বৃহস্পতিবার, ৩০ নভেম্বর ২০২৩, ০৫:২৮ অপরাহ্ন
স্টাফ রিপোর্টার:
রংপুর সিটি কর্পোরেশন এলাকার ১৮ নং ওয়ার্ডের কেরাণীপাড়া এলাকার শীর্ষ সন্ত্রাসী একাধিক হত্যা সহ এক ডজন মামলার পলাতক আসামী মিলন ওরফে (মুরগী মিলন) ও তার সহযোগী সুমন ওরফে বানিয়া সুমনকে গ্রেফতার করেছে (আরএমপি) থানা পুলিশ।
রংপুর কোতোয়ালি থানা পুলিশ সূত্রে জানা যায় শনিবার (১৪ জানুয়ারী ২০২৩) সন্ধ্যা আনুমানিক সাড়ে সাতটার দিকে রংপুরের কাচারী বাজারস্থ মৌবন গলিতে দৈনিক গণকন্ঠ পত্রিকার বিশেষ প্রতিনিধি ও দৈনিক দাবানল পত্রিকার ষ্টাফ রিপোর্টার এবং বাংলাদেশ প্রেসক্লাব রংপুরের সহ-সভাপতি আতিকুর রহমান আতিক সংবাদ সংগ্রহ করতে গিয়েছিলেন। এ সময় মিলন এর নেতৃত্বে সুমন, ইমরান সহ আরো ৯/১০ জন সন্ত্রাসী দেশীয় অস্ত্রসহ তাদের সংবাদ সংগ্রহের কাজে বাধা সৃষ্টি করে আকষ্মিকভাবে দলবদ্ধ হয়ে চড়াও হয়।
এমনকি সাংবাদিকের কাছে থাকা সংবাদ সংগ্রহের কাজে ব্যবগহৃত ক্যমেরা ও হাতে থাকা এন্ড্রয়েড মোবাইল ফোন এবং তাদের পকেটে রক্ষিত অফিসের কম্পিউটার কেনার জন্য (২৫,০০০) পঁচিশ হাজার টাকা জোর করে কেড়ে নেয়। তাদের পত্রিকা অফিসের দেয়া পরিচয়পত্র ও টানাহেঁচড়া করে পরনের কাপড় ছিঁড়ে জনসম্মুখে লাথি, কিল-ঘুষি, এমনকি বাঁশের লাঠি দিয়ে মারধর করে। পরে তাদের প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে ও ভয়-ভীতি প্রদর্শন করে চলে যায়।
পরবর্তীতে সাংবাদিক আতিকুর রহমান আতিক সংবাদ সম্মেলন সহ সাংবাদিক নেতাদের সাথে কথা বলে, রংপুর কোতয়ালী থানায় ২ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত ৯/১০ জনকে আসামী করে মামলা করেন। মামলা নং জিআর ৩৩/২৩।
এ ঘটনায় পুলিশের একাধিক টিম বিভিন্ন জায়গায় একাধিক অভিযান চালায়। অবশেষে ওসি (তদন্ত) হোসেন আলীর নেতৃত্বে এস আই আলীম সহ-সঙ্গীয় ফোর্সের এক বিশেষ অভিযানে গত মধ্যরাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কোতয়ালী থানাধীন কেরাণীপাড়া চৌরাস্তার মোড় থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
এ ব্যাপারে এস আই আলীমের সাথে কথা বলে যানা যায়, অভিযুক্ত মিলন ওরফে মুরগী মিলনকে ধরতে বেশ বেগ পেতে হয়েছে, সে অতন্ত ধুরন্ধর প্রকৃতির সন্ত্রাসী। সে বিভিন্ন সময় সে তার স্থান পরিবর্তন করেছে তাই তাকে ধরতে একটু সময় লাগে।
স্থানীয় একাধিক সূত্রে নাম না জানানোর শর্তে বলেন, মুরগী মিলন এলাকার শীর্ষ সন্ত্রাসী। তার অত্যাচারে এলাকার মানুষ অতিষ্ঠ। প্রতিদিন কোন না কোন বাড়ীতে সে চাঁদা দাবী, এলাকার টার্গেটকৃত ব্যক্তিকে বিভিন্ন ভাবে ভয়-ভীতি ও হুমকি দিয়ে টাকা পয়সা ছিনিয়ে নেয়াই তার পেশা।
স্থানীয় একই এলাকার তারা আলো মিয়া বলেন, সে তিনটি হত্যা মামলার আসামী এবং তার নামে একাধিক মামলা আছে। সে এলাকার চিহ্নিত সন্ত্রাসী, তার নামে কেউ মুখ খুলতে পারে না বলে জানান তিনি।
এ ব্যাপারে বাংলাদেশ তাঁতী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সাইদুল ইসলাম আলমগীর বলেন, এ ঘটনা অত্যন্ত ন্যাক্কারজনক। দোষীদের আইনের আওতায় এনে সর্বোচ্চ শাস্তি দাবী জানান।
রংপুর কোতয়ালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা’র সাথে কথা বললে তিনি বলেন, প্রধান আসামী গ্রেফতার হয়েছে। অন্য আসামীদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে। আইন অনুযায়ী পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সন্ত্রাসীদের কোন ছাড় দেওয়া হবে না বলে জানান তিনি।##