শুক্রবার, ০১ ডিসেম্বর ২০২৩, ০৩:২৭ অপরাহ্ন
অজিত কুমার রায় বটিয়াঘাটা:-প্রায় ১বছর আগে খুলনা বটিয়াঘাটা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ড্রাইভার স্ট্রোকে মারা যান। চলতি বছরে নুতন এ্যাম্বুলেন্স স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে দেওয়া হয়। কিন্তু ড্রাইভার না থাকায় জনগন কাংখিত সেবা থেকে বন্চিত হচ্ছে। বিষয়টি স্থানীয় এম পি (জাতীয় সংসদের হুইপ), খুলনা সিভিল সার্জন, উপজেলা প্রশাসন ,পুলিশ প্রশাসন ও গণমাধ্যমকর্মী সকলে অবগত। তারপরও জনগনের কিছু সেবা প্রদানের লক্ষে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পঃ পঃ কর্মকর্তার ড্রাইভারকে কর্তৃপক্ষের অনুমতি সাপেক্ষে অতিরিক্ত দায়িত্ব দিয়ে কিছু কিছু সময় এ্যাম্বুলেন্স সেবা দেওয়া হয়। উপজেলা স্বাস্থ্য ও পঃ পঃ কর্মকর্তার ডিউটি পালন শেষে উক্ত ড্রাইভার বিকালে ও রাতে এমনকি ফ্রি থাকলে সকালেও সার্ভিস দেবার চেষ্টা করে। ড্রাইভার তার এই ২৪/৭ সেবা দেবার পরও যদি তার প্রধান দায়িত্ব পালনকালিন (স্বাস্থ্য কর্মকর্তার ডিউটি পালন করার সময়)কোন রোগীর সেবা দিতে না পারেন তখন এক শ্রেণীর মানুষ জরুরী বিভাগে কর্মরত মেডিকেল অফিসার ,উপসহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার ,ড্রাইভার এমনকি উপজেলা স্বাস্থ্য ও পঃপঃ কর্মকর্তার উপর চড়াও হয়। অন্য দিকে হাসপাতাল কতৃপক্ষ নতুন ড্রাইভার চেয়ে সিভিল সার্জন ,মহাপরিচালক স্বাস্থ্য অধিদপ্তর বরাবর প্রতি মাসে চিঠি দেয়। সিভিল সার্জন খুলনা এর মাধ্যমে নতুন নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন না হওয়া পর্যন্ত নতুন ড্রাইভার পাচ্ছে না। এমতাবস্থায় উপজেলা স্বাস্থ্য ব্যবস্থা /এ্যাম্বুলেন্স ড্রাইভার জরুরি ভাবে দরকার,শেখ রাসেল জাতীয় শিশু-কিশোর পরিষদ বটিয়াঘাটা উপজেলা শাখার সভাপতি নিত্যানন্দ মহালদার বলেন,সোমবার দুপুর ১২ টার সময় রোশনারা বেগমকে বটিয়াঘাটা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানোর সময় এম্বুলেন্স ড্রাইভার না থাকায় রোগী বিপাকে পড়ে। খুলনা সিভিল সার্জন এর নিকট সাধারণ জনগণের দাবি জরুরি ভিত্তিতে এম্বুলেন্সের ড্রাইভারের ব্যবস্থা করে সাধারণ রোগীদের সেবা প্রদান করা সুযোগ করার দাবি রোগীদের।
সেবা নিতে আশা মাথাভাঙ্গা এলাকার হেমায়েত হোসেন বলেন,আমি কয়েকবার হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে গেছি কিন্তু স্বাস্থ্য কর্মকর্তার রুমের সামনে রোগীর লাইন দেখে আমি রীতিমতো হতবাক হয়েছি। পরক্ষণে জানতে পারলাম তিনি প্রতিদিন ৫০/১০০ রোগী দেখেন,এমনকি প্রতিদিন ভর্তি রোগীও দেখেন। এখন শুধু সরকারি ভাবে ড্রাইভার নিয়োগ দিলেই হাসপাতালের সেবার মান শতভাগ বেড়ে যাবে বলে আমি মনে করি। সার্বিক বিষয় বটিয়াঘাটা স্বাস্থ্য ও পঃ পঃ কর্মকর্তা ডাঃ মিজানুর রহমান বলেন, বটিয়াঘাটা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটি ১৭১ পদে মধ্যে ৪৫ টি পদ শুন্য। তার মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ পদ হচ্ছে এ্যাম্বুলেন্স। সরকার একটা সুন্দর গাড়ি উপহার দিয়েছে বটিয়াঘাটা উপজেলা বাসীদের জন্য অথচ শুধু ড্রাইভারের অভাবে সেই সেবা আমি দিতে পারছিনা। তার পরেও আমার ড্রাইভার দিয়ে সাময়িক সেবা দিয়ে চলেছি। আমি যোগদানের পর থেকে প্রতি মাসে ড্রাইভার চেয়ে মন্ত্রনালয়ে চিঠি দিয়েছি। আমারা সব সময় শতভাগ সেবা দেওয়া ইচ্ছা নিয়ে কাজ করে চলেছি। বর্তমান হাসপাতালের দিকে তাকালে বুঝতে পারবেন এখানে কত উন্নত সেবা দেওয়া হয়।