শুক্রবার, ০১ ডিসেম্বর ২০২৩, ০৪:৫৩ অপরাহ্ন
মোঃরজিবুল ইসলাম,ব্যুরো প্রধান(খুলনা বিভাগ):- যশোর বি-প্রতেঙ্গালী এলাকায় বসতঘরের চালের ড্রাম থেকে ৪ বছরের শিশু সানজিদা জান্নাত মিষ্টির মরদেহ চাউলের দাম থেকে উদ্ধার করেছে জেলা গোয়েন্দা শাখা যশোর ডিবি পুলিশ,গ্রেফতার করেছে খুনীকে।
০১/১০/২০২২ইং তারিখ রোজ শনিবার বেলা অনুমান ১২:০০ ঘটিকার সময় যশোর কোতয়ালী থানা এলাকার ৯নং আরবপুর ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডের বি-পতেঙ্গালী গ্রামের সোহেল রানার মেয়ে ৪ বছরের শিশু কন্যা সানজিদা জান্নাত মিষ্টি নিজ বাড়ীর পাশে বাচ্চাদের সাথে খেলাধুলা করাকালে নিখোঁজ হয়।পরিবারের বিভিন্ন জায়গায় খোঁজাখুজি করে না পেয়ে ০১/১০/২০২২ ইং তারিখ সন্ধ্যা অনুমান ০৬:০০ ঘটিকার সময় যশোর কোতয়ালী মডেল থানায় একটি নিখোঁজ সাধারণ ডাইরী নং-৫০ লিপিবদ্ধ করে জেলা গোয়েন্দা শাখা (ডিবি)কে অবহিত করে। যশোর ডিবি ওসির তত্ত্বাবধানে ডিবি র এসআই মফিজুল ইসলাম, পিপিএম এর নেতৃত্বে একটি টিম স্থানীয় অনুসন্ধান পূর্বক উক্ত এলাকার আঞ্জুয়ারা নামের এক মহিলাকে সন্দেহ করে জিজ্ঞাসাবাদ করে। জিজ্ঞাসাবাদের একপর্যায়ে বিবাদী আঞ্জুয়ারা খাতুন স্বেচ্ছায় স্বীকার করে যে,নিখোঁজ সানজিদাকে আপেল খাওয়ার প্রলোভন দিয়ে তার বিল্ডিং ঘরে ডেকে নিয়ে তার বসতঘরের পূর্ব পার্শ্বের কক্ষে নিয়ে পূর্ব পরিকল্পিতভাবে পূর্ব আক্রোশে তার নিজের ব্রা ও গামছা দ্বারা হাত-পা বেঁধে ওড়না দ্বারা গলায় ফাঁস দিয়ে এবং মুখের মধ্যে ওড়না ঢুকিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করি। হত্যার রহস্য গোপন করার জন্য মরদেহ তার বসত ঘরের সিড়ির নীচে রাখা চালের ড্রামের মধ্যে চাল দিয়ে ঢেকে রাখে। আসামী আঞ্জুয়ারা খাতুনের দেখানো ও নিজ হাতে বাহির করে দেওয়া মতে নিখোঁজ সানজিদা জান্নাত মিষ্টির মৃতদেহ উদ্ধার করে ডিবি ও থানা পুলিশ।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ডিবি র এসআই মফিজুল ইসলাম জানান,
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আসামী আঞ্জুয়ারা খাতুন জানায় যে, আঞ্জুয়ারা খাতুন ও তার কথিত স্বামী রেজাউল রেজা বিভিন্ন অপরাধমুলক কর্মকান্ডের বিষয়ে (সানজিদার মা) শরিফা খাতুন অবগত থাকায় এবং বিভিন্ন সময়ে বিবাদীর বাকশক্তিহীন প্রতিবন্ধি ছেলে অপূর্ব হাসান (৭) এর সাথে ভিকটিম সানজিদা জান্নাত মিষ্টির হাতাহাতি করার সময় বিবাদীর ছেলেকে পাগল বলে গালি দেওয়ায় বিবাদী আঞ্জুয়ারা খাতুন তার স্বামী রেজাউল রেজাসহ অজ্ঞাত ব্যক্তির পরামর্শে আপেল খাওয়ার প্রলোভন দিয়ে তার বিল্ডিং ঘরে ডেকে নিয়ে
০১/১০/২০২২ইং তারিখ বেলা ১২:০০ ঘটিকা হইতে ০৪:০০ ঘটিকার মধ্যে যেকোন সময় পূর্ব পরিকল্পিতভাবে পূর্ব আক্রোসে
তার নিজের ব্রা ও গামছা দ্বারা হাত-পা বেঁধে ওড়না দ্বারা গলায় ফাঁস দিয়ে এবং মুখের মধ্যে ওড়না ঢুকিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে। হত্যার রহস্য গোপন করার জন্য মরদেহ তার বসত ঘরের সিড়িপথের নীচে রাখা চালের ড্রামের মধ্যে রেখে চাল দিয়ে ঢেকে রাখে।
এই অমানবিক হত্যার ঘটনায় আসামি ১। আঞ্জুয়ারা খাতুন (৪০), পিতা-আকবর আলী, মাতা-মৃত জায়েদা বেগম, স্বামী-রেজাউল রেজা, স্থায়ী সাং-পুটখালী উত্তরপাড়া, থানা-বেনাপোল পোর্ট, বর্তমান ঠিকানা-বি-পতেঙ্গালী, থানা-কোতয়ালী, জেলা-যশোর।গ্রেপ্তার করে, বাকি আসামিদের ধরতে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।