সোমবার, ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০১:২২ পূর্বাহ্ন
মোঃ রজিবুল ইসলাম সুইট,ব্যুরো প্রধান (খুলনা বিভাগ) :-
অভয়নগরের পায়রা ইউনিয়নের পায়রা গ্রামের সাত্তার আলীর পুত্র তারিপ(১৭)এঘটনা ঘটিয়েছে বলে ভুক্তভোগীর পরিবারের দাবি।
মেয়েটি এক্তারপুর আদার্শ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের এসএসসি শিক্ষার্থী।
ভিকটিমের পিতা মাতা প্রবাসী হওয়ায় ভিকটিম নানাবাড়িতে ছোট থেকেই স্কুলে যাতায়াত করে।এখন এসএসসির টেস্ট পরীক্ষা চলছে।
মেয়েটি ১৬/১০/২০২২ ইং তারিখ সকালে স্কুলে যাওয়ার উদ্দেশ্যে বাড়ি থেকে বের হয়।লোক মারফত ভুক্তভোগী পরিবার জানতে পারে,তাদের মেয়ে স্কুলে যায় নাই। সঙ্গে সঙ্গে গার্জিয়ান গিয়ে স্কুলের প্রধান শিক্ষকের নিকট খোঁজ নিয়ে জানা যায় সে স্কুলে যায় নাই। এমনকি নিকট আত্মীয় স্বজন বন্ধু বান্ধবীর কাছে খোঁজ নিয়ে জানা যায় তাদের বাড়িতে যায় নাই।
এ ঘটনায় ভুক্তভোগীর নানি অভয়নগর থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। অভয়নগর থানায় অভিযোগ লিপিবদ্ধ করেছেন ।
ভিকটিম মেয়ের নানির সঙ্গে কথা বললে জানান,আমার মেয়ে ও মেয়ে জামাই প্রবাসে থাকার দরুন ছোট মেয়েটিকে আমার কাছে রেখে যায়। আমি ছোট থেকে লালন পালন করি। আমার নাতনি কে দীর্ঘদিন ধরে পায়রার তারিফ নাম করে একটি ছেলে উত্তপ্ত করে আসছিল। আমাদের পরিবারের সকলকেই কমবেশি আমরা জানাই এবং পারিবারিকভাবে বিষয়টা সংগোপনে রাখি।
আজ রবিবার সকালে স্কুলে যাওয়ার উদ্দেশ্যে রওনা হয়। পরে লোক মারফত স্কুলে না যাওয়ার খবর পেয়ে সব জায়গায় খোঁজাখুঁজি করার পর না পেয়ে থানায় অভিযোগ করি।আমার নাতনি কে ফুসলিয়ে নিয়ে গিয়েছে।বাড়ি থেকে স্বর্ণালঙ্কার ও অনেক নগদ অর্থ নিয়ে গিয়েছে।আমার নাতনির বিবাহের যোগ্য বয়স হয় নাই যেহেতু প্রশাসনের নিকট আমার জোর দাবি আমার নাতনি কে কোন ক্ষতি হওয়ার আগেই উদ্ধার করা হোক।
অভয়নগর থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি একেএম শামীম হোসেন, ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, মেয়েটিকে উদ্ধারে অভয়নগর থানা পুলিশের পক্ষ থেকে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।