বিশেষ প্রতিনিধিঃ কুমিল্লার দাউদকান্দিতে বাল্কহেডের ধাক্কায় কালাডুমুর নদের ওপর নির্মিত একটি পাকা সেতু ভেঙে পড়েছে। গত রবিবার (২ অক্টোবর) গভীর রাতে উপজেলার ছান্দ্রা গ্রামে এ দুর্ঘটনা ঘটে। এতে কেউ হতাহত হয়নি।দুর্ঘটনার পর পাঁচ দিন পেরিয়ে গেলেও গত শুক্রবার (৭ অক্টোবর) পর্যন্ত সেতুর ভেঙে পড়া অংশ এবং দুর্ঘটনাকবলিত বাল্কহেডটি সরানো হয়নি। সেতুর ভেঙে পড়া একটি অংশ এখনও বাল্কহেডের ওপর এবং একাংশ নদীতে ডুবে আছে। সেতু ভেঙে পড়ায় চরম দুর্ভোগে পড়েছে ওই এলাকার কয়েক হাজার মানুষ। সেতু না থাকায় ছয় কিলোমিটার পথ ঘুরে চলাচল করতে হচ্ছে তাদের।
জিংলাতলী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আলমগীর হোসেন মোল্লা জানান, সেতুর ভেঙে পড়া অংশটি নদ থেকে অপসারণের কাজ চলছে। কিন্তু ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় ধীরগতিতে কাজ চলছে।প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, গত রবিবার রাত ৩টার দিকে হঠাৎ বিকট শব্দে তাদের ঘুম ভেঙে যায়। বাড়ির বাইরে এসে তারা দেখতে পান, কালাডুমুর নদের ওপর নির্মিত সেতুর মাঝখানের একটি অংশ ভেঙে পানিতে পড়ে গেছে। স্থানীয় লোকজনের সহায়তায় বাল্কহেডের চালক ও চালকের তিন সহকারীকে উদ্ধার করা হয়।স্থানীয়রা আরও জানান, প্রায় ১০ বছর আগে কালাডুমুর নদের ওপর সেতুটি নির্মাণ করা হয়। বৃহস্পতিবার রাতে মেসার্স রায়হান ইসরাত পরিবহনের বাল্কহেডটি ইলিয়টগঞ্জ এলাকায় বালু ফেলে ওই নদের ওপর দিয়ে গোমতী-মেঘনা নদীর দিকে ফিরছিল। মুন্সীগঞ্জের গজারিয়ায় যাওয়ার পথে ছান্দ্রা গ্রামের কাছে খালি বাল্কহেডটির উচ্চতা বেশি থাকায় সেতুর একটি পিলারে ধাক্কা লাগে। এতে সেতুর মাঝখানের একটি অংশ নদীতে পড়ে যায়। ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের দাউদকান্দি স্টেশনের স্টেশন মাস্টার রাসেল আহমেদ বলেন, খবর পেয়ে গভীর রাতেই তারা সেতু এলাকায় গিয়েছিলেন। কিন্তু বাল্কহেডটি সেতু ভেঙে আটকে থাকায় এবং লোকজন হতাহত না হওয়ায় ফায়ার সার্ভিসের কোনো সহযোগিতার প্রয়োজন হয়নি। তাই তারা ফিরে এসেছেন।জিংলাতলী ইউনিয়ন পরিষদের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য মো. জাকির হোসেন সাংবাদিকদের জানান, এ ঘটনার পর ওই সেতু দিয়ে যান চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে। ওই সেতু দিয়ে উপজেলার গলিয়ারচর, চররায়পুর, চারপাড়া, দাসপাড়া, ভিটিচারপাড়া ও ছান্দ্রা গ্রামের প্রায় তিন হাজার মানুষ নিয়মিত যাতায়াত করে থাকে।এ বিষয়ে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) দাউদকান্দি উপজেলা প্রকৌশলী মো. আফসার হোসেন খন্দকার বলেন, আমি ঘটনাস্থলে গিয়েছি। ব্রিজটি মেরামতের সুযোগ নেই। তা ছাড়া ব্রিজটি ড্যামেজ হয়ে গেছে। এখানে নতুন আরেকটি ব্রিজ স্থাপনের জন্য সব কাগজপত্র রেডি করেছি।