1. admin@dailyoporadhonusondhanltd.net : admin :
  2. mdalamin0972@gmail.com : alamin :
শিরোনামঃ
আমতলী থানায় রেঞ্জ ডিআইজির দ্বি-বার্ষিক পরিদর্শন সম্পন্ন গোপালগঞ্জের কাশিয়ানীতে সেনা কর্মকর্তা পরিচয়ে বিয়ে-যৌতুক আদায়, যুবক আটক তালতলীতে জমি নিয়ে বিরোধ, হামলায় আহত -৩ যৌতুকের দাবীতে গর্ভবতী স্ত্রীকে হত্যার ২৩ বছর পর স্বামীর মৃত্যুদন্ড রায় উদয়পুর ইউনিয়ন পরিষদে ভিজিএফ-এর চাল বিতরণে স্বচ্ছতা আনতে ডিজিটাল লটারি পদ্ধতি গ্রহণ বাঁশখালীতে ৬ হাজার ইয়াবা উদ্ধার ও একটি মোটর সাইকেল জব্দসহ আটক ১  সীতাকুণ্ডের জনদূভোর্গের বহুল প্রতীক্ষিত সড়কের ঢালাই কাজ শুরু। বরগুনায় পার্টনার ফিল্ড স্কুল কংগ্রেস অনুষ্ঠিত: কৃষি, পুষ্টি ও উদ্যোক্তা উন্নয়নে নতুন দিগন্ত গঙ্গাচড়ায় আবাদি জমি জোরপূর্বক দখলে নিয়ে পুকুর খনন ও কাঁচা ঘরে নির্মাণের অভিযোগ শিবগঞ্জে বিএনপির উদ্যোগে অবহেলিত সরু রাস্তার সংস্কার ও প্রশস্তকরণ কাজ শুরু: জনমনে স্বস্তি

সাজেকে খাবার পানির সংকট শুকিয়ে যাচ্ছে ঝিরি-ঝরনা

  • আপডেট সময়ঃ বৃহস্পতিবার, ১৫ ডিসেম্বর, ২০২২
  • ৮৭ জন দেখেছেন

রুপম চাকমা, সাজেক, বাঘাইছড়ি উপজেলা, প্রতিনিধি:- বৃহস্পতিবার ১৫ ডিসেম্বর ২০২২, রাঙ্গামাটির বাঘাইছড়ি জেলার সাজেক ইউনিয়নের  শুকিয়ে-যাচ্ছে-ঝিরি-ঝরনা এতে পাহাড়ে ব্যাপক পানির-সংকট দেখা দিয়েছে।

পাহাড়ি ছড়ার গর্ত থেকে পানি সংগ্রহের চেষ্টা করছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।

সাজেক ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান অতুলাল চাকমা বলেন, ‘পাহাড়ে নির্বিচারে বন উজাড় করায় ঝিরি-ঝরনার পানি শুকিয়ে যাচ্ছে। একারণে যেমন প্রাকৃতিক পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে, অপরদিকে পানীয় জলের সমস্যা বেড়েছে দ্বিগুণ।’

বেড়েছে সুপেয় পানির সংকট। প্রতি বছর গ্রীষ্মের এ সময়ে পাহাড়ে পানির সংকট ভয়াবহ রূপ নেয়। শুকিয়ে যায় পাহাড়ি ছড়া, ঝরনা, খাল-বিল। পানির প্রভাব পড়েছে  উপজেলার বিভিন্ন দুর্গম পাহাড়ি অঞ্চলে।

উপজেলার সাজেক ইউনিয়নের বাঘাইহাট শুকনোছড়া, বামে বাইবাছড়া,লক্ষিছড়িসহ কয়েকটি দুর্গম এলাকায় দেখা দিয়েছে সুপেয় পানির সংকট।

স্থানীয়রা বলছেন, পাহাড়ে বসবাসরত অধিকাংশ পাহাড়িরা পাননি নলকূল কিংবা রিংওয়েলের সুবিধা। বাধ্য হয়ে পাহাড়ি ঝিরি-ঝরনা ও মাটির গর্ত থেকে পানি সংগ্রহ করতে হয় তাদের। গ্রীষ্মে শুকিয়ে গেছে এসব ঝিরি ও ঝরনা। একারণে পানির সংকটও বেড়েছে।

বাঘাইছড়ি উপজেলার সাজেকে বাঘাইহাট ৪নং ওযার্ড শুকনাছড়ি গ্রামে প্রায় ২০০ পরিবারে প্রায় ২০০০ মানুষের বস বাস। অধিকাংশ মানুষ মাটি খুঁড়ে পানি সংগ্রহ করেন। গ্রীষ্মকাল এলে পাহাড়ের ঝিরি-ঝরনা ও মাটির গর্তেও মেলে না সুপেয় পানির ব্যবস্থা।

গ্রামের শুকনোছড়া বেসরকারি প্রার্থমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক  এলিন চাকমা বলেন, ‘প্রতি বছর এ সময়ে পানির সংকট দেখা দেয়। বিশেষ করে বিঝু উৎসবের সময়ে এই সংকট তীব্র হয়। এখানে নলকূপ ও রিংওয়েল বসিয়ে পানি পাওয়া খুবই কঠিন। পাহাড়ি ঝিরি-ঝরনা থেকে পানির পাইপ দিয়ে গ্রামে পানির ব্যবস্থা করা ও অনেক কঠিন।

স্হানীয় ইউনাইটেড পিপলস ডেমোত্রুেটিক ফ্রন্ট ইউপিডিএফ  এর সংগঠনের পক্ষ থেকে ২০২২ সালে শুকনোছড়ায় দুই গ্রামে ৮টি রিংওয়েল বসানো হলেও গিরি র্ঝনাতে পানি না থাকায় পানি কম পাওয়া যায়। গঙ্গারাম ইউনিটের ইউপিডিএফ সংগঠক আর্জেন্ট চাকমা বলেন  ‘স্থানীয় চেয়ারম্যান ও সরকারি প্রতিষ্ঠান যদি এগিয়ে আসে তাহলে ২০০ পরিবারের সুপেয় পানির সংকট সমাধান কঠিন কিছু নয়।’

সাজেক ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান অতুলাল চাকমা বলেন, ‘দুর্গম এলাকায় টিউবওয়েল বসালেও তেমন সুফল পাওয়া যায় না। তাই টিউবওয়েবগুলো এমন এলাকায় দেয়া হয়েছে যেখানে পানি পাওয়া যায়। এছাড়া দুর্গম এলাকাতে রিংওয়েলের কোনো বরাদ্ধ না থাকায় চাহিদা অনুযায়ী পানির ব্যবস্থা করা যায় না।’

 

তিনি বলেন, ‘পাহাড়ে নির্বিচারে বন উজাড় করায় ঝিরি-ঝরনার পানি শুকিয়ে যাচ্ছে। একারণে যেমন প্রাকৃতিক পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে, অপরদিকে পানীয় জলের সমস্যা বেড়েছে দ্বিগুণ।’

শেয়ার করুন

আরো দেখুন......