শরিফা বেগম শিউলী, স্টাফ রিপোর্টার:- রংপুরে ভারসাম্যহীন ফয়সালের চিকিৎসার কি হবে?২০০২ সালে রংপুর পুলিশ লাইন্স স্কুল হতে এসএসসি ও ২০০৪ সালে রংপুর ক্যান্ট পাবলিক কলেজে এইচএসসি। এসএসসি ও এইচএসসি ভালো রেজাল্ট করে উচ্চতর শিক্ষা অর্জনের জন্য ইংল্যান্ডে পারি দিয়েছিলেন তিনি, উচ্চতর শিক্ষায় জ্ঞান লাভ করে দেশে ফিরে কিছু দিন ভালো থাকার পরে হঠাৎ মানুষিক ভারসাম্যহীন হয়ে রাস্তায় রাস্তায় ঘুরে বেড়াচ্ছেন ফয়সাল। ফয়সালের বাড়ি রংপুর সার্কিট হাউজের পিছনে, বাবা মরহুম ইঞ্জিনিয়ার শাহাজাহান ও মা লুৎফুন নাহার কারমাইকেল কলেজের প্রভাষক, পরে বেগম রোকেয়া কলেজের অধ্যক্ষ ছিলেন। তার একমাত্র ভাই ডাক্তার।
তার বাবা-মা দুইজনেই মারা গেছে। জানা গেছে ফয়সালের নামে বাসা ও অনেক জমি জমা রয়েছে তা সত্বেও তার চিকিৎসার জন্য পরিবারের সকলের মাঝে অবহেলা কেন? বর্তমানে অসহায় ভারসাম্যহীন ফয়সালের এই অবস্থা দেখে ফেলে তারই একই ব্যাচের বন্ধু আরিফ দেখে কষ্ট পায় পরে স্নেহা মানুষিক হাসপাতালের কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে কর্তৃপক্ষের সহযোগিতায় বন্ধুকে বর্তমানে স্নেহা মানুষিক হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করেন।
স্নেহা মানুষিক হাসপাতালের চেয়ারম্যন মনোয়ার কাদের মাসুম বলেন, ফয়সাল দীঘদিন হতে মানুষিক নির্যাতনের শিকার, তাকে শিকলে বেধে রাখা হয়েছিল, ঠিকভাবে খাবার খাওয়ানো হয়নি। তার অবস্থা বর্তমানে গুরুতর, তার দীর্ঘ সময় ধরে সুচিকিৎসা, সেবা, সুন্দর পরিবেশে থাকা ও খাওয়ার প্রয়োজন। এতে করে অনেক অর্থের প্রয়োজন।
সঠিক চিকিৎসা পেলে আশা করছি এক বছরের মধ্যে সে পুরো সুস্থ হয়ে যাবে।
ফয়সালের বন্ধু আরিফ বলেন, ফয়সালকে যখন দেখতে পাই সে ভারসাম্যহীন হয়ে রাস্তায় রাস্তায় ঘুড়ে বেড়াচ্ছে দেখে খুব কষ্ট পাই পরে স্নেহা মানুষিক হাসপাতালের কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বলে সেখানে ভর্তি করাই। মানুষিক হাসপাতাল হতে আমাকে জানিয়েছে তার চিকিৎসার পিছনে অনেক সময় ও অর্থের প্রয়োজন, যা আমার একার পক্ষে বহন করা সম্ভব নয়। তাই সমাজের কোনো হৃদয়বান ব্যক্তি এই অসহায় ভারসাম্যহীন ফয়সালের পাশে দাঁড়াতে চাইলে সহযোগিতার হাতটি বাড়িয়ে দিবেন দয়া করে। আপনাদের সাহায্য সহযোগিতায় ফিরে পেতে পারে সুস্থ সুন্দর একটা জীবন।
ফয়সালের ভাই রংপুর মেডিকেল কলেজের কমিউনিটি মেডিসিন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডাঃ লাবিব বলেন, সে জন্মগত কারণে পাগল হয়েছে।চাচার বাড়িতে তাকে রুমে রেখে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছিলো। সেখান হতে পালিয়ে গেছে । খোঁজাখুঁজি করে তাকে পাওয়া যাচ্ছিলো না। পরে শুনলাম স্নেহা মানুষিক হাসপাতালে কেউ ভর্তি করিয়েছে।এর আগে তাকে ইংল্যান্ডে পাগলের চিকিৎসা করানো হয়েছিলো, দেশে এসে কিছুদিন সুস্থ থেকে আবার পাগল হয়ে গেছে। তাকে পাবনা পাগলাগারদে পাঠানো প্রয়োজন। আমার সংসার আছে তার পিছনে আর কত ব্যায় করবো।##