1. admin@dailyoporadhonusondhanltd.net : admin :
শিরোনামঃ
নোয়াখালী জেলার সুধারাম থানার চাঞ্চল্যকর হত্যা মামলার এজাহারনামীয় পলাতক আসামি মোঃ রায়হান’কে চট্টগ্রামের পটিয়া থেকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব-৭ ও র‌্যাব-১১। সীতাকুণ্ডে মহাসড়ক অবরোধ করে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ যানজট সৈনিক কল্যাণ সংস্থা Uno নিকট খেজুরের বীজ প্রদান বাংলাদেশ গ্রাম ডাক্তার কল্যাণ সমিতি চট্টগ্রাম জেলা শাখা কমিটির অভিষেক অনুষ্ঠান ও মাস ব‍্যাপি সাংগঠনিক কর্মসূচি 2024 সম্পন্ন। বরগুনার তালতলীতে অবৈধ চোলাই মদসহ আটক ১ জন। “শিক্ষায় কিন্ডারগার্টেন শিক্ষকদের আন্তরিকতা প্রশংসনীয়”– “শিক্ষায় কিন্ডারগার্টেন শিক্ষকদের আন্তরিকতা প্রশংসনীয়” শেরপুরের ঝিনাইগাতী তিনজন হোটেল মালিককে ৬ হাজার টাকা জরিমানা ২ কেজি গাঁজা সহ এক মাদক ব্যবসায়ী বরগুনা ডিবি পুলিশের হাতে আটক।

যশোর অভয়নগরে অজ্ঞাত যুবকের মৃতদেহ শনাক্ত গ্রেফতার-০ ২

  • আপডেট সময়ঃ সোমবার, ১৬ জানুয়ারী, ২০২৩
  • ৬৩ জন দেখেছেন

মোঃ রজিবুল ইসলাম সুইট,বিভাগীয় প্রধান খুলনা :- যশোরের অভয়নগর উপজেলার  দেয়াপাড়া ভৈরব ব্রীজ সংলগ্ন ভৈরব নদীর তীরের অজ্ঞাত যুবকের মৃতদেহটি সনাক্ত ও হত্যাকান্ডে জড়িত দুই আসামীকে গ্রেফতার করে হত্যার ব্যবহারিত অস্ত্র (বার্মিজ চাকু) উদ্ধার করেছে পুলিশ।

 

মৃত ব্যক্তির নাম মোঃ ফরিদ (২৮)পিতা,মৃত আফিল উদ্দিন,সাং:অর্জুন পুর,থানা :কয়রা,জেলা খুলনা।

 

গত রবিবার (১৫ জানুয়ারী) তিনটার দিকে স্থানীয়দের মাধ্যমে সংবাদ পেয়ে উপজেলার দেয়াপাড়া গ্রামের ভৈরব ব্রীজের নিচে মেসার্স সাহারা এন্টারপ্রাইজের সরিষা ক্ষেতের মধ্যে থেকে (৩১) বছরের এক অজ্ঞাত যুবকের লাশ উদ্ধার করে অভয়নগর থানা পুলিশ।মৃতদেহটি সনাক্ত করতে ব্যর্থ হয় স্থানীয়রা।

এসময় পুলিশ প্রযুক্তির সহায়তায় নেন তাতেও সনাক্ত করার চেষ্টা ব্যর্থ হয়।একপর্যায়ে জেলা গোয়েন্দা শাখার এসআই মফিজুল ইসলাম  মৃতদেহ অনুসন্ধান করে পকেটে থাকা একটি চিরকুট পাই ( যাহাতে একটি মোবাইল নম্বর ছিল) পাইয়া মোবাইল নম্বরের ব্যক্তিকে প্রথমে সনাক্ত করে। তাকে সনাক্তের পরে মৃতের পরিবারের লোকজন কে সনাক্ত করা হয়। জানা যায় তার নাম ফরিদ সে খুলনা জেলার কয়রা থানার অর্জুনপুর এলাকার মৃত আফিল উদ্দিনের পুত্র বর্তমানে সে অভয়নগর উপজেলার নওয়াপাড়া পৌরসভার ৬ নং ওয়ার্ডের শুয়াখোলা গ্রামের শাহীমোড় এলাকায় জেলেখার বাড়ীতে ভাড়া থাকতেন। মৃতদেহ শনাক্তের পর নিহতের ভাই ফারুক গাজীর একটি  লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে অভয়নগর থানার মামলা নং-১৩, তাং- ১৬/০১/২০২৩, ধারা- ৩০২/২০১/৩৪ পেনাল কোড রুজু হয়।

