রবিবার, ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১০:১২ পূর্বাহ্ন
মোঃমুরাদ হোসেন,যশোর জেলা প্রতিনিধি,দৈনিক অপরাধ অনুসন্ধান পত্রিকা। গত ০১/১০/২০২২ তারিখ রোজ শনিবার বেলা অনুমান ১২.০০ ঘটিকার সময় যশোর কোতয়ালী থানাধীন ৯নং আরবপুর ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডস্থ বি-পতেঙ্গালী সাকিনের সোহেল রানার মেয়ে ৪ বছরের শিশু কন্যা সানজিদা জান্নাত মিষ্টি নিজ বাড়ীর পাশে বাচ্চাদের সাথে খেলাধুলা করাকালে নিখোঁজ হয়। পরিবারের বিভিন্ন জায়গায় খোঁজাখুজি করে না পেয়ে ইং ০১/১০/২০২২ তারিখ সন্ধ্যা অনুমান ১৮.০০ ঘটিকার সময় যশোর কোতয়ালী মডেল থানায় একটি নিখোঁজ সাধারণ ডাইরী নং-৫০ লিপিবদ্ধ করে জেলা গোয়েন্দা শাখা (ডিবি)কে অবহিত করে। পুলিশ সুপার প্রলয় কুমার জোয়ারদার, বিপিএম (বার), পিপিএম এর নির্দেশনায় ডিবি’র ওসির তত্ত্বাবধানে ডিবি’র এসআই মফিজুল ইসলাম, পিপিএম এর নেতৃত্বে একটি টিম স্থানীয় অনুসন্ধান পূর্বক উক্ত এলাকার আঞ্জুয়ারা নামের এক মহিলাকে সন্দেহ করে জিজ্ঞাসাবাদ করে। জিজ্ঞাসাবাদের একপর্যায়ে বিবাদী আঞ্জুয়ারা খাতুন স্বেচ্ছায় স্বীকার করে যে, নিখোঁজ সানজিদাকে আপেল খাওয়ার প্রলোভন দিয়ে তার বিল্ডিং ঘরে ডেকে নিয়ে তার বসতঘরের পূর্ব পাশের্^র কক্ষে নিয়ে পূর্ব পরিকল্পিতভাবে পূর্ব আক্রোসে তার নিজের ব্রা ও গামছা দ্বারা হাত-পা বেঁধে ওড়না দ্বারা গলায় ফাঁস দিয়ে এবং মুখের মধ্যে ওড়না ঢুকিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করতঃ হত্যার রহস্য গোপন করার নিমিত্তে মরদেহ তার বসত ঘরের সিড়িপথের নীচে রাখা চালের ড্রামের মধ্যে চাল দিয়ে ঢেকে রাখে। এছাড়াও আঞ্জুয়ারা ঘটনা ধামাচাপা দেওয়ার জন্য সানজিদার পরিবারের লোকজনদেরকে বাড়ীর পাশে পুকুরে তল্লাশী করার পরামর্শ দেয় এবং বিভিন্ন জায়গায় তাদের সাথেই খোজাখুজি করে। এরপর তার স্বীকারোক্তি মোতাবেক ডিবি ও থানা পুলিশ তাকে নিয়ে এলাকার গন্যমান্য ব্যক্তিসহ শত শত জনতার সামনে ইং ০১/১০/২০২২ তারিখ রাত ২৩.০৫ ঘটিকার সময় কোতয়ালী মডেল থানাধীন বি-পতেঙ্গালী সাকিনে বিবাদী আঞ্জুয়ারা খাতুন এর পাকা বসত বাড়ীর সিড়িপথের নীচে রাখা টিনের তৈরী চালের ড্রামের মধ্যে চালের নীচ থেকে বিবাদী আঞ্জুয়ারা খাতুনের দেখানো ও নিজ হাতে বাহির করে দেওয়া মতে নিখোঁজ সানজিদা জান্নাত মিষ্টির মৃতদেহ উদ্ধার করে ডিবি ও থানা পুলিশ।
নিহত সানজিদা জান্নাত মিষ্টি এর পিতা সোহেল রানা এর লিখিত অভিযোগের প্রেক্ষিতে কোতয়ালী মডেল থানার মামলা নং-১০ তাং-০২/১০/২০২২ ইং ধারা-৩০২/২০১/৩৪ পেনাল কোড রুজু হয়। মামলার প্রধান আসামী আঞ্জুয়ারা খাতুনকে বিজ্ঞ আদালতে সোপর্দ করলে আঞ্জুয়ারা খাতুন বিজ্ঞ আদালতে দোষ স্বীকার করে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমুলক জবানবন্দি প্রদান করেন। তার জবানবন্দি পর্যালোচনায় দেখা যায়, প্রকাশিত নিহত সানজিদার লাশ ঘুমের কাজে সহায়তাকারী ২ জনকে ইং ০২/১০/২০২২ তারিখ রাত ২২.০০ ঘটিকার সময় বি-প্রতেঙ্গালী সাকিনে অভিযান পরিচালনা করে গ্রেফতার করা হয় হত্যায় সহায়তাকারী দুজনকে..
১। আঃ মালেক গাজী (৬৫), পিতা-কেরামত আলী গাজী, মাতা-মৃত সখিনা বেগম,
৩। খাদিজা বেগম (৫০), স্বামী- আঃ মালেক গাজী, পিতা-মৃত ইয়ার আলী শেখ, মাতা-মৃত লতিফা বেগম, উভয় সাং-বি-পতেঙ্গালী, থানা-কোতয়ালী, জেলা-যশোর।