আব্দুল মান্নান বিশেষ প্রতিনিধিঃ ৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ইং আজ রবিবার দিনব্যাপী খেলার আয়োজন ও পিঠা পুলির উৎসব ।স্কুল ফর হিউম্যানিটি ফাউন্ডেশন, প্রতিষ্ঠাতাকাল থেকেই খেলাধূলার পাশাপাশি রচনা প্রতিযোগিতা, বণ্যাদুর্গতদের জরুরি খাদ্য সহায়তা,পথশিশু,এতিমখানা,মাদ্রাসার শিক্ষার্থীসহ সুৃবিধাবঞ্চিতদের মাঝে ঈদ উপহার,আম উৎসব,ফ্রি করোনা ভ্যাকসিন রেজিষ্ট্রেশন, ফ্রি ব্লাডগ্রুপ টেষ্ট ক্যাম্পেইন, শীতবস্ত্র বিতরণ করে আসছে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন, ‘স্কুল ফর হিউম্যানিটি ফাউন্ডেশন ’। এরই ধারাবাহিকতায় বিগত বছরের ন্যায় এবারেও উৎসবের অয়োজন করা হয়। ‘প্রাইজমানি ব্যাডমিন্টন’২৩ খেলার আয়োজনকে ঘিরে আরো একটি স্বতন্ত্র অনুষঙ্গ ছিল ‘পিঠা-পুলি’। বাঙালির হাজার বছরের ইতিহাসের সঙ্গে মিশে আছে নিজস্ব খাদ্যাভ্যাসের একটি স্বতন্ত্র অনুষঙ্গ ‘পিঠা-পুলি’। নানান নামের শতাধিক ধরনের পিঠা নিয়ে উপজেলার দাদপুর উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে হাজির হয়েছিল পিঠা প্রস্তুতকারকরা। বাঘা উপজেলার দুই নম্বর গড়গড়ি ইউনিয়নের চেয়ারম্যানমোঃ রবিউল ইসলাম (রবি)দিনব্যাপী পিঠা উৎসবের উদ্বোধন করেন। উপস্থিত ছিলেন ‘স্কুল ফর হিউম্যানিটি ফাউন্ডেশন’ এর প্রতিষ্ঠাতা আব্দুল মান্নান সরকার মুকুল ও সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট ফয়সাল আহমেদ অন্তরসহ প্রতিষ্ঠানটির মোস্তফা কামাল রুবেল ও উদ্যোমী সদস্যরা। প্রাইজমানি ব্যাডমিন্টন’২৩ খেলাকে কেন্দ্র করেই পিঠা উৎসবের আয়োজন। গত শুক্রবার রাত সাড়ে ১০টায় ‘প্রাইজমানি ব্যাডমিন্টন’২৩ ফাইনাল খেলা শুরুর আগে দিনব্যাপী চলে পিঠা উৎসব। বাঘা উপজেলার দাদপুর-গড়গড়ি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে এ উৎসবের আয়োজক ‘স্কুল ফর হিউম্যানিটি ফাউন্ডেশন’। উৎসবের বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরেন আয়োজক কমিটির সভাপতি পলাশ আহম্মেদ,সাধারণ সম্পাদক মাহাবুবুর রহমান মিঠন। গত শুক্রবার ফাইনাল খেলায় প্রতিযোগিতা করেন, ঈশা-মায়িশা ক্রীড়া চক্র বনাম লাল-সবুজ ক্রীড়া চক্র। অনুষ্ঠিত খেলায় চ্যাম্পিয়ন হয় ঈশা-মায়িশা ক্রীড়া চক্র। ঈসা-মায়িশা ক্রীড়া চক্র এর পক্ষে খেলেন দেশসেরা খেলোয়াড় সোয়াদ-পরশ জুটি। রানার আপ দল সবুজ ক্রীড়া চক্রে অংশ গ্রহন করেন-নয়ন-শিবলি জুটি। এর আগে প্রীতি ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয়। এতে অংশগ্রহন করেন সংগঠটির প্রতিষ্ঠাতা আব্দুল মান্নান সরকার মুকুল- সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট ফয়সাল আহমেদ অন্তর জুটি ও নওগা