 

ঘটনাটি চাঞ্চল্যকর ও ক্লুলেস হওয়ায় রহস্য উদঘাটনে অভয়নগর থানা পুলিশের সাথে মাঠে নামে জেলা গোয়েন্দা শাখা (ডিবি)। অভয়নগর থানা ও ডিবি পুলিশ যৌথ অভিযান পরিচালনা করে ১৬ জানুযারি দুপুরে অভয়নগর থানার নর্থ বেঙ্গল এলাকা থেকে শান্ত (২১)সাকিব মোল্যা (২৫) নামের দুজনকে আটক করে। আটক শান্ত নড়াইল জেলার সদর উপজেলার সাখাওয়াত মোল্যার পুত্র এবং সাকিব একই এলাকার ছবুর মোল্যার পুত্র।

জেলা গোয়েন্দা শাখা ডিবি পুলিশের চৌকস অফিসার এসআই মফিজুল ইসলাম জানান ,আটক আসামিদের স্বীকারোক্তি মতে হত্যাকাজে ব্যবহৃত একটি (বার্মিজ) চাকু উদ্ধার করা হয়েছে। তাদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, ভিকটিম ফরিদ ও আসামী শান্ত জেল হাজত থেকে পরিচিত হয়। পরে ফরিদের ডাকে নড়াইল থেকে শান্ত ও সাকিব কাজের সন্ধানে অভয়নগর আসে।গত বছর ১২ ডিসেম্বর নর্থ বেঙ্গলে এক বাসার একটা কক্ষ ভাড়া নিয়ে সেখানে বসবাস করে জাহাজের স্কট পার্টি হিসেবে কাজে নিয়োজিত থাকতো। স্কট পার্টি হিসেবে দায়িত্ব পালন করে যে টাকা উপার্জন করেছিল সে টাকা শান্ত ও সাকিবের হাতে না দিয়ে ফরিদ তাদেরকে হোটেলে খাওয়া দাওয়া বাবৎ কেটে নেয়। পরে সেই টাকা চাইতে গেলে ফরিদ উল্টো তাদের উপর চড়াও হয় এবং ফরিদের দেওয়া শীতবস্ত্র পরিধান করায় প্রতিদিন ২০০/- টাকা করে চায়। এই নিয়ে বাকবিতন্ডা হয়। ফরিদ কাজের অবসরে বিভিন্ন সময় ছিসকা চুরি করতো । একপর্যায়ে আসামী শান্ত ও সাকিব সেলো মেশিন চুরি করার প্রলোভন দেখিয়ে খেয়াঘাট পার হয়ে ব্রীজের কাছে সরিষা ক্ষেতে নিয়া গলা চাকু দ্বারা পোচ দিয়ে জবাই ও স্ট্যাপ করে হত্যা করে লাশ ফেলে দিয়ে হত্যাকাজে ব্যবহৃত চাকু বেঙ্গল টেক্সাটাইল মিলের ওয়ালের পাশে পুতে রাখে ও রক্তমাখা কাপড় ভৈরব নদীতে ফেলে দেয়।

অভয়নগর থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মিলন কুমার মন্ডল জানান, হত্যায় জরিত দুই আসামীকে আটক করে তাদের দেওয়া তথ্য মতে হত্যাকাণ্ডের ব্যবহারিত অস্ত্র (বার্মিজ চাকু) উদ্ধার করা হয়েছে। আসামিদের কোর্টের মাধ্যমে জেল হাজতে  প্রেরণ করা হবে।

শেয়ার করুন

আরো দেখুন......