বাঘাইছড়ি উপজেলা প্রতিনিধি:- বাঘাইছড়ি প্রতিনিধি- রাঙ্গামাটির বাঘাইছড়ি উপজেলার সাজেকের বাঘাইহাটে এক তরুণীর সঙ্গে সাজেক সেচ্ছাসেবক লীগ সভাপতি ও সাংগঠনিক সম্পাদক এবং যুবলীগ নেতার আপত্তিকর ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। ভিডিওটি আজকে উপজেলার বিভিন্ন এলাকার সাধারণ মানুষের মোবাইলে, ম্যাসেঞ্জারে, ইমো ও ফেসবুকে আপত্তিকর এ ভিডিও ভাইরাল হওয়ার পর থেকে সাজেকের সাধারণ মানুষের মধ্যে আলোচনা সমালোচনার ঝড় বইছে।
ভাইরাল হওয়া ভিডিওটি উপজেলার সাজেক থানা সেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি আহসানউল্লাহ’র সাংগঠনিক সম্পাদক আালআমিন’র ও সাজেক ইউনিয়ন যুবলীগের সাবেক যুগ্ন-সাধারণ সম্পাদক সামসুজ্জামান মিন্টুর।
ভিডিও এবং সংশ্লিষ্টরা জানান, যুবলীগের যুগ্ন-সাধারণ সম্পাদক সামসুজ্জামান মিন্টুর একাকি বাসার একটি কক্ষে ২০ থেকে ২২ বছর বয়সী এক তরুণীর সঙ্গে অবৈধ মেলামেশায় লিপ্ত রয়েছেন ওইসব নেতা। ওই কক্ষের কোনো এক জায়গা দিয়ে কেউ তাদের আপত্তিকর কর্মকাণ্ডের ভিডিও গোপনে ধারণ করে তা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ও মোবাইল ফোনে ছড়িয়ে দিলে তা ভাইরাল হয়ে যায়।
সাজেকসহ উপজেলার বিভিন্ন বাজরে, চায়ের দোকানে সেচ্ছাসেবকলীগ নেতার অশ্লীল কর্মকাণ্ডের ভিডিও নিয়ে শুরু হয় আলোচনা- সমালোচনা সাধারণ মানুষের মাঝে দেখা দেয় মিশ্র প্রতিক্রিয়া।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ব্যক্তি তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করে জানান, আহসানউল্লার ও সামসুজ্জামান মিন্টুর চারিত্রিক ত্রুটি আগে থেকেই রয়েছে। মিন্টু তার বাসায় একাধিকবার এরকম ঘটনা ঘটায় ও দামাচাপা দেওয়া হয় বলেও অভিযোগ রয়েছে ।
এ বিষয়ে বাঘাইহাট বাজার ব্যাবসায়ী সংগঠনের সভাপতি ও সাজেক থানা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ডাঃ নাজিম উদ্দীন বলেন বলেন, এমন অনৈতিক কাজ কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যায় না। ভিডিওতে তাদের আসল চেহারা বেরিয়ে এসেছে তাদের সকল পদ পদবী থেকে বাদ দেওয়া উচিত । সাজেক থানা ছাত্রলীগের সভাপতি মিজানুর রহমান মাহিম এই ঘটনার দৃষ্টান্ত মুলক শান্তি দাবী করে বলেন আওয়ামীলীগের নাম ব্যাবহার করে যারা অপকর্ম করে বেরায় তাদের বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যাবস্থা নেয়া জরুরী।
সাজেক থানা আওয়মীলীগের সভাপতি ও সাধারণ সাম্পাদক এর নিকট চেষ্টা চালিয়ে কোন বক্তব্য পাওয়া যায়নি। উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক জগৎ দাশ বলেন শামসুজ্জামান মিন্টু নামে সাজেকে যুবলীগের কেও নেই কেও যদি যুবলীগের নাম বিক্রি করে তাদের বিরুদ্ধে ব্যাবস্থা নেয়া হবে।
উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক গিয়াস উদ্দিন আল মামুন বলেন, এ বিষয়ট আপনাদের কাছ থেকে শুনেছি, এ রকম অনৈতিক ঘটনা ঘটলে তাদের বিরুদ্ধে দলীয়ভাবে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
এ বিষয়ে অভিযুক্তদের বক্তব্য নিতে মুঠোফোন যোগাযোগ করেও পাওয়া যায়নি। ভিডিও ভাইরাল হওয়ার পর থেকে অভিযুক্তরা সবাই গা ডাকা দিয়েছেন।