শনিবার, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০৩:২৬ পূর্বাহ্ন
রুপম চাকমা বাঘাইছড়ি উপজেলা প্রতিনিধি সারা বিশ্বের মত পার্বত্য চট্টগ্রামও জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবেলা করছে। তীব্র দাবদাহ ও ভূগর্ভস্থ খাবার পানির স্তর কমে যাচ্ছে। সাথে অনাবৃষ্টি ও খাদ্য সংকট প্রকট আকার ধারন করেছে। জলবায়ু চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় পাহাড়ে দিন দিন ব্যর্থ হচ্ছে। পাহাড় ভিত্তিক এনজিও গুলো যথা সাধ্য করে যাচ্ছে। তবে, যে এলাকা গুলো সবচেয়ে শিকার সেসব এলাকায়, লোকাল এনজিও গুলো পৌঁছাতে ব্যর্থ। ঢাকা এবং রাঙ্গামাটিতেই তারা সীমাবদ্ধ এতে করে বিদেশী সহায়তা সরাসরি জুমিয়াদের কাছে পৌছাচ্ছে না। অন্যদিকে, খাবার পানির সংকট এতই বড় আকার ধারন করেছে তা বিগত কয়েক দশকেও হয়নি। এক কলস পানির জন্য সারা রা অপেক্ষা করতে হয়। অনেক গ্রাম এখন মানুষ শূণ্য হচ্ছে শুধুমাত্র খাবার পানির সংকটের জন্য। এ সংকট শুধু এক এলাকায় সীমাবদ্ধ নেই আর, এটি সারা পার্বত্য চট্টগ্রামের সমস্যায় রুপান্তর হয়েছে। এর সাথে বনায়ন ধংব্বস এর আকার দুয়ে দুয়ে= চার যোগ করেছে। বন থেকে আসা উপরিভাগ পানির পরিমান কমে যাওয়ায়, নোংরা পানি বাধ্য হয়ে পান করতে হচ্ছে। এমন চিত্র রাঙ্গামাটিতে দেখা যায়। পাহাড়ে সেটলার কতৃক বনায়ন ধংববস ও পাথর উত্তোলন থেমে নেই। বিগত এক দশকে সেটলারদের তামাক,ইটভাটার জ্বালানী হিসেবে পাহাড়ি বন উজার করা হয়েছে। সাথে কর্ণফুলী কাগজ মিল এখনও নাড়াইছড়ির ফরেস্ট, কাচালং ফরেস্ট, সাজেক ফরেস্ট ও বিলাইছড়ির বিত্তৃন এলাকা থেকে খাচামাল হিসেবে বাঁশ বন উজার করছে। এতে সে এলাকার জীব বৈচিত্ত্য ও পানি সংকট চরম আকার ধারন করেছে। সরল পাহাড়ি মানুষ গুলো জীবন বাচাঁতে বনের গভীর থেকে আরো গভীরে যাচ্ছে। ফলে সংকট আরো ঘূণীভুত হচ্ছে। পাহাড়ে সামরিক ও রাজনৈতিক চাপে সরল জুমিয়ারা নরকের মত দিনাতি যাপন করছে। কোথায় গিয়ে এক ধন্ধ শান্তি মিলবে এসব সরল জুমিয়াদের? খাবার পানির সংকট নিয়ে সাজেক ইউনিয়নের বাঘাইহাট শুকনোছড়া বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক এলিন চাকমা বলেন আমরা চরম খাবার পানির সংকটে আছি এইভাবে চলতে থাকলে ভবিষৎতে আমাদের কে গ্রাম ছেরে অন্যত্র চলে যেতে হবে। খাবার পানির সংকটের বিষয়ে স্হানীয় ইউপি চেয়ারম্যানও উপজেলা কয়েকবার অবগত করা হলেও কোন সুফল হয়নি।