1. admin@dailyoporadhonusondhanltd.net : admin :
  2. mdalamin0972@gmail.com : alamin :
শিরোনামঃ
আমতলী থানায় রেঞ্জ ডিআইজির দ্বি-বার্ষিক পরিদর্শন সম্পন্ন গোপালগঞ্জের কাশিয়ানীতে সেনা কর্মকর্তা পরিচয়ে বিয়ে-যৌতুক আদায়, যুবক আটক তালতলীতে জমি নিয়ে বিরোধ, হামলায় আহত -৩ যৌতুকের দাবীতে গর্ভবতী স্ত্রীকে হত্যার ২৩ বছর পর স্বামীর মৃত্যুদন্ড রায় উদয়পুর ইউনিয়ন পরিষদে ভিজিএফ-এর চাল বিতরণে স্বচ্ছতা আনতে ডিজিটাল লটারি পদ্ধতি গ্রহণ বাঁশখালীতে ৬ হাজার ইয়াবা উদ্ধার ও একটি মোটর সাইকেল জব্দসহ আটক ১  সীতাকুণ্ডের জনদূভোর্গের বহুল প্রতীক্ষিত সড়কের ঢালাই কাজ শুরু। বরগুনায় পার্টনার ফিল্ড স্কুল কংগ্রেস অনুষ্ঠিত: কৃষি, পুষ্টি ও উদ্যোক্তা উন্নয়নে নতুন দিগন্ত গঙ্গাচড়ায় আবাদি জমি জোরপূর্বক দখলে নিয়ে পুকুর খনন ও কাঁচা ঘরে নির্মাণের অভিযোগ শিবগঞ্জে বিএনপির উদ্যোগে অবহেলিত সরু রাস্তার সংস্কার ও প্রশস্তকরণ কাজ শুরু: জনমনে স্বস্তি

