1. admin@dailyoporadhonusondhanltd.net : admin :
শিরোনামঃ
শরণখোলায় অজগর উদ্ধার বনে অবমুক্ত মোঃ কামরুল ইসলাম (টিটু) শেরপুরের ঝিনাইগাতীতে ১৫ পিচ ইয়াবা সহ গ্রেপ্তার-১ “কিন্ডারগার্টেন’কে স্বীকৃতি দিয়ে নীতিমালার আওতায় আনতে হবে”–ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ এম.পি। সীতাকুণ্ডের জঙ্গল সলিমপুর উচ্ছেদের ঘটনায় অস্ত্র উদ্ধারসহ আটক-০২ সিএমপি, ইপিজেড থানা পুলিশের শ্বাসরুদ্ধকর অভিযানের মাধ্যমে চোরাই মটর সাইকেল উদ্ধারসহ চোর চক্রের সদস্য গ্রেফতার-০৫ র‌্যাব ৭, চট্টগ্রাম’র অভিযানে হরিমোহন রায় হত্যা মামলার যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামি নিপত কর্মকার ১৬ বছর পর আটক। বটিয়াঘাটা সদ্য বিদায়ী কৃষি অফিসার রবিউল ইসলাকে বিদায় সংবর্ধনা প্রদান শেরপুরে বাড়ীর সীমানা বিরোধের জেরে ভাংচুর লুটপাটসহ হামলা : আহত-৫ বেনাপোলে অজ্ঞাত ব্যাক্তির অর্ধ-গলিত লাশ উদ্ধার জাতীয় দৈনিক প্রতিদিনের কাগজে এর চট্টগ্রাম ব্যুরো অফিস উদ্বোধন।

ছারপোকার ঔষধের বিষক্রিয়াতে দুই বোনের মৃত্যু।

  • আপডেট সময়ঃ শুক্রবার, ২০ জানুয়ারী, ২০২৩
  • ৩০ জন দেখেছেন

রিপোর্ট বাবুল হোসেন বাবলা :২০জানুয়ারী

নগরীর দক্ষিণ হালিশহর বন্দরটিলায় অসুস্থ্য‌ হয়ে আপন দুই বোনের মৃত্যু হয়েছে। পথের ভাসমান বিক্রেতার কাছ থেকে কেনা পোকা মারার ওষুধের বিষক্রিয়ায় তাদের মৃত্যু হয়েছে বলে তথ্য পাওয়ার কথা জানিয়েছে পুলিশ। তবে মৃত্যুর কারণ আরও খতিয়ে দেখার কথা জানিয়েছে পুলিশ। 

গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে ইপিজেডের বন্দরটিলার আয়শার মার গলি এলাকায় লেদাইয়ার ভাড়া ঘরে এ ঘটনা ঘটে। মৃত রহিমা আক্তার (২৪) ও ফজিলা আক্তার (১৬) পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া এলাকার ইদ্রিস আলীর মেয়ে। এর মধ্যে রহিমার বিয়ে হয়েছে। তার স্বামী প্রবাসী। দুই বোনই চাকরি করে। রহিমা সুইটার ফ্যাক্টরিতে এবং ফজিলা ইয়াংওয়ানে কাজ করে।

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে ইপিজেড থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. আবদুল করিম দৈনিক অপরাধ অনুসন্ধানকে বলেন, তারা রাতে ঘুমানোর আগে ছারপোকা নিধনের ওষুধ ঘরে দিয়ে দরজা জানালা বন্ধ করে ঘুমিয়ে পড়ে। ভোরে অসুস্থ হয়ে পড়লে তাদের প্রথমে স্থানীয় একটি বেসরকারি হাসপাতাল ও পরে চমেক হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানে তারা মারা যান। ঘটনাস্থলে গিয়ে পুলিশ ছারপোকার ওষুধ উদ্ধার করেছে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে ওষুধের গ্যাসের প্রভাবেই তাদের মৃত্যু হয়েছে। তবুও মৃত্যুর আসল কারণ খতিয়ে দেখতে আমরা আমাদের তদন্ত চালিয়ে যাব।

 

তাদের চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে নিয়ে এলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ফজিলাকে মৃত ঘোষণা করেন। চিকিৎসাধীন অবস্থায় রহিমাও বিকেলে মারা যায়। বিষক্রিয়ায় তাদের মৃত্যু হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। লাশ চমেক হাসপাতালের জরুরি বিভাগের মর্গে রাখা হয়েছে। জানতে চাইলে তাদের বড় বোন নাজমা আখতার দৈনিক অপরাধ অনুসন্ধানকে বলেন, খবর পেয়ে আমরা তাড়াতাড়ি বাসায় যাই। আমরা যাওয়ার আগেই ফজিলা মারা গিয়েছিল। রহিমা তখনও কথা বলতে পারছিল।

সে জানায়, রাতে ছারপোকা মারার ওষুধ ছিটিয়ে তারা দরজা জানালা বন্ধ করে। এরপর ভাত ও ডালিম খেয়ে শুয়ে পড়ে। হঠাৎ রাতে তারা অসুস্থ বোধ করে। কিছুক্ষণ পর পর বমি করছিল। এরপর আর কিছু বলতে পারেনি সে। পরে দু’জনকে বন্দরটিলার একটি বেসরকারি হাসপাতালে এবং পরে চমেক হাসপাতালে ভর্তি করালে কর্তব্যরত চিকিৎসক ফজিলাকে মৃত ঘোষণা করেন। এর পর বিকেলের দিকে রহিমাও মারা যায়।

শেয়ার করুন

আরো দেখুন......