শনিবার, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০৪:২৯ পূর্বাহ্ন
এ জে, চৌধুরী, আলীকদম (বান্দরবান) প্রতিনিধি। বান্দরবানের আলীকদম উপজেলা সদর ইউনিয়নের খুইল্যামিয়া পাড়ায় ভয়াবহ অগ্নিকান্ডে ৫টি বসতঘর ও ৭টি দোকান বশিভূত হয়েছে। বৃহস্পতিবার ভোরে এই অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটে। বৈদুৎতিক সর্টসার্কিট থেকে আগুনের সুত্রপাত বলে ধারণা করা হচ্ছে। ফায়ার সার্ভিসের ২টি ইউনিট ও স্থানীয়দের প্রচেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।
স্থানীয় লোকজন ও ফায়ার সার্ভিসের তথ্য মতেকথা জানা যায়, ভোররাত আনুমানিক সাড়ে ৪টায় আগুনের সুত্রপাত হয়। আগুনে ৫টি বসতঘর ও ৭টি দোকান সম্পূর্ণ ছাই হয়ে গেছে।
অগ্নিকান্ডের ঘটনায় আনুমানিক ২০ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে জানান ফায়ার সার্ভিসের সিনিয়র ফায়ার ফাইটার শাহাদাত হোসেন। তিনি বলেন, আলীকদম ও লামা উপজেলার ফায়ার সার্ভিসের ২টি ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করে। আশেপাশে পানির উৎস না থাকায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সময় লাগে।
সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, আগুনে পুড়ে মোঃ আব্দু সোবাহান, কেশপ ধর, তুষার ধর, মোঃ হারুন এর কাঠের দোকান এবং মোঃ শাহ আলমের ফর্ণিচারের দোকান পুড়ে যায়। অন্যদিকে মহিউদ্দীনের মুদি দোকান এবং নজরুল ইসলামের ওয়ার্কশপ (মেশিনারী মেরামতের দোকান) পুড়ে যায়। এই অগ্নিকান্ডে ৫টি ভাড়াবাসায় থাকা পরিবারের ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে তারা হচ্ছেন মোঃ শামসুল আলম, মোঃ নুরুল হক, ফারজানা আক্তার, সালাউদ্দীন এবং ছেনুয়ারা বেগম।
বাড়ির মালিক ছেনুয়ারা বেগম বলেন, আগুনের সুত্রপাত কোথা থেকে তিনি জানেন না, যখন আগুন দেখতে পান ততোক্ষণে আগুন চারদিকে ছড়িয়ে পড়ে।
খুইল্লামিয়া পাড়া সর্দার ফরিদুল আলম বলেন, আগুনে পুড়ে ৫টি পরিবার ক্ষতিগ্রস্থ হয়। তারা সবাই ভাড়াটিয়া ছিল। তাদের মধ্যে একটি প্রতিবন্ধি পরিবারও ছিল। অন্যদিকে ৭টি দোকান পুড়ে যায়। তারমধ্যে ৫টি ফর্ণিচার ও কাঠের দোকান, ১টি মুদি দোকান এবং ১টি ওয়ার্কশপ ছিল।
আলীকদম উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মেহেরুবা ইসলাম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। তিনি পাঁচটি পরিবারকে শুকনো খাবার, চাল, ডাল, তেল এবং হাড়ি-পাতিল, বালতি,মগ বিতরণ করেন। এছাড়াও ক্ষতিগ্রস্থদের সরকারি সহযোগিতা করবেন বলে জানান।
আলীকদম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) মোঃ নাছির উদ্দীন সরকার ঘটনাস্থলে যান। তিনি সার্বিক পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করেন এবং পুলিশ সদস্যদের আগুনে ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারের মালামাল রক্ষাসহ সার্বিক সহযোগিতার নির্দেশ দেন।