পঞ্চগড়ে পঞ্চম দিনেও সতর্ক অবস্থানে পুলিশ, আটক-৮১ পঞ্চগড় প্রতিনিধি।। পঞ্চগড়ে কাদিয়ানি সম্প্রদায়ের সালনা জলসা’কে কেন্দ্র করে ৫ম দিনেও অপৃতিকর ঘটনা এড়াতে সতর্ক অবস্থানে রয়েছে পুলিশ। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত ৬টি মামলায় আটক হয়েছে ৮১ জন। অজ্ঞাতনামা আসামীদের আইনের আওতায় আনতে অব্যাহত রয়েছে পুলিশি অভিযান। এর আগে কাদিয়ানিদের সালনা জলসাকে কেন্দ্র করে প্রথমে গত (২-মার্চ) বৃহষ্পতিবার দুপুরের পর থেকে দীর্ঘ সময় ধরে সড়ক অবরোধ করে ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা। পরে প্রশাসন কাদিয়ানি সম্প্রদায়ের সালনা জলসা অনুষ্ঠান সংকুচিত করে দেওয়া হয়। তার পরেও শুক্রবার(৩-মার্চ) জুম্মার নামাজের পর মুসল্লিরা পঞ্চগড় চৌরঙ্গি মোরে অবস্থান নিয়ে মিছিল ও সমাবেশ করতে থাকে। পুলিশ সাধারণ মানুষের চলাচলের স্বার্থে তাদের আটকানোর চেষ্টা করলে শুরু হয় সংঘর্ষ। এ সময় পুলিশ, সাংবাদিক, র্যাব, বিজিবি সহ ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা অনেকেই আহত হয়। রাস্তায় চলাচলরত সাধারণ মানুষের দিকেও নিক্ষেপ করা হয় ইট পাটকেল। পুড়িয়ে ফেলা হয় কাদিয়ানিদের ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠান, শো-রুম, বাড়ি ঘর, ট্রাফিক পুলিশের অফিস, বক্স, গাড়ি। সড়কে বিভিন্ন স্থানে অগ্নিসংযোগ করা হয়। কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে প্রচুর পরিমাণে ইট পাটকেল দেখা গেছে। ভিডিও ধারণে বাধা প্রদান করা হয়েছে গণমাধ্যম কর্মীদের। এ ঘটনায় নিহত হয়েছেন ২জন । একজন সাধারণ ধর্মপ্রাণ মুসল্লি। অপরজন কাদিয়ানি সম্প্রদায়ের সালনা জলসায় যোগ দিতে আসা যুবক। কথাও আগুন নেভাতে যেতে পারে নি ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা। আহতরা অনেকেই হাসপাতালে পর্যন্ত যেতে পারে নি। পরদিন (৪-মার্চ) বিকেল ৩টায় ধর্মপ্রাণ মুসল্লি শহীদ আরিফ হোসেনের জানাযা পঞ্চগড় কেন্দ্রীয় কবরস্থানে সম্পন্ন হয়। এ দিকে অপৃতিকর ঘটনা এড়াতে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়। পরিস্থিতি স্বাভাবিক থাকায় অনেকেই বিশ্রাম নেওয়ার প্রস্তুতি কালে রাত আনুমানিক আটটার সময় কাদিয়ানিরা দুজন ধর্মপ্রাণ মুসলিমকে জবাই করা হয়েছে মর্মে গুজব রটানো হয়। এতে আকস্মিক ভাবে পুনরায় ভাংচুর, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগ শুরু হয়। এ বিষয়ে জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়, ভিডিও ধারণে বাধা প্রদানে প্রশাসনের মনে সন্দেহের সৃষ্টি করে। পরে বিভিন্ন তথ্য প্রমাণ হাতে এলে দেখা যায় একটি চক্র এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে সুযোগ নেই। তারা রাজনৈতিক ভাবে ফায়দা নেওয়ার চেষ্টা করে। যারা সুপরিকল্পিত ভাবে এই ঘটনার সাথে সম্পৃক্ত ও সাধারণ ধর্মপ্রাণ মুসল্লিদের মাঝে বিভিন্ন ধরনের অপপ্রচার চালিয়ে মানুষকে বিভ্রান্ত করছে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে। এ দিকে জামায়াত ও বিএনপির সুপরিকল্পিত নৈরাজ্যের প্রতিবাদে রবিবার(৫-মার্চ) শান্তি সমাবেশ করেছে জেলা ছাত্রলীগ। জেলা আওয়ামীলীগের অফিস কার্যালয়ের সামনে আয়োজিত শান্তি সমাবেশ উপস্থিত ছিলেন, জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ও রেলপথ মন্ত্রনালয়ের মাননীয় মন্ত্রী এডভোকেড নুরুল ইসলাম সুজন এমপি, জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব মোঃ আনোয়ার সাদাত সম্রাট সহ আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, মহিলা আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ সহ আওয়ামী লীগের অঙ্গ সংগঠনের নেতা কর্মীরা।

