মোঃ রজিবুল ইসলাম সুইট,বিভাগীয় প্রধান খুলনা:- যশোর অভয়নগর উপজেলার একতারপুর আদর্শ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে নানাবিধ অনিয়মের অভিযোগ রয়েছে।একতারপুর আদর্শ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে সারজমিনে গিয়ে দেখা যায়,স্কুলে ছাত্রীদের জন্য বাথরুম থাকলেও ছাত্রদের জন্য বাথরুম নাই।এবিষয় বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের সঙ্গে কথা হলে তিনি বলেন,কিছুদিনের জন্য সমস্যা হয়েছে ঠিক হয়ে যাবে। কিন্তু মাসের পর মাস চলে যাচ্ছে কোন সমাধান নাই। এ ঘটনায় স্কুলের অষ্টম ও নবম শ্রেণীর ছাত্র-ছাত্রীদের সঙ্গে কথা হলে ছাত্রছাত্রীরা বলেন এ সমস্যা বছর ছাড়িয়ে গিয়েছে।

অনেক ছাত্র বলেন যখন আমাদের বাথরুমের চাপ আসে তখন আমরা বাড়িতে চলে যাই।

২০২২ইং সালের এসএসসি পরীক্ষার বোর্ড নির্ধারিত ফির অতিরিক্ত টাকা আদায় করে, যার পরিমান ২৮০০ শত টাকা থেকে ৩৫০০ শত পর্যন্ত।

অনুসন্ধানে দেখাযায়,একতারপুর আদর্শ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটি না থাকায় প্রধান শিক্ষক নিজ কর্তৃত্বে স্কুলের গত বছর মার্চ থেকে চলতি বছরের মধ্যেও উপার্জিত কোন টাকা ব্যাংকের স্কুল একাউন্টে জমা না দিয়ে নিজর কাছে রেখেছে সেখান থেকে খরচ চালিয়ে যাচ্ছে।ছাত্রছাত্রী সংখ্যা অনুযায়ী  ২০২২-২০২৩ইং সালের আনুমানিক আয় সাত লক্ষ টাকারও অধিক।

প্রধান শিক্ষক নিজ নিয়ন্ত্রণে রেখে এ ধরনের খরচ পরিচালনা করা শিক্ষা বোর্ডের আইন বহির্ভূত।

স্কুলে কারিগরি শিক্ষা বিভাগ রয়েছে।

কারীগরী শিক্ষা শাখার ২টা ট্রেডের শ্রেণী কার্যক্রম যথাযথ পরিচালনা করেন না।কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের ২০২২ইং সালের পরীক্ষার্থীদের কাছ থেকে দুই হাজার পাঁচ শত টাকা নিয়েছে যা শিক্ষা বোর্ডের নির্ধারিত ফির থেকে অতিরিক্ত।

এমনকি প্রধান শিক্ষক ২০২২-২০২৩ ইং সালে ষষ্ঠ শ্রেণির উপবৃত্তির তথ্য ফরম বাবদ প্রত্যেকের কাছ থেকে ৩০ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে।

একতারপুর আদর্শ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে নাই নাইটগার্ড।এই প্রধান শিক্ষক থাকাকালীন পূর্বে একবার স্কুলের অনেক সম্পদ চুরির ঘটনা ঘটেছে। যার কোন আইনগত ব্যবস্থা না নিয়ে মৌখিকভাবে সমাধানের ধোঁয়াশা ছড়ায়।রাতের বেলায় স্কুলে কোন আলোর ব্যবস্থা নাই।নাইটগার্ড না থাকায় স্কুলে রাতের বেলায় নানাবিধ অপকর্ম সংগঠিত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

এ বিষয়ে সাবেক ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ফারাজী এফরুল রেজা রিপন জানান স্কুলে এহেন অবস্থার জন্য আমি আন্তরিকভাবে দুঃখিত।

এ ধরনের সমস্যাগুলো প্রধান শিক্ষকের জন্যই হয়ে থাকে আর এখন ম্যানেজিং কমিটি নাই এজন্য প্রধান শিক্ষক নিজের খেয়াল খুশি মতো পরিচালনা করে যাচ্ছে।

একতারপুর আদর্শ মাধ্যমিক বিদ্যালয় এর প্রধান শিক্ষকের সঙ্গে কথা হলে তিনি নানান অজুহাত তুলে ধরেন।