1. admin@dailyoporadhonusondhanltd.net : admin :
শিরোনামঃ
জয়পুরহাট পাঁচবিবির মোহাম্মদপুর ইউনিয়ন জামায়াতে ইসলামীর উদ্যোগে কর্মী ও সূধী সমাবেশ অনুষ্ঠিত ময়মনসিংহের ফুলপুরে জুয়ার আসর পুড়িয়ে দিলো নব যোগদানকৃতওসি রাশেদুজ্জামান: শেরপুরের নবাগত পুলিশ সুপার জনাব মোঃ আমিনুল ইসলাম মহোদয়ের যোগদান ও দায়িত্বভার গ্রহণ শেরপুরের নালিতাবাড়ীতে ফলজ বৃক্ষ উপহার পেল শিক্ষার্থীরা কোটালীপাড়ায় সাংবাদিকের বিরুদ্ধে মিথ্যা সংবাদ সম্মেলনের প্রতিবাদে পাল্টা সংবাদ সম্মেলন ফুলপুর ইসলামী ব্যাংক ম‍্যানেজারের সাথে ফুলপুর প্রেস ক্লাবের সাংবাদিকদের আলোচনা ও মতবিনিময় অনুষ্ঠিত। যৌথ বাহিনীর বিশেষ অভিযানে ফেনী জেলার সদর থানাধীন মাস্টারপাড়া এলাকা হতে ০১টি বিদেশী আগ্নেয়াস্ত্র ও  কার্তুজ উদ্ধার। জয়পুরহাটের পাঁচবিবিতে মেধাবী শিক্ষার্থীরা পেল সনদ শেরপুরে প্রতারণার ফাঁদে এক নারী জামায়াত আমিরের ‘ক্ষমা’ নিয়ে মাসুদ সাঈদীর স্ট্যাটাস

অবশেষে বান্দরবানের পুলিশ সুপার মহোদয়ের নির্দেশে লামা থানায় হত্যা মামলা রেকর্ড!

  • আপডেট সময়ঃ শুক্রবার, ৩০ সেপ্টেম্বর, ২০২২
  • ১৬২ জন দেখেছেন

মোঃ ওমর ফারুক, চট্টগ্রাম থেকে:- মামলার বিবরনে জানা যায় গত ১৩.০৯.২০২২ বান্দরবান জেলার লামা থানার আজিজ নগর মিশন পাড়া গ্রামে কানিজ ফাতিমা ওরফে কানিজ,পিতাঃ- সুলতান আহমদ স্বামীঃ- এনাম প্রকাশ মনিক্কার বসতঘরের  খোলা বারান্দায় একটি বিমের সাথে গলায় ফাস লাগানো অবস্থায় ছিলো।

এনামের পরিবারের দাবী কানিজ ফাতিমা আত্মহত্যা করেছে,যদিও আত্মহত্যার কোন কারণ তারা দেখাতে পারেনি।কিন্তু মৃত ভিকটিমের মায়ের তথা পরিবারের অভিযোগ তাদের মেয়েকে মেরে মৃত অবস্থায় ফাঁসিতে ঝুলানো হয়েছে।আর প্রমান হিসেবে মৃত ভিকটিমের মা দাবী করেন উনার মেয়েকে উনি যে অবস্থায় ঝুলন্ত দেখেছেন সে অবস্থায় একটি মানুষ ফাঁসি খেতে পারেনা।এবং মৃত ভিকটিমের কপালে গর্তের মতো রক্তাক্ত আঘাতের চিন্হ বিদ্যমান।এছাড়াও মৃত ভিকটিমের ডান পায়ে হাঁটুর নিচে বাড়ি মারা সদৃশ আঘাতের লম্বা চিন্হ,ডান পায়ের উঁরুতে দুটো লম্বা সদৃশ আঘাতের চিন্হ, মাথার তালুতে ঝুটির নিচে, থেৎলানো আঘাতের চিন্হ, এবং তলপেটের ডানপাশে বড় আকারের আঘাতের চিন্হ বিদ্যমান।

যা মৃত ভিকটিমকে গোসল করানোর সময় পরিলক্ষিত হয়।আরো জানা যায় মৃতার স্বামী এনাম গত একমাস আগে থেকে ভিকটিমের মায়ের কাছে ৬০০০০(ষাট হাজার)  টাকা মটর সাইকেল কেনার জন্য যৌতুক দাবি করে আসছিলো।এরই ধারাবাহিকতায় গত ৮(আট) দিন আগে ভিকটিমের মা ধারদেনা করে বিকাশের মাধ্যমে এক নাম্বার আসামী এনামকে ১২০০০(বারোহাজার) টাকা এবং গত ১১.০৯.২০২২ তারিখ বিকাশের মাধ্যমে আরো ১০০০(একহাজার)  টাকা প্রদান করেন।কিন্তু এরপরও একনাম্বার আসামির মনপুত না হওয়াতে ভিকটিমের সাথে প্রায়শই ঝগড়ায় লিপ্ত হতো। এবং মারধর সহ তালাকের ভয় দেখাতো।এরই ধারাবাহিকতায় গত ১৩.০৯.২০২২ তারিখও দিনের কোন একসময় আমার মেয়েকে হত্যাকরে ঝুলিয়ে রাখে,এবং রাত অানুমানিক নয়টার সময় আমাকে ফোন করে জানায় আমার মেয়ে আত্মহত্যা করেছে।কিন্তু আমি গিয়ে দেখি আমার মেয়ে লক্ষন আত্মহত্যার নয়!তাই আমি ১৪.০৯.২০২২ লামা থানায় মামলা করতে গেলে অফিসার ইনচার্জ আমার মামলা না নিয়ে আমাকে পাঠিয়ে দেন,পরদিন তথা ১৫.০৯.২০২২ আমি আবার মামলা করতে গেলে আমার ৫০০ টাকা দিয়ে আবারো চেয়ারম্যানের সাথে দেখা করতে বলেন।চেয়ারম্যান আমাকে মামলা না করার পরামর্শ দিয়ে তাড়িয়ে দেয়ার পর সুরতহাল রিপোর্টকারি আজিজ নগর ক্যাম্পের আই সি সাহেবের কাছে গেলে উনি কিছু করার নাই বলে আমাকে তাড়িয়ে দেন।আমি আর উপায়ন্তর না দেখে পরে বান্দরবান পুলিশ সুপার মহোদয়ের নিকট গেলে তিনি আমার কস্ট অনুভব করেন এবং আমার সামনেই অফিসার ইনচার্জ লামাকে ফোন করে মামলা না নেয়ার কারণ জিজ্ঞেস করেন এবং মামলা নিতে নির্দেশ প্রদান করেন।এবং অনেক কস্টের পর আমি মামলা করতে সামর্থ্য হই।ধন্যবাদ এবং কৃতজ্ঞতা পুলিশ সুপার মহোদয় বান্দরবানকে।

 

এখন আমি সন্দিহান লামা থানা আমার মেয়ের হত্যাকারিদের গ্রেফতার করবে কিনা, সে বিষয়ে।

বলছিলেন মৃত ভিকটিমের মা (সিরাজ খাতুন ৪৮)

শেয়ার করুন

আরো দেখুন......