বৃহস্পতিবার, ৩০ নভেম্বর ২০২৩, ০৫:৩২ অপরাহ্ন
টি আই, মাহামুদ,বান্দরবান জেলা প্রতিনিধি।বান্দরবানে জেলার রুমা,রোয়াংছড়ি ও থানচি উপজেলার বিভিন্ন অঞ্চলে যৌথ বাহিনীর চলমান চিরুনী অভিযানের কাছে হার মানতে মানতে চলেছে কেএনএফ বাহিনী।
১৯শে অক্টোবর বুধবার বিকেলে কুকি চিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট (কেএনএফ) এর এক ভিডিও বার্তায় এ তথ্য জানায় সংগঠনটির এক নেতা।
অজ্ঞাত স্থান থেকে পাঠানো ওই ভিডিওতে দেখা যায়, পেছনে দুজন সশস্ত্র যোদ্ধা নিয়ে কালো মুখোশ পরিহিত সংগঠনের এক নেতা বক্তব্য দিচ্ছেন। তবে ওই নেতার পরিচয় জানা যায়নি।
ভিডিও বার্তায় কেএনএফ নেতা বলেন, সংগঠনের উচ্চ পর্যায়ের নেতাদের নির্দেশে কেএনএফ পাহাড়ে চলমান সশস্ত্র বাহিনীর অভিযানের মুখে পিছু হটতে বাধ্য হয়েছে। সন্তু লারমার নেতৃত্বাধীন জনসংহতি সমিতি নিরাপত্তা বাহিনীকে ভুল বুঝিয়ে কেএনএফের বিরুদ্ধে অভিযানে নামিয়ে দিয়েছে। মূলত কেএনএফ একটি শান্ত সংগঠন। মূলত পাহাড়ে অশান্তি সৃষ্টি করে চলেছে ইউপিডিএফ জনসংহতি সমিতি। তারা এলাকায় বাঙালিসহ বহু জাতি গোষ্ঠীর মানুষকে হত্যা করেছে।
তিনি আরও বলেন, প্রসিত বিকাশ চাকমার নেতৃত্বীতে ইউপিডিএফ পার্বত্য অঞ্চলে অস্ত্রবাজী ও চাঁদা বাজী করছে, অপর দিকে সন্তু লারমার নেতৃত্বাধীন সংগঠন খুবই কম অস্ত্র জমা দিয়েছে। তারাই সেনাবাহিনীর ওপর সশস্ত্র হামলা করে কেএনএফের ওপর দোষ চাপিয়ে দিচ্ছে। ওই হামলার পর পরই পাহাড়ে চিরুনি অভিযান শুরু করে যৌথ বাহিনী। অভিযানে বম জাতিগোষ্ঠীর কয়েকজন হয়রানির শিকার হয়েছে।
সম্প্রতি কয়েকজন কুকি সদস্যকে গ্রেপ্তারের পর জানা যায়, ভারত ও মিয়ানমারের সীমান্তঘেঁষা দুর্গম পাহাড়ে জনবিচ্ছিন্ন কিছু তরুণ জঙ্গি প্রশিক্ষণ নিচ্ছে। সশস্ত্র সংগঠন ‘কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট’ (কেএনএফ) তাদের প্রশিক্ষণ দিচ্ছে। সংগঠনটি স্বাধীন বাংলাদেশের ভূখণ্ডের একটি অংশ বিচ্ছিন্ন করার নীলনকশাও বাস্তবায়নের অপচেষ্টায় মরিয়া হয়ে উঠেছে। যৌথ বাহিনী এরপরই অভিযান শুরু করে।একইসঙ্গে নিরাপত্তার কারণে মঙ্গলবার (১৮ অক্টোবর) থেকে বান্দরবানের রুমা ও রোয়াংছড়িতে পর্যটকদের ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়।