আওয়ামীলীগের কাছে অনুরোধ করেন।