জুয়েল রানা,(ময়মনসিংহ ফুলপুর) আজ মে দিবস, আমাদের দেশের শ্রমিকেরা বিভিন্ন দেশ দেশান্তরে তাদের ঘাম এবং শ্রম দিয়ে দেশকে সমৃদ্ধির পথে এগিয়ে নিচ্ছেন। কর্মজীবী শ্রমিক শুধু দেশেই নয় দেশের বাহিরে অগণিত অসংখ্যক প্রবাসী শ্রমিক জনগোষ্ঠী রয়েছে অর্থ উপার্জনের মাধ্যমে দেশে অর্থ পাঠিয়ে দেশকে উন্নত সমৃদ্ধ করার জন্যে। দেশের রেমিট্যান্স বৃদ্ধিতে ভূমিকা পালনকারী প্রবাসী শ্রমিকেরা ভিটে মাটি বিক্রি করে সর্বস্ব দিয়ে জীবন জীবিকার সন্ধানে ভাগ্যোন্নয়নে প্রবাসে পাড়ি জমাতে গিয়ে অনেক সময় দালালের খপ্পরে পড়ে যখন বিদেশী দূতাবাসে আশ্রয় গ্রহণ করেন তখন তাদেরকে প্রয়োজনীয় তেমন কোনো সহযোগিতা করা হয় না।
আমাদের দেশে বর্তমানে শিশুশ্রমের ব্যাপক হাড়ে ব্যবহার চলছে। ঘরে ঝিয়ের কাজ থেকে শুরু করে ইট ভাটা কল কারখানার মতো মারাত্মক ঝুঁকিপূর্ণ কাজ করানো হচ্ছে শিশুদের দিয়ে।দিন দিন কমে যাচ্ছে শিক্ষার হার, আর এসব শিশু শ্রমিকেরা নানাভাবে বিভিন্ন সময় মালিক শ্রেণি ধারা নির্যাতিত হচ্ছে শিশু থেকে শুরু করে বয়স্ক শ্রমজীবী শ্রমিকদের
এদেশের রফতানি আয়ের এতো বড় অংশ আয় হয় যে তৈরি পোশাক শিল্পে অথচ গুরুত্বপূর্ণ এ শিল্পের শ্রমিকদের মানবেতর জীবন যাপন করতে হচ্ছে। মালিক নামক কসাইয়ের শোষণের ফলে অসহায়ের মতো গার্মেন্টস এবং ইট ভাটা শ্রমিকদের জীবন দিতে হচ্ছে বিভিন্ন সময়। তবে এই অসহায় শ্রমিক দের দেখার মতো কেউ নেই এই দেশে।
মে দিবস পৃথিবীতে বঞ্চনা লাঞ্চনা ও শোষণ থেকে শ্রমজীবী মানুষের মুক্তির বার্তা নিয়ে এসেছে তা তখনই কার্যকর প্রতিষ্ঠিত হবে যখন শ্রমিক শ্রেণি তাদের মৌলিক অধিকার ফিরে পাবে। মালিকদের উপলব্ধি করতে হবে শ্রমিকদের ঠকিয়ে শিল্পের বিকাশ বা মুনাফা অর্জন না করে তাদের সঠিক প্রাপ্য দিন। শ্রমিকরা দেশের সম্পদ, তাদের কারণে দেশের অর্থনীতির চাকা সচল থাকে এ দেশের। এ কারণে তাদের অবহেলার চোখে না দেখে কর্মজীবী শ্রমিদের তাদের প্রাপ্য মজুরি সঠিকভাবে দেওয়া নৈতিক কর্তব্য।এবং আইনের যথাযথ প্রয়োগের মাধ্যমে তাদের কাজের ও জীবনের নিরাপত্তা নিশ্চিত প্রয়োজন এ কর্মজীবী শ্রমজীবী শ্রমিকদের।