1. admin@dailyoporadhonusondhanltd.net : admin :
শিরোনামঃ
নোয়াখালী জেলার সুধারাম থানার চাঞ্চল্যকর হত্যা মামলার এজাহারনামীয় পলাতক আসামি মোঃ রায়হান’কে চট্টগ্রামের পটিয়া থেকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব-৭ ও র‌্যাব-১১। সীতাকুণ্ডে মহাসড়ক অবরোধ করে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ যানজট সৈনিক কল্যাণ সংস্থা Uno নিকট খেজুরের বীজ প্রদান বাংলাদেশ গ্রাম ডাক্তার কল্যাণ সমিতি চট্টগ্রাম জেলা শাখা কমিটির অভিষেক অনুষ্ঠান ও মাস ব‍্যাপি সাংগঠনিক কর্মসূচি 2024 সম্পন্ন। বরগুনার তালতলীতে অবৈধ চোলাই মদসহ আটক ১ জন। “শিক্ষায় কিন্ডারগার্টেন শিক্ষকদের আন্তরিকতা প্রশংসনীয়”– “শিক্ষায় কিন্ডারগার্টেন শিক্ষকদের আন্তরিকতা প্রশংসনীয়” শেরপুরের ঝিনাইগাতী তিনজন হোটেল মালিককে ৬ হাজার টাকা জরিমানা ২ কেজি গাঁজা সহ এক মাদক ব্যবসায়ী বরগুনা ডিবি পুলিশের হাতে আটক।

ছারপোকার ঔষধের বিষক্রিয়াতে দুই বোনের মৃত্যু।

  • আপডেট সময়ঃ শুক্রবার, ২০ জানুয়ারী, ২০২৩
  • ৫২ জন দেখেছেন

রিপোর্ট বাবুল হোসেন বাবলা :২০জানুয়ারী

নগরীর দক্ষিণ হালিশহর বন্দরটিলায় অসুস্থ্য‌ হয়ে আপন দুই বোনের মৃত্যু হয়েছে। পথের ভাসমান বিক্রেতার কাছ থেকে কেনা পোকা মারার ওষুধের বিষক্রিয়ায় তাদের মৃত্যু হয়েছে বলে তথ্য পাওয়ার কথা জানিয়েছে পুলিশ। তবে মৃত্যুর কারণ আরও খতিয়ে দেখার কথা জানিয়েছে পুলিশ। 

গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে ইপিজেডের বন্দরটিলার আয়শার মার গলি এলাকায় লেদাইয়ার ভাড়া ঘরে এ ঘটনা ঘটে। মৃত রহিমা আক্তার (২৪) ও ফজিলা আক্তার (১৬) পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া এলাকার ইদ্রিস আলীর মেয়ে। এর মধ্যে রহিমার বিয়ে হয়েছে। তার স্বামী প্রবাসী। দুই বোনই চাকরি করে। রহিমা সুইটার ফ্যাক্টরিতে এবং ফজিলা ইয়াংওয়ানে কাজ করে।

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে ইপিজেড থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. আবদুল করিম দৈনিক অপরাধ অনুসন্ধানকে বলেন, তারা রাতে ঘুমানোর আগে ছারপোকা নিধনের ওষুধ ঘরে দিয়ে দরজা জানালা বন্ধ করে ঘুমিয়ে পড়ে। ভোরে অসুস্থ হয়ে পড়লে তাদের প্রথমে স্থানীয় একটি বেসরকারি হাসপাতাল ও পরে চমেক হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানে তারা মারা যান। ঘটনাস্থলে গিয়ে পুলিশ ছারপোকার ওষুধ উদ্ধার করেছে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে ওষুধের গ্যাসের প্রভাবেই তাদের মৃত্যু হয়েছে। তবুও মৃত্যুর আসল কারণ খতিয়ে দেখতে আমরা আমাদের তদন্ত চালিয়ে যাব।

 

তাদের চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে নিয়ে এলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ফজিলাকে মৃত ঘোষণা করেন। চিকিৎসাধীন অবস্থায় রহিমাও বিকেলে মারা যায়। বিষক্রিয়ায় তাদের মৃত্যু হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। লাশ চমেক হাসপাতালের জরুরি বিভাগের মর্গে রাখা হয়েছে। জানতে চাইলে তাদের বড় বোন নাজমা আখতার দৈনিক অপরাধ অনুসন্ধানকে বলেন, খবর পেয়ে আমরা তাড়াতাড়ি বাসায় যাই। আমরা যাওয়ার আগেই ফজিলা মারা গিয়েছিল। রহিমা তখনও কথা বলতে পারছিল।

সে জানায়, রাতে ছারপোকা মারার ওষুধ ছিটিয়ে তারা দরজা জানালা বন্ধ করে। এরপর ভাত ও ডালিম খেয়ে শুয়ে পড়ে। হঠাৎ রাতে তারা অসুস্থ বোধ করে। কিছুক্ষণ পর পর বমি করছিল। এরপর আর কিছু বলতে পারেনি সে। পরে দু’জনকে বন্দরটিলার একটি বেসরকারি হাসপাতালে এবং পরে চমেক হাসপাতালে ভর্তি করালে কর্তব্যরত চিকিৎসক ফজিলাকে মৃত ঘোষণা করেন। এর পর বিকেলের দিকে রহিমাও মারা যায়।

শেয়ার করুন

আরো দেখুন......