  • আপডেট সময়ঃ সোমবার, ৬ মার্চ, ২০২৩
  • ১৫৯ জন দেখেছেন

পঞ্চগড় প্রতিনিধি।। পঞ্চগড়ে কাদিয়ানি সম্প্রদায়ের সালনা জলসা’কে কেন্দ্র করে ৫ম দিনেও অপৃতিকর ঘটনা এড়াতে সতর্ক অবস্থানে রয়েছে পুলিশ। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত ৬টি মামলায় আটক হয়েছে ৮১ জন। অজ্ঞাতনামা আসামীদের আইনের আওতায় আনতে অব্যাহত রয়েছে পুলিশি অভিযান। এর আগে কাদিয়ানিদের সালনা জলসাকে কেন্দ্র করে প্রথমে গত (২-মার্চ) বৃহষ্পতিবার দুপুরের পর থেকে দীর্ঘ সময় ধরে সড়ক অবরোধ করে ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা। পরে প্রশাসন কাদিয়ানি সম্প্রদায়ের সালনা জলসা অনুষ্ঠান সংকুচিত করে দেওয়া হয়। তার পরেও শুক্রবার(৩-মার্চ) জুম্মার নামাজের পর মুসল্লিরা পঞ্চগড় চৌরঙ্গি মোরে অবস্থান নিয়ে মিছিল ও সমাবেশ করতে থাকে। পুলিশ সাধারণ মানুষের চলাচলের স্বার্থে তাদের আটকানোর চেষ্টা করলে শুরু হয় সংঘর্ষ। এ সময় পুলিশ, সাংবাদিক, র্যাব, বিজিবি সহ ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা অনেকেই আহত হয়। রাস্তায় চলাচলরত  সাধারণ মানুষের দিকেও নিক্ষেপ করা হয় ইট পাটকেল। পুড়িয়ে ফেলা হয় কাদিয়ানিদের ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠান, শো-রুম, বাড়ি ঘর, ট্রাফিক পুলিশের অফিস, বক্স, গাড়ি। সড়কে বিভিন্ন স্থানে অগ্নিসংযোগ করা হয়। কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে প্রচুর পরিমাণে ইট পাটকেল দেখা গেছে। ভিডিও ধারণে বাধা প্রদান করা হয়েছে গণমাধ্যম কর্মীদের। এ ঘটনায় নিহত হয়েছেন ২জন । একজন সাধারণ ধর্মপ্রাণ মুসল্লি। অপরজন কাদিয়ানি সম্প্রদায়ের সালনা জলসায় যোগ দিতে আসা যুবক। কথাও আগুন নেভাতে যেতে পারে নি ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা। আহতরা অনেকেই হাসপাতালে পর্যন্ত যেতে পারে নি। পরদিন (৪-মার্চ) বিকেল ৩টায় ধর্মপ্রাণ মুসল্লি শহীদ আরিফ হোসেনের জানাযা পঞ্চগড় কেন্দ্রীয় কবরস্থানে সম্পন্ন হয়। এ দিকে অপৃতিকর ঘটনা এড়াতে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়। পরিস্থিতি স্বাভাবিক থাকায় অনেকেই বিশ্রাম নেওয়ার প্রস্তুতি কালে রাত আনুমানিক আটটার সময় কাদিয়ানিরা দুজন ধর্মপ্রাণ মুসলিমকে জবাই করা হয়েছে মর্মে গুজব রটানো হয়। এতে আকস্মিক ভাবে পুনরায় ভাংচুর, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগ শুরু হয়। এ বিষয়ে জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়, ভিডিও ধারণে বাধা প্রদানে প্রশাসনের মনে সন্দেহের সৃষ্টি করে। পরে বিভিন্ন তথ্য প্রমাণ হাতে এলে দেখা যায় একটি চক্র এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে সুযোগ নেই। তারা রাজনৈতিক ভাবে ফায়দা নেওয়ার চেষ্টা করে। যারা সুপরিকল্পিত ভাবে এই ঘটনার সাথে সম্পৃক্ত ও সাধারণ ধর্মপ্রাণ মুসল্লিদের মাঝে বিভিন্ন ধরনের অপপ্রচার চালিয়ে মানুষকে বিভ্রান্ত করছে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে। এ দিকে জামায়াত ও বিএনপির সুপরিকল্পিত নৈরাজ্যের প্রতিবাদে রবিবার(৫-মার্চ) শান্তি সমাবেশ করেছে জেলা ছাত্রলীগ। জেলা আওয়ামীলীগের অফিস কার্যালয়ের সামনে আয়োজিত শান্তি সমাবেশ উপস্থিত ছিলেন, জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ও রেলপথ মন্ত্রনালয়ের মাননীয় মন্ত্রী এডভোকেড নুরুল ইসলাম সুজন এমপি, জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব মোঃ আনোয়ার সাদাত সম্রাট সহ আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, মহিলা আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ সহ আওয়ামী লীগের অঙ্গ সংগঠনের নেতা কর্মীরা।

শেয়ার করুন

আরো দেখুন......