মোঃ মুরাদ হোসেন, যশোর জেলা প্রতিনিধি,দৈনিক অপরাধ অনুসন্ধান পত্রিকা। কেশবপুর থানাধীন দোরমুটিয়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক কেশবপুর থানাধীন খতিয়াখালী গ্রামের জনাব পবিত্র কুমার গোলদার এর বাড়ীতে ইং ০১/০৬/২০২২ তারিখ দিবাগত রাতে জানালার গ্রীল কেটে গৃহে প্রবেশ করে ০৯ ভরি ১১ আনা স্বর্ণালংকার চুরি করে নিয়ে যায় অজ্ঞাতনামা চোর/চোরেরা। এই সংক্রান্তে কেশবপুর থানার মামলা নং-০৩ তাং-০৫/০৬/২০২২ ধারা-৪৫৭/৩৮০ পেনাল কোড রুজু হয়। কেশবপুর, মনিরামপুর, শার্শা, ঝিকরগাছা থানা এলাকায় একইরূপ ঘটনার অভিযোগ পেয়ে জেলার পুলিশ সুপার জনাব প্রলয় কুমার জোয়ারদার, বিপিএম (বার), পিপিএম মহোদয় মামলাটি তদন্তের জন্য ইং ১২/১০/২০২২ তারিখে জেলা গোয়েন্দা শাখায় তদন্তভার ন্যাস্ত করেন। ডিবি’র ওসি রুপন কুমার সরকার, পিপিএম এর নির্দেশে এসআই মফিজুল ইসলাম, পিপিএম তথ্য প্রযুক্তির মাধ্যমে চোর চক্রকে সনাক্ত করে এসআই আমিরুল, আব্দুল্লাহ আল মামুনসহ একটি চৌকশ টিম অভিযানে নেমে ইং ১৮/১০/২০২২ তারিখ বিকাল থেকে ১৯/১০/২০২২ তারিখ ভোর পযন্ত যশোর কোতয়ালী, কেশবপুর, মনিরামপুর, শার্শা, ঝিকরগাছা থানা এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে চোর চক্রের ০৪ সদস্যকে গ্রেফতার করে তাদের হেফাজত থেকে চেতনা নাশক ঔষদসহ হলুদের গুড়া জব্দ করেন। পরে তাদের স্বীকারোক্তি মতে মনিরামপুর স্বর্ণপট্টিতে অভিযান পরিচালনা করে সুন্দরী জুয়েলার্স দোকানের মালিক সুমন চক্রবর্তীকে গ্রেফতার করে তার স্বীকারোক্তি মতে ৭ ভরি ৩ আনা স্বর্ণালংকা, ৭ ভরি রুপার অলংকার, নগদ ৩৩,৫০০/- টাকাসহ অন্যান্য আলামত জব্দ করা হয়।প্রাথমিক তদন্তে জানা যায়, তারা পেশাদার আন্তঃজেলা সঙ্গবদ্ধ গৃহ চোর চক্রের সক্রিয় সদস্য। তাদের বিরুদ্ধে একাধিক চুরি মামলা তদন্তাধীন ও বিচারাধীন রয়েছে। তারা পরস্পর যোগসাজসে হলুদের গুড়ার মধ্যে চেতনা নাশক উপরোক্ত ঔষধের গুড়া মিশিয়ে বসতবাড়ীর রান্নাঘরে থাকা হলুদের কৌটার মধ্যে কৌশলে চেতনা নাশক ঔষধ মিশানো হলুদের গুড়া রেখে দিয়ে আসে এবং পরের দিন অচেতন ও বিভোর ঘুমে আচ্ছন্ন হলে তারা চুরি সংঘটন করে থাকে মর্মে তথ্য প্রমান পাওয়া যায়। আসামীগণ কেশবপুর, মনিরামপুর, ঝিকরগাছা ও শার্শা এলাকার বিভিন্ন বাড়ীতে চুরি সংঘটন করিয়াছে মর্মে সাক্ষ্য প্রমান পাওয়া যাইতেছে।
গ্রেফতারকৃত আসামীর নাম ঠিকানাঃ
১। মোঃ তরিকুল ইসলাম (২২), পিতা-মোঃ মাসুদ মোল্লা, সাং-বাগুটিয়া, থানা-অভয়নগর এ/পি- সাবদিয়া তসলিমার বাসার ভাড়াটিয়া, থানা-কেশবপুর, জেলা-যশোর
২। আব্দুস সালাম বিষু (৩০), পিতা- মোঃ খোরশেদ আলম, সাং-বিরামপুর পশ্চিমপাড়া, থানা-কোতয়ালী, জেলা-যশোর
৩। মোঃ আলম শরিফ @ গোপাল (৩৯), পিতা- মোঃ বকস, সাং- দালালপাড়া, থানা-লালমনিরহাট সদর, জেলা-লালমনিরহাট, বর্তমান-জোড়া মন্দির রোড, মুড়লী রজব আলীর বাসার ভাড়াটিয়া, থানা-কোতয়ালী, জেলা-যশোর
৪। জাহিদ হাসান জনি (২২), পিতা-শাহজাহান কবির (২২), সাং-রাজা ডুমুরিয়া, থানা-ঝিকরগাছা, জেলা-যশোর
৫। সুমন কুমার চক্রবর্তী (৩৫), পিতা- সাধন চক্রবর্তী, সাং- তাহেরপুর, থানা-মনিরামপুর, জেলা-যশোর ( সুন্দরী জুয়েলার্স, মনিরামপুর বাজার।