মোঃ ইমানুর রহমান,জেলা প্রতিনিধি, খুলনা,খুলনা নগরীর নিরালা প্রান্তিকা আবাসিক এলাকার একটি বাড়িতে নারী দিয়ে ফাঁসিয়ে এক যুবককে আটকে রেখে চাঁদাবাজির মামলায় দু’পুলিশ সদস্যসহ ৪জনের প্রত্যেককে ১ বছর সশ্রম কারাদ-, ১ হাজার টাকা করে জরিমান, অনাদায়ে আরও ৩ মাসের বিনাশ্রম কারাদ-াদেশ দিয়েছে আদালত।
সোমবার (০৩ অক্টোবর) দুপুরে যুগ্ম মহানগর দায়রা জজ আদালত-২ এর বিচারক এস এম মনিরুজ্জামান এ রায় ঘোষণা করেছেন।
দন্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন সদর থানার সাবেক এএসআই সিফাত উল্লাহ (৩০) সোনাডাঙ্গা মডেল থানার সাবেক এএসআই মিরান উদ্দিন (৩৮) ও ১৩নং প্রান্তিকা আবাসিক এলাকা রোড নং- ৪, মোল্লা আব্দুস সালামের ভাড়াটিয়া ফাতেমা বেগম (৪৪)। এএসআই সিফাত উল্লাহ খুলনা জেলার থানা তেরখাদা থানার পশ্চিম কাটেঙ্গা গ্রামের মৃত. গাউসুল আজম এর ছেলে। এএসআই মিরান উদ্দিন বাগেরহাট জেলার মোল্লারহাট থানার গাংনী গ্রামের আব্দুর রকিব মোল্লার ছেলে। ফাতেমা বেগম বাগেরহাট জেলার চিতলমারি থানার কাঠিপারা গ্রামের মৃত. হাশেম আলী সরদার এর মেয়ে। তার স্বামীর নাম মনির হোসেন। মামলার অপর আসামি মো. সোহেল ওরফে আব্দুর রহিম এর স্ত্রী সোনিয়া আক্তার বৃষ্টি (২৫) কে কেসুর খালাস দেয়া হয়েছে।
মামলার বিবরণে জানা যায়, ২০১৯ সালের ২৩ এপ্রিল রাত সাড়ে ৯টার দিকে নিরালা প্রান্তিকা আবাসিক এলাকার রোড নং- ৪ এর মোল্লা আব্দুস সালামের ভাড়া বাড়ির ফাতেমা বেগমের ঘরে ভুক্তভোগী যুবক সঞ্জিত শীলকে এক যুবতী নারীকে দিয়ে ফাঁসিয়ে মোটা অঙ্কের টাকা চাঁদা দাবি করে এএসআই সিফাত ও এএসআই মিরান।
পরে ২৭ হাজার ৫শ’ টাকা দিয়ে মুক্তি পান ওই যুবক। এ ঘটনার বিষয়ে তিনি খুলনা সদর থানা পুলিশকে অবহিত করলে পুলিশ রাতেই ওই বাড়িতে অভিযান চালিয়ে ফাতেমা বেগমকে গ্রেপ্তার করে।
তার তথ্য মতে এএসআই সিফাত ও এএসআই মিরানকে গ্রেপ্তার করা হয়।
এঘটনায় সঞ্জিত শীল বাদী হয়ে ৪জনের বিরুদ্ধে খুলনা থানার মামলা দায়ের করেন যার নং-৬০, তারিখ ২৩/০৪/১৯। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ৪জনকে অভিযুক্ত করে আদঅরতে চার্জশিট দাখিল করেন।
রাষ্ট্রপক্ষে মামলাটি পরিচালনা করেন এপিপি মো. আল আমিন।