বৃহস্পতিবার, ৩০ নভেম্বর ২০২৩, ০৪:৩৬ অপরাহ্ন
রাজশাহী প্রতিনিধিঃ
যুদ্ধাপরাধের দায়ে অভিযুক্ত জামায়াতের ছাত্র সংগঠন ইসলামী ছাত্রশিবির রাজশাহীতে দীর্ঘদিন আত্মগোপনে থাকার পর আবারও হঠাৎ মাথাচারা দিয়ে উঠছে। রোববার (০২ অক্টোবর)সন্ধ্যার আগে মহানগরীর শালবাগান এলাকায় ১০ সেকেন্ডের ঝটিকা মিছিলের মধ্য দিয়ে পুনরায় তাদের অবস্থান জানান দিলো।
এর আগে ২০১৫ সালের ৭ জানুয়ারি নগরীর সপুরা এলাকায় আলিফ লাম মিম ইটভাটার সামনে পুলিশের অস্ত্র কেড়ে নিয়ে পুলিশকে পেটায় শিবিরের নেতাকর্মীরা। এতে গুরুতর আহত হয়েছিলেন পুলিশ কনস্টেবল শফিকুল ইসলাম ও আমজাদ হোসেন। তারপর থেকে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সজাগ দৃষ্টির কারণে রাজশাহীতে অনেকটা আত্মগোপনে চলে যায় শিবির। হঠাৎ রোববার ঝটিকা মিছিল থেকে সারাদেশের ক্যাম্পাগুলোতে ছাত্রলীগের রাজনীতি নিষিদ্ধের দাবি তুলেছে। সন্ধ্যায় শিবিরের মহানগর শাখার প্রচার সম্পাদক ইমরুল কায়েস স্বাক্ষরিত গণমাধমে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে ঝটিকা মিছিলের এই তথ্য জানানো হয়।
তবে রাজশাহীতে ছাত্রশিবিবের এমন ঝটিকা মিছিলের বিষয়ে খোঁজ-খবর নিয়ে জানা যায়, এদিন সন্ধ্যার আগে নগরীর শালবাগান এলাকায় শিবিরের কিছু নেতাকর্মি জড় হয়ে ফটোশেসন করে ১০/১৫ সেকেন্ডের মধ্যেই লাপাত্তা হয়ে যায় তারা।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে “সংবাদ সারাবেলা” প্রতিবেদককে বোয়ালিয়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাজহারুল ইসলাম বলেন, ‘শিবির মিছিল করেছে কিনা- জানা নেই। তবে তারা কোনো কর্মসূচি মাত্র কয়েক সেকেন্ডের জন্য করে। ছবি তুলেই পালিয়ে যায়।’
উল্লেখ্য, ২০১২ ও ২০১৩ ছিল রাজশাহীতে পুলিশের ওপর হামলার বছর। ২০১২ সালের ৬ নভেম্বর রাজশাহীর সাহেববাজারে শিবির কর্মীরা প্রকাশ্যে রাইফেল কেড়ে দুই পুলিশ সদস্যকে বেধড়ক পেটায়। এরপর একের পর এক পুলিশের ওপর হামলায় কনস্টেবল সিদ্ধার্থ চন্দ্র সরকার নিহত এবং আহত হন শতাধিক পুলিশ সদস্য। ২০১৩ সালের ৩১ মার্চ পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে লিপ্ত হয় শিবির। ওই দিন তাদের বোমা হামলায় কব্জি থেকে দুটি হাত উড়ে যায় শিক্ষানবিশ এসআই মকবুল হোসেনের। এর পর দিন ১ এপ্রিল রাজশাহীর শালবাগানে পুলিশের এসআই জাহাঙ্গীর আলমের মাথা ইট ও হেলমেট দিয়ে জখম করে শিবির। তার রিভলবার কেড়ে নিয়ে তাকে গুলি করার চেষ্টা করে তারা। ওই বছরের ২৬ ডিসেম্বর বিএনপি ও জামায়াত-শিবিরের মিছিল থেকে টহল গাড়িতে বোমা নিক্ষেপ করা হলে পুলিশ কনস্টেবল সিদ্ধার্থ চন্দ্র সরকার নিহত হন।