মোঃ ইমানুর রহমান,জেলা প্রতিনিধি, খুলনা,
খুলনার সোনাডাঙ্গার ৬ষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রী ধর্ষণ মামলয় ০৬ জনকে মৃত্যুদন্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে তাদের ২০ হাজার টাকা করে জরিমানা দেওয়া হয়েছে। এছাড়া চারজনকে ৮ বছর করে কারাদন্ড দেওয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার (০৮ নভেম্বর) খুলনার নারী ও শিশু নির্যাতন দমনন ট্রাইব্যুনাল ৩ এর বিচারক আব্দুস ছালাম খান এ রায় ঘোষণা করেন। রায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ওই আদালতের রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী স্পেশাল (পিপি) ফরিদ আহমেদ।
ফাঁসির দন্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলো, নগরীর ১৬৪, পশ্চিম বানিয়াখামার বিহারী কলোনী এলাকার আকুব্বর কসাইয়ের ছেলে মোরশেদুল ইসলাম ওরফে শান্ত বিশ্বাস (২৩), বসুপাড়া এতিমখানা এলাকার মো. শেখ হোসেনের ছেলে শেখ শাহাদাৎ হোসেন (২০), পশ্চিম বানিয়াখামার এলাকার জাহাঙ্গীর হাওলাদারের ছেলে রাব্বি হাসান ওরফে পরশ (২১), একই এলাকার সেকেন্দার মোল্ল¬ার ছেলে মাহামুদ হাসান ওরফে আকাশ (২১), আজাদ লন্ড্রী মোড় এলাকার কাজী আরিফুর ইসলাম ওরফে প্রীতম (২৩) ও মোকাদ্দেস কসাইয়ের ছেলে মিম হোসেন (২৩)। রায় ঘোষণাকালে রাব্বি ও আকাশ আদালতের কাঠগড়ায় উপস্থিত এবং অন্য ৪জন পলাতক ছিলেন।
৮ বছর করে দ-প্রাপ্তরা হলো, পশ্চিম বানিয়াখামার বিহারী কলোনী মোড়ের সুলতান আহমেদের ছেলে নুরুন্নবী আহমেদ (১৭), বেলায়েত হোসেনের ছেলে মঈন হোসেন ওরফে হৃদয় (১৬), বসুপাড়া এরশাদ আলী লেনের মৃত. শরীফের ছেলে মো. সৌরভ শেখ (১৭) ও নুরানী মাদ্রাসা গলির আনোয়ারুল কবিরের ছেলে মো. জিহাদুল কবির ওরফে দিয়ান (১৬)। ৪আসামি সকলেই আদালতের কাঠগড়ায় উপস্থিত ছিলেন।
আদালতের বেঞ্চ সহকারী মো. রুবেল খাঁন নথীর বরাত দিয়ে জানান, ২০১৯ সালের ২৯ জুন বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে ভিকটিমকে সাহেবের কবরখানার সামনে আসতে বলে শান্ত। সেখান থেকে ভিকটিমকে নেয়া হয় মামলার অপর আসামি নুরুন্নবীর সোনাডাঙ্গা থানাধীন বিহারী কলোনীর ভাড়া বাড়িতে। পরে ভিকটিমকে ইচ্ছার বিরুদ্ধে ধর্ষণ করে শান্ত।
শান্তর ভিডিওটি ধারণ করে উপিস্থিত অন্যান্যরা। পরে ভিকটিমকে ধারণকৃত ওই ভিডিওটি দেখিয়ে ভয়ভীতি দিয়ে অন্যান্যরা পালাক্রমে ধর্ষণ করে। ধর্ষণ শেষে আসামিরা ভিকটিমকে প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে সন্ধ্যার দিকে ছেড়ে দেয়।
পরে ঘটনাটি ভিকটিম বড়বোনকে খুলে বলে। তাকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ঘটনার পরেরদিন বড়বোন বাদী হয়ে সোনাডাঙ্গা থানায় ০৯জন জনের নাম উল্লেখ করে মামলা দায়ের করেন য়ার নং- ২২।
একই বছরের ১৩ নভেম্বর ১০আসামির নাম উল্লেখ করে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সোনাডাঙ্গা থানার অফিসার ইনচার্জ মমতাজুল হক আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন।