বৃহস্পতিবার, ৩০ নভেম্বর ২০২৩, ০৬:৩৮ পূর্বাহ্ন
শরীয়তপুর প্রতিনিধি: শরীয়তপুরের ডামুড্যা উপজেলার ধানকাঠি ইউনিয়নের চরমালগাঁও উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জয়নাল আবেদীনের বিরুদ্ধে নৈশ প্রহরী নিয়োগে অনিয়মের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এছাড়াও এক নৈশ প্রহরী প্রার্থীর কাছে ঘুষ দাবি ও পুলিশী নির্যাতনের অভিযোগ রয়েছে। এ ঘটনায় মোস্তাফিজুর রহমান মুছা নামে ওই নৈশ প্রহরী প্রার্থী ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক সহ সংশ্লিষ্ট দপ্তর অভিযোগ করেছেন।
অভিযোগসূত্রে জানা গেছে, চরমালগাঁও উচ্চ বিদ্যালয়ে নৈশ প্রহরী পদে নিয়োগ দেয়া হয়েছে। এতে আবেদনকারী মোস্তাফিজুর রহমান মুছার চিঠি ভুল ঠিকানায় পাঠায়। এরপর গত ২৫ ডিসেম্বর নিয়োগ পরীক্ষার দিন ধার্য থাকলেও তা কাউকে না জানিয়ে পরিবর্তন করে পরদিন অর্থাৎ ২৬ ডিসেম্বর আয়োজন করে। এরআগে আমার কাছে প্রধান শিক্ষক জয়নাল আবেদীন চাকুরী পাইয়ে দেয়ার কথা বলে ৩ লাখ টাকা ঘুষ দাবি করে। তার দাবি অনুযায়ী ঘুষ না দেয়ায় ইয়ামিন বেপারী নামক এক ব্যক্তির থেকে মোটা অংকের ঘুষ নিয়ে নিয়োগ দেয়া হয়। ঘুষের বিষয়ে এলাকাবাসীকে জানালে মুছাকে স্কুলে ডেকে নিয়ে প্রধান শিক্ষক জয়নাল আবেদীন, সহকারী প্রধান শিক্ষক আব্দুস সালাম ও ক্রীড়া শিক্ষক আব্দুল জলিল গালিগালাজ করে এবং হুমকি ধমকি দেয়। এ ঘটনায় মুছা নামে ওই নৈশ প্রহরী প্রার্থী ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ও দুদক সহ সংশ্লিষ্ট দপ্তর অভিযোগ করেছেন। পাশাপাশি জেলা প্রশাসক, শিক্ষা কর্মকর্তা ও ইউএনওর কাছে অনুলিপি প্রদান করেছেন।
এ ব্যাপারে অভিযোগকারী মোস্তাফিজুর রহমান মুছা বলেন, আমি পোষ্য কোটায় আবেদন করেছিলাম। আমি প্রধান শিক্ষক জয়নাল আবেদীনের কথা মতো ৩ লাখ টাকা ঘুষ না দেয়ায় ইয়ামিন বেপারী নামের এক প্রার্থীর থেকে মোটা অংকের ঘুষের বিনিময়ে তাকে নিয়োগ দেয়া হয়েছে। আমি প্রতিবাদ করায় আমাকে পুলিশ দিয়ে উঠিয়ে নিয়ে নির্যাতন করা হয়েছে। আমাকে প্রতিনিয়তই হুমকি দিচ্ছে। আমি এর বিচার চাই।
তিনি আরও বলেন, চাকরি জীবনে দুটো তৃতীয় বিভাগ থাকলে প্রধান শিক্ষক হতে পারেন না। প্রধান শিক্ষকের নিয়োগ সঠিক ভাবে হয় নাই।
এ অভিযোগ অস্বীকার করে চরমালগাঁও উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জয়নাল আবেদীন বলেন, এ অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা, বানোয়াট ও ভিত্তিহীন। ৫ সদস্য বিশিষ্ট নিয়োগ কমিটি যাচাই বাছাই করে ৫ জন প্রার্থীর থেকে ১জনকে নিয়োগ করা হয়েছে। মোস্তাফিজুর রহমান মুছা আমাকে হুমকি দেয়ায় আমি থানায় জিডি করেছিলাম, তারই প্রেক্ষিতে পুলিশ তাকে আটক করেছিল, তাকে পুলিশ দিয়ে কোনো নির্যাতন করা হয়নি। এ ব্যাপারে জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা শ্যামল চন্দ্র শর্মা বলেন, এ ঘটনা সম্পর্কে এখনো পর্যন্ত কিছুই না। আমি খবর নিচ্ছি। তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।