জজকোর্টের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্টেট জুনায়েদ আহমেদ-জুডিশিয়াল ম্যাজিস্টেট আশিকুর রহমান জুটি। খেলার ধারা বিবরনীতে ছিলেন-শাহদৌলা সরকারি কলেজের প্রভাষক আব্দুল হানিফ মিয়া ও সংগঠনটির ভাইস প্রেসিডেন্ট রুবেল আহমেদ। রেফারি ছিলেন-সুজন আহমেদ। অ্যাম্পায়ার সায়েদুল ইসলাম,স্কোরার সুমন আহমেদ। জাজ ছিলেন-রাকিব মাহামুদ,শিমুল সরকার,বাদশা আলম, গোলাম রাব্বানি। খেলা শেষে বিজয়ীদের হাতে পুরুস্কার তুলে দেন আমন্ত্রিত অতিথিরা। উপস্থিত ছিলেন-লেঃ কর্নেল (অবঃ) রমজান আলী সরকার,রাজশাহী কলেজের ইতহাস বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক আনিসুজ্জামান, গড়গড়ি ইউনিয়নের উদিয়মান স্বেচ্ছাসেবক, চেয়ারম্যান ,মোঃ রবিউল ইসলাম,(রবি) নওগাঁ জেলা জজকোর্টের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্টেট জুনায়েদ আহমেদ,জুডিশিয়াল ম্যাজিস্টেট আশিকুর রহমান,অবসরপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মোঃ আব্দুল হালিম মোল্লা,বীর মুজিযোদ্ধা আব্দুর রাজ্জাক সরকার , আব্দুল গনি কলেজের অধ্যক্ষ (ভারপ্রাপ্ত) আনিসুর রহমান, পোরশা উপজেলা সমাজ সেবা কর্মকর্তা নাজমুল হাসান বাবু, বাঘা থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আব্দুল করিম, অবসরপ্রাপ্ত প্রধান নূরল ইসলাম মন্ডল, বাঘা প্রেস ক্লাবের সভাপতি আব্দুল লতিক মিঞা, দাদপুর গড়গড়ি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃএমদাদুল হক, বিশিষ্ট সমাজ সেবক মাসুদ করিম টিপু, আব্দুল মমিন প্রমুখ। ঈসা-মায়িশা ক্রীড়া চক্রের পরিচালক মনিরুল ইসলাম জানান,২০০৮ সালে তার ক্রীড়া সংগঠন প্রতিষ্ঠা করেন। নানান নামের পিঠা নিয়ে হাজির হয়েছিলেন- মারুফ মন্ডল, রুবেল আহমেদ, এলিজা পারভিন, সাদিয়া তাসলিম, রোকসানা মিম, এলিজা পারভিন, পলাশ আহমেদ, নাজমা বেগম, বেলাল আহেমদ, তাহমিদ,কামরুন্নাহার, মাহিম জেবুন্নেছা আজ্ঞা, মৌসুমী ও মিঠু। এসব পিঠার মধ্যে অন্যতম ছিল-কামরাঙ্গা/ পালং পিঠা, সূর্যমুখী পিঠা, পাটি শাপটা, পুলি পিঠা, তারা সিঙ্গারা , গোলাপ পিঠা, বিস্কিট পিঠা, পরী বন্ধি, কমলা পিঠা, কড়ি পিঠা, চালতা পিঠা, গোলাপ পিঠা (পুঁইশাক দিয়ে), সবজি পিঠা, রস পিঠা (বকুল পিঠা), খেজুর পাকান পিঠা, নকশী, দুধ পাকান, সুজির রসভরি পিঠা, নারিকেল বড়া, রসালো পুলি পিঠা , চুষি পিঠা, কিকিট পিঠা,ফুল পিঠা, ডিম পিঠা, পাকান পিঠা , হৃদয় হরণ, পুলি, বিস্কিট পিঠা, পুডিং, পানতোয়া,দুধ চিতাই, রস পাকান, নকশী পিঠা, কাঠাল পাতায় কুলফিন নকশী পিঠা, ভাবা পিঠা সহ শতাধিক নামের পিঠা। আয়োজকরা জানান,পিঠা বিক্রির অর্থ তারা বাড়িতে নিয়ে যাননি। শীতবস্ত্র কেনার জন্য ‘স্কুল ফর হিউম্যানিটি ফাউন্ডেশন’কে দিয়ে দিয়েছেন।