বৃহস্পতিবার, ৩০ নভেম্বর ২০২৩, ০৭:২৬ পূর্বাহ্ন
ফকির মিরাজ আলী শেখ বিশেষ প্রতিনিধি গোপালগঞ্জ থেকে,গোপালগঞ্জ-টেকেরহাট মহাসড়কের মুকসুদপুর উপজেলার তাললবাড়ি ও গোপালগঞ্জ সদরের সাতপাড় অংশের দ্বিতীয় প্যাকেজের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান,ও টি বি এল কোম্পানির অংশের চার লেনের প্রশস্তকরণের কাজ গুণগত মান ঠিক রেখে দ্রুত গতিতে এগিয়ে চলছে। এতে সড়কে চলাচলে সাধারণ মানুষের শান্তি ফিরে আসবে এ সড়কটিতে। ঠিকেদারি প্রতিষ্ঠান ও টি বি এল কোম্পানির সড়ক নির্মাণ কাজ ঘুরে ফিরে দেখে যাচ্ছেন ওই এলাকার উৎসাহ জনতা। সড়কটি আরো দ্রুত গতিতে সম্পন্ন করার দাবি ভুক্তভোগীদের। আর নির্ধারিত সময়ে কাজ সম্পন্ন করার আশা সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগের।
এতে সড়কে চলাচলে সাধারণ মানুষের শান্তি ফিরে আসবে এ সড়কটিতে। সড়ক নির্মাণ ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ও টি বি এল কোম্পানি মুকসুদপুর উপজেলার তালবাড়ি ও গোপালগঞ্জ সদরের সাতপাড় একাংশের দ্বিতীয় প্যাকেজ এর কাজ গুণগত মান ঠিক রেখে দ্রুত গতিতে করে যাচ্ছেন। ঠিকেদারি প্রতিষ্ঠান ও টি বি এল কোম্পানির সড়ক নির্মাণ কাজ ঘুরে ফিরে দেখে যাচ্ছেন ওই এলাকার উৎসাহ জনতা । সড়কটি আরো দ্রুত গতিতে সম্পন্ন করার দাবি ভুক্তভোগীদের। আর নির্ধারিত সময়ে কাজ সম্পন্ন করার আশা সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগের।
টেকেরহাট-গোপালগঞ্জ-ঘোনাপাড়া ৪৪ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের সড়কটি খানাখন্দে ভরা ছিল, যা চলাচলের অযোগ্য হয়ে উঠেছিল। যাত্রীদের ভোগান্তির কথা চিন্তা করে সড়কটি সম্প্রসারণের জন্য ২০২০ সালের জুন মাসে একনেক সভায় ৬১২ কোটি ৫৮ লাখ টাকা অনুমোদিত হয়। আর কাজ শেষ করার কথা ছিল ২০২২ সালে জুন মাসে। কিন্তু দরপত্র আহ্বানসহ নানা কারণে প্রকল্পের মেয়াদ বাড়ানো হয় ২০২৩ সালের জুন পর্যন্ত। মূল সড়ক নির্মাণে ব্যয় ধরা হয়েছে ৪৯৬ কোটি টাকা আর জমি অধিগ্রহণ ও অন্যান্য খরচ ধরা হয়েছে ১১৬ কোটি টাকা। সড়কটি ১৮ ফুট থেকে ৩৪ ফুট প্রশস্তের কাজ চলছে। ইতোমধ্যে সড়কটির দুপাশের গাছ কেটে বালু ভরাট করা হয়েছে। কিন্তু অনন্য ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ঢিলেঢালাভাবে সড়কের কাজ করাতে প্রতিনিয়ত ভোগান্তিতে পড়ছেন সাধারণ মানুষ।
২০১০ সালের পরে কোনো ধরনের সংস্কার হয়নি গোপালগঞ্জ-টেকেরহাট-ঘোনাপাড়া সড়কটিতে। ফলে যানবাহনে চলাচল করতে ব্যাপক সমস্যায় পড়তে হচ্ছে জনসাধারণের। এ ছাড়া পণ্যপরিবহনেও ব্যবসায়ী ও কৃষকদের নানা সমস্যায় পড়তে হচ্ছে। ফলে দ্রুত এ সড়কটির কাজ শেষ করার দাবি তাদের।
গোপালগঞ্জ সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মোহাম্মদ জাহিদ হোসেন বলেন, মাদারীপুর বিলরুট ক্যানেলের পূর্ব পাশ দিয়ে ৩৫ কিলোমিটার সড়কটি মূলত বেড়িবাঁধের ওপরে অবস্থিত। এটি এক সময় ঢাকায় যাতায়াতের মূল সড়ক ছিল। এ সড়কের কাজ দ্রুত শেষ করতে ৬টি প্যাকেজের মাধ্যমে করা হচ্ছে। আগামী ২০২৩ সালের ৩০ জুনের মধ্যে সড়ক সম্প্রসারণের কাজ শেষ হবে ।
সড়কটি নির্মাণ হলে যোগাযোগের ক্ষেত্রে নতুন মাত্রা যোগ হবে এ অঞ্চলে বলছেন সংশ্লিষ্টরা।
সড়ক ব্যবহারকারীগন ও গোপালগঞ্জ,মাদারীপুর,বাগেরহাট ও নড়াইলবাসি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, এমপি মুহাম্মদ ফারুক খান, এমপি শেখ ফজলুল করিম সেলিম ও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ও টি বি এল কোম্পানীকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন সহ অফুরন্ত দোয়া করেছেন এবং তাদের দীর্ঘায়ু ও সুস্বাস্থ্যের জন্য দেশবাসীর কাছে দোয়ার প্রার্থনা করেছেন।