সোমবার, ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১২:৫৪ পূর্বাহ্ন
নিজস্ব প্রতিবেদক:-
“বাংলাদেশ আমার অহংকারচ্ এই স্লোগান নিয়ে র্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)
প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে বিভিন্ন ধরণের অপরাধীদের গ্রেফতারের ক্ষেত্রে জোড়ালো ভূমিকা পালন করে আসছে।
র্যাব সৃষ্টিকাল থেকে সমাজের বিভিন্ন অপরাধ এর উৎস উদঘাটন, অপরাধীদের
গ্রেফতারসহ আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতির সার্বিক উন্নয়নে নিরলসভাবে কাজ করে চলেছে।
র্যাব-৭, চট্টগ্রাম অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী, ডাকাত, ধর্ষক, দুর্ধষ চাঁদাবাজ, সন্ত্রাসী, খুনি, ছিনতাইকারী, অপহরণকারী ও প্রতারকদের গ্রেফতার এবং বিপুল পরিমাণ অবৈধ অস্ত্র, গোলাবারুদ ও মাদক উদ্ধারের
ক্ষেত্রে জিরো টলারেন্স নীতি অবলম্বন করায় সাধারণ জনগনের মনে আস্থা ও বিশ্বাস অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে।
অপহৃত ভিকটিম ১৫ বছর বয়সের এবং ৯ম শ্রেণীতে পড়–য়া একজন ছাত্রী। আসামী মোঃ সাইমুন বিভিন্ন সময়ে ভিকটিমকে স্কুলে আসা যাওয়ার পথে উত্যক্ত করত এবং মোবাইল ফোনে প্রায় সময়ই বিরক্ত করত। ভিকটিম বিষয়টি তার মা ও পরিবারের অন্যান্য সদস্যদেরকে অবহিত করে।
ভিকটিমের মা তার মেয়েকে বিরক্ত করার জন্য বিষয়টি সাইমুনের মা এবং তাদের বাড়ীর গন্যমান্য ব্যক্তিদের অবহিত করে। এতে সাইমুন ক্ষিপ্ত হয়ে ভিকটিমদের বাড়ির লোকজনদের বিভিন্ন ধরনের গালমন্দ করে এবং ভিকটিমকে তাদের চোখের সামনে থেকে তুলে নিয়ে যাবে বলে হুমকি প্রদান করে।
গত ১৩ আগষ্ট ২০২২ খ্রিঃ তারিখ সন্ধ্যা অনুমান ০৭০০ ঘটিকায় ভিকটিম ঘর হতে বের হয়ে বাড়ির সামনের রাস্তায় পায়চারি করার সময় হঠাৎ আসামী সাইমুন অজ্ঞাতনামা ২/৩ জনের সহযোগিতায়
তাকে জোর পূর্বক একটি সিএনজি গাড়ীতে করে অপহরণ করতঃ অজ্ঞাতস্থানে নিয়ে যায়।
ঘটনাস্থলের পাশে উপস্থিত লোকজন বিষয়টি ভিকটিমের মাকে জানালে ভিকটিমের মা বিষয়টি তাৎক্ষণিকভাবে স্থানীয় ওয়ার্ড মেম্বার ও এলাকার গন্যমান্য লোকজনদের জানালে তারা আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য পরামর্শ দেন।
পরবতর্ীতে এ ঘটনায় ভিকটিমের মা বাদী হয়ে ০৫ জন নামীয় এবং অজ্ঞাতনামা আরও ২/৩জনকে আসামী করে চট্টগ্রাম জেলার ফটিকছড়ি থানায় একটি মামলা দায়ের করেন যার মামলা নং–১০, তারিখ ২৪ আগস্ট ২০২২খ্রি:, ধারা- নারী ও শিশু নিযার্তন দমন আইন ২০০০ (সংশোধনী-
২০০৩) এবং বিষয়টি র্যাব-৭, চট্টগ্রামকে অবহিত করেন।