শনিবার, ০৯ নভেম্বর ২০২৪, ১১:০০ অপরাহ্ন
মুস্তাফিজুর রহমান বেনাপোল প্রতিনিধি: বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশ “দেশের এক ইঞ্চি জায়গাও যেন পতিত না থাকে”, ফেলে রাখা পতিত জায়গা-জমিতে সবজি চাষে দেশের নাগরিকদের উৎসাহিত হতে বলেছেন তিনি। এছাড়াও বলেছেন কৃষি পণ্য চাষের মাধ্যমে খাদ্য উৎপাদন বাড়াতে। এছাড়াও নজর দিতে বলেছেন দেশে যেন খাদ্য ঘাটতি না হয় সেই দিকেও খেয়াল রাখতে বলেছেন।
সেই নির্দেশনার আলোকে, বাংলাদেশ আনসারের, শার্শা উপজেলায় বিভিন্ন ক্যাম্পে কর্মরত আনসার সদস্য ও তৃণমূলের ভিডিপি সদস্যদের উদ্যোগে পতিত জমিতে সবজি চাষে সাফল্য এনেছে উক্ত সদস্যরা।
সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে, যশোরের শার্শা উপজেলা সদর প্রাঙ্গণ সহ বিভিন্ন ইউনিয়নের ভিডিপি সদস্যদের বাড়ির উঠানে এবং পাশের পতিত জায়গাই। এছাড়াও উপজেলা সদর এলাকার পাওয়ারগ্রীড কার্যালয় প্রাঙ্গণে, সুন্দর দৃষ্টি নন্দন সবজি বাগান সৃষ্টির মাধ্যমে সবজি উৎপাদন করছেন আনসার বাহিনীর সদস্যরা।
যা একদিকে যেমন খাদ্য ঘাটতি পূরণ করছে, অন্য দিকে বিষমুক্ত টাটকা সবজি খাবার খেতে পারছেন তারা।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, শার্শা উপজেলা আনসার ও ভিডিপি কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) আব্দুল্লাহ আল রাসেল এর সার্বিক সহযোগিতায় ও তত্ত্বাবধানে বিভিন্ন ক্যাম্পের পতিত জায়গায় আনসার সদস্যরা এবং ইউনিয়ন পর্যায়ের দলনেতা/দলনেত্রীরা তাদের বাড়ির আঙিনা-উঠানে সবজি চাষ করে লাভবান হয়েছেন।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার বাসভবনে কর্মরত আনসার সদস্য শফিকুল ইসলাম, তাদের ক্যাম্পের সামনে দৃষ্টি নন্দন সবজি বাগান সৃষ্টির মাধ্যমে আলোড়ন সৃষ্টি করেছেন। নিয়মিত ডিউটির পাশাপাশি অবসর সময়ে তিনি এই সবজি বাগান করেন এবং উৎপাদিত সবজি ক্যাম্পে ব্যাবহার করেন। এছাড়াও এখানে যাতায়াত পথে বাঁশের চটা দিয়ে দৃষ্টি নন্দন মাচাং তৈরির মাধ্যমে করেছেনও সবজি বাগান। শফিকুলের পাশাপাশি আনসারের অন্যান্য সদস্যরাও তাদের কর্মস্থলের সামনে পতিত জায়গায়, অবসর সময়ে সবজি চাষ ইতিমধ্যে শুরু করে দিয়েছেন। এতে করে তাদের বাজার খরচও অনেক সাশ্রয়ী হচ্ছে বলে জানা গেছে। এসব ছোট্ট বাগানে তারা লাউ, ভুট্টা, টমেটো, করলা, বেগুন, পিঁয়াজ, লালশাক, বাঁধাকপি সহ আরও হরেক রকমের শাক সবজি চাষ করছেন। একই সাথে করেছেন ফুল বাগান। যা দেখতে খুবই দৃষ্টি নন্দন সৌন্দর্যে মন আরও কেড়েছে।
এ বিষয়ে শার্শা উপজেলা আনসার ও ভিডিপি কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) আব্দুল্লাহ আল রাসেল জানান, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশক্রমে, “বাংলাদেশ আনসার’ এর আমাদের জেলা কমান্ড্যান্ট স্যারের সহযোগিতায়, আমি শার্শা উপজেলায় প্রতিটি আনসার ক্যাম্পে এবং সকল ইউনিয়ন এর দলনেতা দলনেত্রীদের বাড়ির আঙ্গিনায় সবজি চাষের উদ্যোগ গ্রহণ করি।
বর্তমানে এই সবজি বাগান করে অনেকেই লাভবান হচ্ছে এবং গ্রামের সাধারণ মানুষ তাদের দেখে অনুপ্রাণিত হচ্ছে। আপনারাও সংবাদ মাধ্যমেও সেটা তুলে ধরেছেন, তবে আনসার সদস্য শফিকুল ইসলাম ব্যতিক্রমী চাষ পদ্ধতি সবার দৃষ্টি কেড়েছে। মানুষের বাড়ির আঙিনায় অথবা যে কোন যাতায়াত পথে কোন বাঁধা সৃষ্টি হবে না, কোন পথ রোধ হবে না, একই সাথে সৌন্দর্যের সবজি বাগান এ এক সুন্দর পদ্ধতি! আমি তার উন্নত উন্নতর সাফল্য কামনা করছি।
তবে উক্ত চাষ বিষয়ে আনসার সদস্যরা অভিযোগে জানিয়েছেন, শার্শার ইউএনও স্যারের নিকট অনুমতি সহযোগিতা চাইলে তিনি আমাদের সহযোগিতা করেছেন। কিন্তু কৃষি পরামর্শ ও সহযোগিতার জন্য শার্শা উপজেলা কৃষি অফিসারকে অবহিত করলেও, তিনি আমাদের কোন ধরনের সহযোগিতা করেন নি। আমাদের অনেক সবজি ফসল তাদের সহযোগীতা না পাওয়াতে নষ্টও হয়েছে অনেক।