বৃহস্পতিবার, ০৭ ডিসেম্বর ২০২৩, ০৯:২৩ পূর্বাহ্ন
কামাল হোসেন, বিশেষ প্রতিনিধিঃআই জি এম সংক্রান্ত জটিলতার কারনে ১১ ফেব্রুয়ারী শনিবার সকাল থেকে আমদানি রপ্তানি বন্ধ করে দিয়েছে ইন্ডিয়ান সি এন্ড এফ ব্যাবসায়ীগণ।
বেনাপোল চেকপোষ্ট কার্গো শাখায় সি এন্ড এফ এজেন্ট এর প্রতিনিধিদের নিকট থেকে খোজ নিয়ে জানা যায়, দীর্ঘদিন যাবত যে নিয়মে আই জি এম করে পন্য আমদানি করা হচ্ছিল বর্তমানে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের আদেশ অনুযায়ী দেশের সমস্ত কাস্টম হাউস ও কাস্টমস ষ্টেশনে একক ফরম্যাটে বিল অফ ল্যাডিং দাখিল করনের নিমিত্তে বেনাপোল কাস্টম হাউসেও পন্যচালান আমদানির ক্ষেত্রে ১৭ ডিজিটের বিল অফ ল্যাডিং বা আই জি এম নাম্বার প্রদান করছে।
তাছাড়াও পন্যচালান আমদানির জন্য ইন্ডিয়া থেকে বাংলাদেশে প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টস প্রেরন করলে এ্যাসাইকুডা ওয়ার্ল্ড সিস্টেমে প্রয়োজনীয় তথ্য প্রদান করার মাধ্যমে একটি ১৭ ডিজিটের নাম্বার প্রদান করছে, যেটি বিল অফ ল্যাডিং নাম্বার বা আই জি এম নাম্বার।
বেনাপোল সি এন্ড এফ এজেন্ট এ্যাসোসিয়েশনের চেকপোস্ট ও আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক জনাব সুলতান মাহমুদ বিপুলের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন আই জি এম সংক্রান্ত বিষয়ে ইতিমধ্যে বিগত সময়ে আমরা ইন্ডিয়ান এজেন্ট ও বেনাপোল কাস্টমস হাউজের কর্মকর্তা গনের সাথে আলোচনা করেছি।
বিশেষ করে ইন্ডিয়ান সাইড থেকে যখন পণ্য রপ্তানির উদ্দেশ্যে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র বাংলাদেশে প্রেরন করছে তখন জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের আদেশ অনুযায়ী এ্যাসাইকুডা ওয়ার্ল্ড সিস্টেমে প্রয়োজনীয় তথ্য প্রদান করে সারাদেশের সকল কাস্টমস ষ্টেশনের ন্যায় ১৭ ডিজিটের একটি বিল অফ ল্যাডিং নাম্বার বা আই জি এম নাম্বার প্রদান করছে। ইন্ডিয়ান সি এন্ড এফ ব্যাবসায়ীদের দাবি, অনেক সময় ইন্ডিয়া থেকে প্রেরনকৃত ডকুমেন্টস এ অনেক ভুল পরিলক্ষিত হয়, যাহা পরবর্তীতে সংশোধন করে আই জি এম অনলাইন করা হতো, কিন্তু বর্তমানে ইন্ডিয়া হতে রপ্তানীর উদ্দেশ্যে প্রেরনকৃত ডকুমেন্টস অনুযায়ী এ্যাসাইকুডা তে আই জি এম এর সমস্ত তথ্যাদি নোটিং করার ফলে পরবর্তীতে নোটিংকৃত আই জি এম এ যদি কোনো সাধারন ভুল থাকে তাহলে ঐ ভুল সংশোধন করতে হলে ১০ – ১৫ দিনের বেশি সময় লেগে যাবে, যা একটি জটিল প্রক্রিয়া। এই কারনে ইন্ডিয়ান সি এন্ড এফ এজেন্ট সমস্ত রকমের আমদানি রপ্তানি কার্যক্রম বন্ধ করে রেখেছে। জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী সকল ল্যান্ড কাস্টমস স্টেশনে একক ফরম্যাটে বিল অব ল্যাডিং দাখিলকরনের ন্যায় বেনাপোল কাস্টমসেও একই নিয়মে বিল অফ ল্যাডিং দাখিল হবে।
ইন্ডিয়ান সি এন্ড এফ এজেন্ট, ইন্ডিয়ান কাস্টমস কর্মকর্তাগনের সাথে এ বিষয়ে দেন দরবার করে যাচ্ছি, আমদানি রপ্তানি যেন বাধাঁগ্রস্হ না হয় সেজন্য যোগাযোগ অব্যহত রেখেছি এবং চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।
তিনি আরো বলেন,
জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের আদেশ অনুযায়ী আই জি এম অনলাইন হওযাটা জরুরী আবার আই জি এম অনলাইন করার বিষয়ে সি এন্ড এফ ব্যাবসায়ীদের অভ্যস্ত হওয়াটাও সময়ের ব্যাপার। তাছাড়া আই জি এম অনলাইন করা এবং আই জি এম অনলাইন করার ইস্যু নিয়ে ইন্ডিয়ান সি এন্ড এফ ব্যাবসায়ী এবং বাংলাদেশী সি এন্ড ব্যাবসায়ীদের সাথে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছি।